রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে প্রকৃত অর্থে কোনো আলোচনা না থাকার সুযোগে আরও ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলে নিতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ফেব্রুয়ারিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাশিয়ার তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছিল। সম্প্রতি রয়টার্স প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে। আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রকৃত কোনো আলোচনার অনুপস্থিতির সুযোগে ইউক্রেনের কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব ভূখণ্ড দখল করতে চান পুতিন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের দাবিকৃত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে। এরপর রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে প্রায় ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয়। সর্বশেষ, রাশিয়া ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে খবর এসেছে।
এই অবস্থায় রাশিয়া ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আরও বেশি বেশি ভূখণ্ড দখল করতে চায় উল্লেখ করে ওই তিন সূত্রের একজন বলেছেন, ‘রাশিয়া (ইউক্রেনের) আরও গভীরে ঢুকে যেতে চায়।’ সূত্রটি বলেছে, ‘পুতিন ধীরে ধীরে (ইউক্রেনের) অঞ্চলগুলো জয় করতে থাকবেন, যতক্ষণ না (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির) জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবনা পাঠাচ্ছেন।’ ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, কিছুদিন আগে, রুশ প্রেসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসী হয়ে তাঁর সহযোগীদের কাছে মত প্রকাশ করেন যে, পশ্চিমারা ইউক্রেনে পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ করবে না, যা ইউক্রেনীয়দের মনোবল নষ্ট করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নেতারা বলেছেন, তাঁরা ইউক্রেনের পাশে থাকবেন। বিশেষ করে যতক্ষণ না ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হচ্ছে। এদিকে, সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করবে।
এর আগে, পুতিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘প্রতিদিন ইউক্রেনের শহর, বন্দর ও জনগণের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ইউক্রেন থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে যেকোনো সময় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে রাশিয়া।’
অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের আরও ভূখণ্ড দখলের ব্যাপারে মনোবাঞ্ছা রাখলেও ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে হামলা চালানোর ইচ্ছা তাঁর নেই বলে জানিয়েছে রুশ পাঁচটি সূত্র। মূলত, এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর পূর্ববর্তী ইচ্ছার ওপরই অটল রয়েছেন। অতীতে তিনি একাধিকবার জনসমক্ষে বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে হামলা চালানোর ইচ্ছা তাঁর দেশের নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর দুটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা চালাতে না চাইলেও পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক মনোভাবের পরিবর্তন নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, পারমাণবিক অস্ত্রের ম্যানুভার নিয়ে চিন্তিত রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাঁরা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের অবস্থানে কৌশলগত কোনো পরিবর্তন আনেনি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে প্রকৃত অর্থে কোনো আলোচনা না থাকার সুযোগে আরও ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলে নিতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ফেব্রুয়ারিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাশিয়ার তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছিল। সম্প্রতি রয়টার্স প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে। আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রকৃত কোনো আলোচনার অনুপস্থিতির সুযোগে ইউক্রেনের কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব ভূখণ্ড দখল করতে চান পুতিন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের দাবিকৃত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে। এরপর রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে প্রায় ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয়। সর্বশেষ, রাশিয়া ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে খবর এসেছে।
এই অবস্থায় রাশিয়া ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আরও বেশি বেশি ভূখণ্ড দখল করতে চায় উল্লেখ করে ওই তিন সূত্রের একজন বলেছেন, ‘রাশিয়া (ইউক্রেনের) আরও গভীরে ঢুকে যেতে চায়।’ সূত্রটি বলেছে, ‘পুতিন ধীরে ধীরে (ইউক্রেনের) অঞ্চলগুলো জয় করতে থাকবেন, যতক্ষণ না (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির) জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবনা পাঠাচ্ছেন।’ ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, কিছুদিন আগে, রুশ প্রেসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসী হয়ে তাঁর সহযোগীদের কাছে মত প্রকাশ করেন যে, পশ্চিমারা ইউক্রেনে পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ করবে না, যা ইউক্রেনীয়দের মনোবল নষ্ট করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নেতারা বলেছেন, তাঁরা ইউক্রেনের পাশে থাকবেন। বিশেষ করে যতক্ষণ না ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হচ্ছে। এদিকে, সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করবে।
এর আগে, পুতিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘প্রতিদিন ইউক্রেনের শহর, বন্দর ও জনগণের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ইউক্রেন থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে যেকোনো সময় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে রাশিয়া।’
অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের আরও ভূখণ্ড দখলের ব্যাপারে মনোবাঞ্ছা রাখলেও ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে হামলা চালানোর ইচ্ছা তাঁর নেই বলে জানিয়েছে রুশ পাঁচটি সূত্র। মূলত, এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর পূর্ববর্তী ইচ্ছার ওপরই অটল রয়েছেন। অতীতে তিনি একাধিকবার জনসমক্ষে বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে হামলা চালানোর ইচ্ছা তাঁর দেশের নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর দুটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা চালাতে না চাইলেও পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক মনোভাবের পরিবর্তন নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, পারমাণবিক অস্ত্রের ম্যানুভার নিয়ে চিন্তিত রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাঁরা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের অবস্থানে কৌশলগত কোনো পরিবর্তন আনেনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে দুদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। বিক্ষোভ দমনে শহরটিতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা দমনে এই গার্ডদের মোতায়েন করা
১ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক মরদেহ উদ্ধার হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স এই হামলাকে ‘পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা’ বলে অভিহিত
২ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১৭ ঘণ্টা আগে