Ajker Patrika

কাশ্মীরের নেতারা আবারও গৃহবন্দী

কাশ্মীরের নেতারা আবারও গৃহবন্দী

কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ রাজনৈতিক নেতাদের আবারও গৃহবন্দী করা হয়েছে। বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে নেতাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রোধ করতে ২০২২ সালের প্রথম দিনে (শনিবার) তাঁদের গৃহবন্দী করা হয়।

ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়—পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (পিএজিডি) নেতারা বলেছেন, পুলিশ তাঁদের গৃহবন্দী করে রেখেছে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহসভাপতি ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত অবস্থানকে নস্যাৎ করতে বাড়ির গেটের বাইরে ট্রাক রেখে দিয়েছে।

এক টুইট পোস্টে ওমর আবদুল্লাহ লিখেছেন—‘শুভ সকাল এবং ২০২২ কে স্বাগত জানাই। লোকজনকে বেআইনিভাবে বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখা একই জে&কে পুলিশ এবং স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপে এত ভীত প্রশাসনের সঙ্গে একটি নতুন বছর।’

তিনি আরও লিখেন, ‘কিছু জিনিস কখনই পরিবর্তন হয় না। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে পণ্ড করতে গেটের বাইরে ট্রাক পার্ক করা হয়েছে।’ 

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমরের বাবা এবং এমপি ফারুক আবদুল্লাহ। তিনি মূলধারার দলগুলির একটি গ্রুপ পিএজিডি-এর প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 

অন্য এক টুইটে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘একটি আইনহীন পুলিশি রাষ্ট্রের কথা বলছি। পুলিশ আমার বাবার বাড়ির সঙ্গে আমার বোনের বাড়ির সংযোগকারী অভ্যন্তরীণ গেটে পর্যন্ত তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তবুও আমাদের নেতারা গাল ভরে বিশ্বকে বলে বেড়াচ্ছে, ভারত বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, হাহ!!’ 

ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিপিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সভাপতি মেহবুবা মুফতিও এ প্রসঙ্গে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সরকার প্রায়ই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ও রাজ্য দ্বিখণ্ডিকরণের ঢাক পিটিয়ে চলেছে। অথচ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতার করলে তাঁরা অসহিষ্ণু আচরণ করছে। বহুবার আমাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতেও দেওয়া হচ্ছে না।’ দমন–পীড়ন অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যেসব কর্মী-সমর্থকেরা শনিবার শ্রীনগরের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্র পুনর্বিন্যাস প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান মেহবুবা। 

পিএজিডি-এর মুখপাত্র এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা এম ওয়াই তারিগামি বলেছেন, তাঁকে এবং অন্যান্য নেতাদের বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না; গৃহবন্দী করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ডিলিমিটেশন কমিশনের খসড়া প্রস্তাবে জম্মু অঞ্চলের জন্য ছয়টি এবং কাশ্মীর উপত্যকার জন্য একটি আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। উপত্যকার সব রাজনৈতিক দল এই আসন বিন্যাসের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কমিশনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার ওই প্রস্তাবের বিরোধিতার জন্য শান্তিপূর্ণ ধরনার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তা বানচাল করতেই তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত