Ajker Patrika

ভাগনার বিদ্রোহের পর পুতিনের আমন্ত্রণে ক্রেমলিনে গিয়েছিলেন প্রিগোঝিন

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, ২২: ৩১
ভাগনার বিদ্রোহের পর পুতিনের আমন্ত্রণে ক্রেমলিনে গিয়েছিলেন প্রিগোঝিন

ভাড়াটে যোদ্ধা বাহিনী ভাগনারের বিদ্রোহের পরও এই বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনকে নিজ দপ্তরে ডেকে নিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুধু প্রিগোঝিনই নন, গত ২৯ জুন রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনে ওই সাক্ষাতের সময় ভাগনার বাহিনীর আরও ৩৪ কমান্ডার ছিলেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ভাগনার কমান্ডারদের সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ২৪ জুন তাঁদের বিদ্রোহ নিয়ে পুতিন নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেন বলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে জানান। 

পেসকভকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, গত ২৪ জুন ব্যর্থ বিদ্রোহের সময় যা ঘটেছে, তা নিয়ে নিজের মূল্যায়ন প্রিগোঝিনকে জানিয়েছেন পুতিন। তিনি ভাগনার কমান্ডারদের অভিযোগগুলো শোনেন। কমান্ডাররা জোর দিয়ে বলেন, তাঁরা পুতিনের কট্টর সমর্থক। রাশিয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চান।

ভাগনার কমান্ডারদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগের পাশাপাশি তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের প্রস্তাব দেন পুতিন।  

রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ প্রিগোঝিন ২৪ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ সময় ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি শহর দখলে নেন ভাগনার যোদ্ধারা। একপর্যায়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে সমঝোতার পর বিদ্রোহ থামান প্রিগোঝিন। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রিগোঝিন বা ভাগনার যোদ্ধাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে বা ঘটতে যাচ্ছে, তা এখনো জানা যায়নি। 

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোঝিন বিদ্রোহ থামান। সমঝোতা অনুযায়ী, প্রিগোঝিন ও ভাগনারের যোদ্ধাদের একাংশের বেলারুশে থাকার কথা। তবে তাঁরা কেউ এখন বেলারুশে নেই বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত