কোভিড–১৯ মহামারি ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণেই দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের এই ভাষণ শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসার দেওয়া ভাষণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দেন। সাজিদ প্রেমাদাসা তাঁর ভাষণে অভিযোগ করেন, সরকারের দুর্বল অর্থনৈতিক নীতিই দেশের অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
দেশটিতে ক্রমবর্ধমান জনরোষ কমাতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যাদানের উদ্দেশে তিনি এই ভাষণ দেন। বর্তমানে দেশটি রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, নিয়মিত বিদ্যুৎ–বিভ্রাটসহ খাদ্য ও জ্বালানি সংকট নিয়ে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে বেশি টালমাটাল সময় পার করছে। এই সংকট দেশটিতে একটি মর্মান্তিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কানদের দৈনন্দিন জীবনে এক ভয়াবহ দুর্দশা ডেকে এনেছে।
ভাষণে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দেশটির নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি–মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তেমন কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি। বরং মাহিন্দা রাজাপক্ষে বর্তমান পরিস্থিতি স্বীকার করে জানান—ওষুধ, গুঁড়া দুধ, চাল, চিনি, ডাল, গমের আটা, গ্যাস, ডিজেল, কেরোসিনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেন, ‘মহামারির মুখোমুখি হওয়ার পরপরই এই সংকট শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনীতি তলানিতে যাচ্ছে জেনেও, আমাদের লকডাউন আরোপ করতে হয়েছে এবং সে কারণেই আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভও হ্রাস পেয়েছে।’
মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেন, ‘২০১০ সালে যুদ্ধ (তামিল টাইগারদের বিপক্ষে) জয়ের পর আমরা নির্বাচনে জিতেছিলাম। লোকজন সেদিনেই গল্প ভুলে গিয়েছিল কিন্তু আমার মনে আছে। তখন আমরা সাবেক সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে—বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হোক। কিন্তু তখন সরকার আমাদের সমর্থন করেনি। আজকের বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের জন্য তারাই দায়ী।’
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের সমস্যা শিগগিরই সমাধান করা হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে এবং ভবিষ্যতে আর কখনো ব্ল্যাকআউট হবে না।’
এদিকে, বিক্ষোভ বন্ধের প্রচেষ্টায় সরকার গত সপ্তাহে ঐতিহ্যবাহী সিংহলি ও তামিল নববর্ষের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে অতিরিক্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
কোভিড–১৯ মহামারি ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণেই দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের এই ভাষণ শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসার দেওয়া ভাষণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দেন। সাজিদ প্রেমাদাসা তাঁর ভাষণে অভিযোগ করেন, সরকারের দুর্বল অর্থনৈতিক নীতিই দেশের অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
দেশটিতে ক্রমবর্ধমান জনরোষ কমাতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যাদানের উদ্দেশে তিনি এই ভাষণ দেন। বর্তমানে দেশটি রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, নিয়মিত বিদ্যুৎ–বিভ্রাটসহ খাদ্য ও জ্বালানি সংকট নিয়ে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে বেশি টালমাটাল সময় পার করছে। এই সংকট দেশটিতে একটি মর্মান্তিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কানদের দৈনন্দিন জীবনে এক ভয়াবহ দুর্দশা ডেকে এনেছে।
ভাষণে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দেশটির নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি–মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তেমন কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি। বরং মাহিন্দা রাজাপক্ষে বর্তমান পরিস্থিতি স্বীকার করে জানান—ওষুধ, গুঁড়া দুধ, চাল, চিনি, ডাল, গমের আটা, গ্যাস, ডিজেল, কেরোসিনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেন, ‘মহামারির মুখোমুখি হওয়ার পরপরই এই সংকট শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনীতি তলানিতে যাচ্ছে জেনেও, আমাদের লকডাউন আরোপ করতে হয়েছে এবং সে কারণেই আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভও হ্রাস পেয়েছে।’
মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেন, ‘২০১০ সালে যুদ্ধ (তামিল টাইগারদের বিপক্ষে) জয়ের পর আমরা নির্বাচনে জিতেছিলাম। লোকজন সেদিনেই গল্প ভুলে গিয়েছিল কিন্তু আমার মনে আছে। তখন আমরা সাবেক সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে—বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হোক। কিন্তু তখন সরকার আমাদের সমর্থন করেনি। আজকের বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের জন্য তারাই দায়ী।’
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের সমস্যা শিগগিরই সমাধান করা হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে এবং ভবিষ্যতে আর কখনো ব্ল্যাকআউট হবে না।’
এদিকে, বিক্ষোভ বন্ধের প্রচেষ্টায় সরকার গত সপ্তাহে ঐতিহ্যবাহী সিংহলি ও তামিল নববর্ষের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে অতিরিক্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
খুব শিগগিরই মাসওয়ারি বেতনভিত্তিক চাকরির দিন শেষ হয়ে যাবে। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এ ধরনের বেতনভোগী মধ্যবিত্ত শ্রেণি। বিশেষ করে ভারতে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণিটি চলতি দশকের মধ্যেই সম্ভবত বিলুপ্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রেল সংযোগ প্রকল্পের অর্থায়ন ও নির্মাণকাজ স্থগিত করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্তত তিনটি চলমান প্রকল্প থেমে গেছে এবং আরও পাঁচটি প্রকল্পের জরিপ কাজও বন্ধ হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১৯ ঘণ্টা আগে