রাশিয়ার জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পিকনিক ব্যান্ডের পরপর দুটি কনসার্টের সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল প্রথম কনসার্টটি। সেখানেই এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারীরা।
পরদিন শনিবার দিনের শুরুতে পিকনিক ব্যান্ডের পক্ষ থেকে রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিকনট্যাক্টেতে একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়। এতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা এই ভয়ানক ট্র্যাজেডিতে গভীরভাবে মর্মাহত এবং আপনাদের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছি।’
আগের রাতে পিকনিক মঞ্চে ওঠার আগেই চার বন্দুকধারী অনুষ্ঠানস্থলের ভিড়ে প্রবেশ করে এবং গুলি চালিয়ে অন্তত ১৩৩ জনকে হত্যা করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের তালিকায় পিকনিক ব্যান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ভিকনট্যাক্টে আরেকটি পোস্ট করে ব্যান্ডদলটি জানায়, তাদের দলের বিপণন বিভাগের সঙ্গে জড়িত এক নারী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে বার্তায় বলা হয়েছে—‘আমরা সবচেয়ে খারাপ কিছু বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নই।’
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে পিকনিক ব্যান্ড। ব্যান্ডটিকে ঐতিহ্যবাহী বলার কারণ হলো—চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এটি রুশ ভক্তদের জীবনকে সুর আর ছন্দে মাতিয়ে রেখেছে।
পিকনিক ব্যান্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের আমহার্স্ট কলেজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসবিদ ইলিয়া কুকুলিন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন—সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে ‘রক দানবদের’ অন্যতম একটি ছিল এই ব্যান্ড। তারা পশ্চিমা ক্ল্যাসিক রক এবং রুশ শৈলীর গানের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল।
১৯৮২ সালে পিকনিক ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘স্মোক’ প্রকাশিত হয়। গথিক লিরিকে বিভিন্ন গান বিষণ্ন আবহ তৈরি করলেও গায়ক এবং গিটারিস্ট এডমন্ড শক্লিয়ারস্কির নেতৃত্বে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই ব্যান্ড।
এই জনপ্রিয়তার জন্য আংশিকভাবে দলটির উদ্ভাবনী স্টেজ শোগুলোকেও কৃতিত্ব দেন কুকুলিন। তিনি জানান—সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ব্যান্ডটি চোখ ধাঁধানো আলো এবং উত্তেজনাপূর্ণ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যোগ করে পারফর্ম করতে শুরু করেছিল। ১৯৯০-এর দশকে ব্যান্ডটির কনসার্টগুলোতে একটি লিভিং সেলো অন্তর্ভুক্ত হয়।
চলতি মাসে ব্যান্ডটি অনলাইনে ‘নাথিং, ফিয়ার নাথিং’ শিরোনামে একটি নতুন গান প্রকাশ করেছে। কুকুলিন জানান—সমসাময়িক ব্যান্ডগুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্ন পিকনিক কোনো রাজনৈতিক ব্যান্ড না হলেও একসময় এটির রাজনৈতিক প্রভাবও তৈরি হয়। ১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ আরও অনেক দলের মতো পিকনিক ব্যান্ডকেও কোনো রেকর্ডিং স্টুডিও ব্যবহারে নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ সোভিয়েত সংবাদপত্রগুলো সে সময় পিকনিকের ‘অপিয়াম স্মোক’ নামে একটি গানের বিষয়ে অভিযোগ করেছিল। গানটিকে পরে মাদক ব্যবহারে উৎসাহ প্রদানকারী হিসাবে বিবেচনা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন কনসার্টে নিয়মিত অভিযান সহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিষেধাজ্ঞায় বিরক্ত হয়ে রাশিয়া ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছেন বেশ কিছু নামীদামি রক তারকা। এর ফলে প্রতিযোগী কমে যাওয়ায় রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী রক সার্কিটে পিকনিক ব্যান্ডের জন্য কিছুটা সুবিধাই হয়েছিল বলে মনে করেন কুকুলিন।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে কিছু সংগীতজ্ঞ যেমন ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে শক্লিয়ারস্কি তা করেননি। তারপরও ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের দেশে এই ব্যান্ডটিকে পারফর্ম করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। কারণ ইতিপূর্বে দলটি ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া অঞ্চল ক্রিমিয়ায় কনসার্ট করেছিল। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে শক্লিয়ারস্কি জানিয়েছিলেন—তিনি ইউক্রেনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন। বলেছিলেন—‘রাজনীতি আসে এবং যায়, কিন্তু জীবন থেকে যায়।’
রাশিয়ার জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পিকনিক ব্যান্ডের পরপর দুটি কনসার্টের সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল প্রথম কনসার্টটি। সেখানেই এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারীরা।
