Ajker Patrika

চীনের সিচুয়ানে ইচ্ছেমতো সন্তান নিতে পারবেন দম্পতিরা 

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪: ১৩
চীনের সিচুয়ানে ইচ্ছেমতো সন্তান নিতে পারবেন দম্পতিরা 

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে এক সন্তাননীতি প্রয়োগ করে আসছিল। তবে গেল বছর দেশটির জনসংখ্যা ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উদ্বেগজনক হারে কমেছে। 

জন্মহার কমার আভাস মেলায় এক সন্তাননীতি থেকে সরে আসে চীন সরকার। ২০২১ সাল থেকে নাগরিকদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিতে শুরু করে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সিচুয়ান প্রদেশে ইচ্ছেমতো সন্তান জন্মদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সেখানে যত ইচ্ছে সন্তান নিতে পারবেন বিবাহিত দম্পতিরা। শুধু তাই নয়, বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়েও বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ৮ কোটি বাসিন্দার প্রদেশ সিচুয়ানে আগে অবিবাহিতরা সন্তান জন্ম দিলে সন্তানের তথ্যাদি নিবন্ধন করতে পারতেন না। প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতেন। এখন থেকে সেসব বিষয়ে ছাড় দেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কমিশন সোমবার এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছে। এতে বলা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাদেশিক সরকারের কাছে সন্তান জন্মদানবিষয়ক নিবন্ধন করাতে পারবেন সিচুয়ানের বাসিন্দারা। 

চীনে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছেপিতা-মাতারা সন্তানের জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে এক সন্তাননীতির যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা সংশোধন করাতে পারবেন। আর এই সুযোগ আগামী পাঁচ বছরের জন্য। 

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং দেশটির জন্মহার বাড়ানোকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখছেন। এ লক্ষ্যে জনগণকে উৎসাহিত করতে কর মওকুফ, প্রণোদনা, আবাসন ভর্তুকি ও মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাকে আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চিনপিং সরকার। 

তবে চীন সরকারের এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনসংখ্যাবিদেরা। তাঁরা জন্মহার না বাড়ার পেছনে উচ্চশিক্ষার উচ্চ ব্যয়, কর্মক্ষেত্রে কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, করোনা মহামারি ও বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থাকেও দায়ী করছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত