রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর মাঝেই এক মানবাধিকারকর্মী দাবি করেছেন, রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির কুখ্যাত পদ্ধতি ‘হৃৎপিণ্ডে একটিমাত্র ঘুষি’ ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে পুতিনের সবচেয়ে কট্টর সমালোচক নাভালনিকে। ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী গুলাগু ডটনেটের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ওসেচকিন বলেছেন, নাভালনির মাথায় ও বুকে আঘাতের যে চিহ্ন পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ‘হৃৎপিণ্ডে একটিমাত্র ঘুষি’ পদ্ধতি অনেকটাই মিলে যায়।
রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের সঙ্গে অন্য দেশের গুপ্তচরবৃত্তি এবং দেশের মধ্যে ভিন্নমত দমনের জন্য কাজ করে। কেজিবির এজেন্টরা দেশের ভেতরে ও বাইরে রুশ সরকারের সমালোচকদের প্রতিহত করার জন্য পরিচিত।
ভ্লাদিমির ওসেচকিন বলেন, ‘এটি (হৃৎপিণ্ডে একটিমাত্র ঘুষি) কেজিবির বিশেষ বিভাগের একটি পুরোনো পদ্ধতি। কেজিবি সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এমনভাবে যে, একজন মানুষকে হৃৎপিণ্ডে অর্থাৎ, শরীরের কেন্দ্রে একটিমাত্র ঘুষি দিয়েই যাতে হত্যা করা যায়। এটা কেজিবির একটি বিশেষ পদ্ধতি।’
গুলাগু ডটনেটের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, অ্যালেক্সেই নাভালনিকে খুব সম্ভবত দুই ঘণ্টারও বেশি সময় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছিল। এতে তার রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (কেজিবি) প্রথমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডায় বাইরে রেখে রক্ত সঞ্চালন একদমই কমিয়ে দিয়ে শরীরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপর কাউকে হত্যা করা খুব সহজ হয়ে যায়। যে এই কাজটি করবে, তার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তবে হত্যা করা যায় সেকেন্ডের মধ্যেই।’
ভ্লাদিমির ওসেচকিন দাবি করেছেন যে, আর্কটিক পেনাল কলোনির অন্যান্য বন্দীর সাক্ষ্য নিয়েছেন তিনি। বন্দীদের দাবি, কারারক্ষীরা বন্দীদের হত্যার জন্য একই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে বন্দী অবস্থায় পুতিন সমালোচক ও বিরোধী দলের নেতা নাভালনির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নাভালনির মা এবং আইনজীবী যান সেখানে। কিন্তু নাভালনির মরদেহের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এর পরই অভিযোগ ওঠে, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নাভালনির মা বলেন, নাভালনিকে যে মর্গে রাখা হয়েছে, সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ছেলের মৃত্যু সনদেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন। সেই মৃত্যু সনদে নাভালনির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে উল্লেখ ছিল। তবে নাভালনির স্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
রাজনৈতিক জীবনে পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাভালনি। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর মাঝেই এক মানবাধিকারকর্মী দাবি করেছেন, রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির কুখ্যাত পদ্ধতি ‘হৃৎপিণ্ডে একটিমাত্র ঘুষি’ ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে পুতিনের সবচেয়ে কট্টর সমালোচক নাভালনিকে। ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী গুলাগু ডটনেটের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ওসেচকিন বলেছেন, নাভালনির মাথায় ও বুকে আঘাতের যে চিহ্ন পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ‘হৃৎপিণ্ডে একটিমাত্র ঘুষি’ পদ্ধতি অনেকটাই মিলে যায়।
রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের সঙ্গে অন্য দেশের গুপ্তচরবৃত্তি এবং দেশের মধ্যে ভিন্নমত দমনের জন্য কাজ করে। কেজিবির এজেন্টরা দেশের ভেতরে ও বাইরে রুশ সরকারের সমালোচকদের প্রতিহত করার জন্য পরিচিত।
ভ্লাদিমির ওসেচকিন বলেন, ‘এটি (হৃৎপিণ্ডে একটিমাত্র ঘুষি) কেজিবির বিশেষ বিভাগের একটি পুরোনো পদ্ধতি। কেজিবি সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এমনভাবে যে, একজন মানুষকে হৃৎপিণ্ডে অর্থাৎ, শরীরের কেন্দ্রে একটিমাত্র ঘুষি দিয়েই যাতে হত্যা করা যায়। এটা কেজিবির একটি বিশেষ পদ্ধতি।’
গুলাগু ডটনেটের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, অ্যালেক্সেই নাভালনিকে খুব সম্ভবত দুই ঘণ্টারও বেশি সময় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছিল। এতে তার রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (কেজিবি) প্রথমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডায় বাইরে রেখে রক্ত সঞ্চালন একদমই কমিয়ে দিয়ে শরীরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপর কাউকে হত্যা করা খুব সহজ হয়ে যায়। যে এই কাজটি করবে, তার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তবে হত্যা করা যায় সেকেন্ডের মধ্যেই।’
ভ্লাদিমির ওসেচকিন দাবি করেছেন যে, আর্কটিক পেনাল কলোনির অন্যান্য বন্দীর সাক্ষ্য নিয়েছেন তিনি। বন্দীদের দাবি, কারারক্ষীরা বন্দীদের হত্যার জন্য একই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে বন্দী অবস্থায় পুতিন সমালোচক ও বিরোধী দলের নেতা নাভালনির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নাভালনির মা এবং আইনজীবী যান সেখানে। কিন্তু নাভালনির মরদেহের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এর পরই অভিযোগ ওঠে, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নাভালনির মা বলেন, নাভালনিকে যে মর্গে রাখা হয়েছে, সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ছেলের মৃত্যু সনদেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন। সেই মৃত্যু সনদে নাভালনির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে উল্লেখ ছিল। তবে নাভালনির স্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
রাজনৈতিক জীবনে পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাভালনি। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মিনিট আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
৩ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৬ ঘণ্টা আগে