পরদিন শনিবার দিনের শুরুতে পিকনিক ব্যান্ডের পক্ষ থেকে রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিকনট্যাক্টেতে একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়। এতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা এই ভয়ানক ট্র্যাজেডিতে গভীরভাবে মর্মাহত এবং আপনাদের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছি।’
আগের রাতে পিকনিক মঞ্চে ওঠার আগেই চার বন্দুকধারী অনুষ্ঠানস্থলের ভিড়ে প্রবেশ করে এবং গুলি চালিয়ে অন্তত ১৩৩ জনকে হত্যা করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের তালিকায় পিকনিক ব্যান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ভিকনট্যাক্টে আরেকটি পোস্ট করে ব্যান্ডদলটি জানায়, তাদের দলের বিপণন বিভাগের সঙ্গে জড়িত এক নারী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে বার্তায় বলা হয়েছে—‘আমরা সবচেয়ে খারাপ কিছু বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নই।’
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে পিকনিক ব্যান্ড। ব্যান্ডটিকে ঐতিহ্যবাহী বলার কারণ হলো—চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এটি রুশ ভক্তদের জীবনকে সুর আর ছন্দে মাতিয়ে রেখেছে।
পিকনিক ব্যান্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের আমহার্স্ট কলেজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসবিদ ইলিয়া কুকুলিন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন—সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে ‘রক দানবদের’ অন্যতম একটি ছিল এই ব্যান্ড। তারা পশ্চিমা ক্ল্যাসিক রক এবং রুশ শৈলীর গানের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল।
১৯৮২ সালে পিকনিক ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘স্মোক’ প্রকাশিত হয়। গথিক লিরিকে বিভিন্ন গান বিষণ্ন আবহ তৈরি করলেও গায়ক এবং গিটারিস্ট এডমন্ড শক্লিয়ারস্কির নেতৃত্বে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই ব্যান্ড।
এই জনপ্রিয়তার জন্য আংশিকভাবে দলটির উদ্ভাবনী স্টেজ শোগুলোকেও কৃতিত্ব দেন কুকুলিন। তিনি জানান—সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ব্যান্ডটি চোখ ধাঁধানো আলো এবং উত্তেজনাপূর্ণ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যোগ করে পারফর্ম করতে শুরু করেছিল। ১৯৯০-এর দশকে ব্যান্ডটির কনসার্টগুলোতে একটি লিভিং সেলো অন্তর্ভুক্ত হয়।
চলতি মাসে ব্যান্ডটি অনলাইনে ‘নাথিং, ফিয়ার নাথিং’ শিরোনামে একটি নতুন গান প্রকাশ করেছে। কুকুলিন জানান—সমসাময়িক ব্যান্ডগুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্ন পিকনিক কোনো রাজনৈতিক ব্যান্ড না হলেও একসময় এটির রাজনৈতিক প্রভাবও তৈরি হয়। ১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ আরও অনেক দলের মতো পিকনিক ব্যান্ডকেও কোনো রেকর্ডিং স্টুডিও ব্যবহারে নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ সোভিয়েত সংবাদপত্রগুলো সে সময় পিকনিকের ‘অপিয়াম স্মোক’ নামে একটি গানের বিষয়ে অভিযোগ করেছিল। গানটিকে পরে মাদক ব্যবহারে উৎসাহ প্রদানকারী হিসাবে বিবেচনা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন কনসার্টে নিয়মিত অভিযান সহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিষেধাজ্ঞায় বিরক্ত হয়ে রাশিয়া ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছেন বেশ কিছু নামীদামি রক তারকা। এর ফলে প্রতিযোগী কমে যাওয়ায় রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী রক সার্কিটে পিকনিক ব্যান্ডের জন্য কিছুটা সুবিধাই হয়েছিল বলে মনে করেন কুকুলিন।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে কিছু সংগীতজ্ঞ যেমন ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে শক্লিয়ারস্কি তা করেননি। তারপরও ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের দেশে এই ব্যান্ডটিকে পারফর্ম করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। কারণ ইতিপূর্বে দলটি ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া অঞ্চল ক্রিমিয়ায় কনসার্ট করেছিল। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে শক্লিয়ারস্কি জানিয়েছিলেন—তিনি ইউক্রেনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন। বলেছিলেন—‘রাজনীতি আসে এবং যায়, কিন্তু জীবন থেকে যায়।’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্প্রতি আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং অপরজন বাংলাদেশ পুলিশের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেচীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অনুরোধেই এই আলোচনা হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এবং সাবেক বিজেডি সাংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পিনাকী মিশ্র জার্মানিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি সহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই খবর জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিমলা চুক্তি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে