অনলাইন ডেস্ক
মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যের ১৬টি শরিয়াহ আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির অন্য অংশেও এই রায়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে রায়টিকে যুগান্তকারী বলা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
৯ সদস্যের একটি ফেডারেল কোর্ট বেঞ্চ কেলান্তানের শরিয়াহ ফৌজদারি কোডের ১৬টি আইনকে অকার্যকর এবং অবৈধ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ছিল যৌনতা, অজাচার, জুয়া, যৌন হয়রানি এবং উপাসনালয়ের অপবিত্রতা-সংক্রান্ত আইন।
বেশির ভাগ রায় প্রদান করা প্রধান বিচারপতি টিংকু মাইমুন তুয়ান মাত বলেছেন, উত্তর-পূর্ব রাজ্যটির এই আইনগুলো প্রণয়নের কোনো কর্তৃত্ব নেই। কারণ, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেবল সংসদের। তিনি বলেন, এই বিধানগুলোর সারমর্ম হচ্ছে—বিষয়গুলো ফেডারেল তালিকার অধীনে রয়েছে, যা কার্যকরের ক্ষমতা শুধু সংসদের আছে।
যেসব শরিয়াহ আইনকে অবৈধ বা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো সংসদীয় ধারায় পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিচারপতি টিংকু মায়মুন বলেছেন, কেলান্তান আইনসভা তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে কিনা, তার সঙ্গে দেশে ইসলামের অবস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই।
মালয়েশিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য ইসলামিক ফৌজদারি এবং পারিবারিক আইনসহ দুই ধারা বিশিষ্ট আইনি ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। রাজ্যের আইনসভা দ্বারা প্রণীত হয় ইসলামিক আইন। অন্যদিকে, ধর্মনিরপেক্ষ আইন প্রণয়ন করে মালয়েশিয়ার সংসদ।
মালয়েশিয়ার উত্তরে এবং থাইল্যান্ডের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত কেলান্তান রাজ্যটি শাসন করে পার্টি ইসলাম সে-মালয়েশিয়া (পিএএস)। দলটির অবস্থান ইসলামিক আইনের কঠোর বাস্তবায়নের পক্ষে।
মালয়েশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগত মালয় মুসলিমদের মধ্যে বাড়ছে ইসলামিক রক্ষণশীলতা। আর এর মাঝেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিএএসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বহুজাতিগত শাসক জোটের জন্য দলটিকে দেখা হচ্ছে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে। পার্লামেন্টে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি আসন আছে পিএএসের দখলে।
কেলান্তানে ২০২১ সালে কার্যকর হয়েছিল এসব শরিয়াহ আইন। রাজ্যের একজন আইনজীবী এবং তাঁর মেয়ে আইনগুলোর সাংবিধানিক ভিত্তি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন। রক্ষণশীল মুসলিমদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এই মামলা। মালয়েশিয়ায় ইসলাম বা শরিয়াহ আইনকে এই মামলা দুর্বল করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিলেন তাঁদের।
এই রায়ের পর মালয়েশিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাঈম মোখতার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারের ইসলামি কর্তৃপক্ষ শরিয়াহ আদালতকে শক্তিশালী করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবে। ইসলামি বিচার বিভাগ ফেডারেল সংবিধানের অধীনে সুরক্ষিত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেলান্তানের সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলি হাসান এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য এই রায়ের ব্যাপারে শাসক পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।
মালয়েশিয়াভিত্তিক টেলরস ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক নিক আহমেদ কামাল নিক মাহমুদ বলেছেন, আজ শুক্রবার সিদ্ধান্তের একটি ‘ডমিনো প্রভাব’ দেখা যেতে পারে অন্যান্য রাজ্যেও। তিনি বলেন, ইসলামি আইনের ওপর বিদ্যমান রাজ্যগুলোর এখতিয়ার পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে। শরিয়াহ এবং নাগরিক আইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়াতে মালয়েশিয়ার সংবিধান সংশোধন করা উচিত।
মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যের ১৬টি শরিয়াহ আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির অন্য অংশেও এই রায়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে রায়টিকে যুগান্তকারী বলা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
৯ সদস্যের একটি ফেডারেল কোর্ট বেঞ্চ কেলান্তানের শরিয়াহ ফৌজদারি কোডের ১৬টি আইনকে অকার্যকর এবং অবৈধ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ছিল যৌনতা, অজাচার, জুয়া, যৌন হয়রানি এবং উপাসনালয়ের অপবিত্রতা-সংক্রান্ত আইন।
বেশির ভাগ রায় প্রদান করা প্রধান বিচারপতি টিংকু মাইমুন তুয়ান মাত বলেছেন, উত্তর-পূর্ব রাজ্যটির এই আইনগুলো প্রণয়নের কোনো কর্তৃত্ব নেই। কারণ, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেবল সংসদের। তিনি বলেন, এই বিধানগুলোর সারমর্ম হচ্ছে—বিষয়গুলো ফেডারেল তালিকার অধীনে রয়েছে, যা কার্যকরের ক্ষমতা শুধু সংসদের আছে।
যেসব শরিয়াহ আইনকে অবৈধ বা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো সংসদীয় ধারায় পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিচারপতি টিংকু মায়মুন বলেছেন, কেলান্তান আইনসভা তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে কিনা, তার সঙ্গে দেশে ইসলামের অবস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই।
মালয়েশিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য ইসলামিক ফৌজদারি এবং পারিবারিক আইনসহ দুই ধারা বিশিষ্ট আইনি ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। রাজ্যের আইনসভা দ্বারা প্রণীত হয় ইসলামিক আইন। অন্যদিকে, ধর্মনিরপেক্ষ আইন প্রণয়ন করে মালয়েশিয়ার সংসদ।
মালয়েশিয়ার উত্তরে এবং থাইল্যান্ডের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত কেলান্তান রাজ্যটি শাসন করে পার্টি ইসলাম সে-মালয়েশিয়া (পিএএস)। দলটির অবস্থান ইসলামিক আইনের কঠোর বাস্তবায়নের পক্ষে।
মালয়েশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগত মালয় মুসলিমদের মধ্যে বাড়ছে ইসলামিক রক্ষণশীলতা। আর এর মাঝেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিএএসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বহুজাতিগত শাসক জোটের জন্য দলটিকে দেখা হচ্ছে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে। পার্লামেন্টে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি আসন আছে পিএএসের দখলে।
কেলান্তানে ২০২১ সালে কার্যকর হয়েছিল এসব শরিয়াহ আইন। রাজ্যের একজন আইনজীবী এবং তাঁর মেয়ে আইনগুলোর সাংবিধানিক ভিত্তি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন। রক্ষণশীল মুসলিমদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এই মামলা। মালয়েশিয়ায় ইসলাম বা শরিয়াহ আইনকে এই মামলা দুর্বল করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিলেন তাঁদের।
এই রায়ের পর মালয়েশিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাঈম মোখতার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারের ইসলামি কর্তৃপক্ষ শরিয়াহ আদালতকে শক্তিশালী করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবে। ইসলামি বিচার বিভাগ ফেডারেল সংবিধানের অধীনে সুরক্ষিত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেলান্তানের সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলি হাসান এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য এই রায়ের ব্যাপারে শাসক পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।
মালয়েশিয়াভিত্তিক টেলরস ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক নিক আহমেদ কামাল নিক মাহমুদ বলেছেন, আজ শুক্রবার সিদ্ধান্তের একটি ‘ডমিনো প্রভাব’ দেখা যেতে পারে অন্যান্য রাজ্যেও। তিনি বলেন, ইসলামি আইনের ওপর বিদ্যমান রাজ্যগুলোর এখতিয়ার পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে। শরিয়াহ এবং নাগরিক আইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়াতে মালয়েশিয়ার সংবিধান সংশোধন করা উচিত।
জাপান ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু মুসলিমদের নিজস্ব কবরস্থানের জন্য আলাদা জায়গা চাওয়া নিয়েই মূলত অনেকের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করেছে। কিছু ব্যক্তি ও প্ল্যাটফর্ম এই বিষয়টিকে ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের আগ্রাসী সম্প্রসারণ’ বলে উপস্থাপন করছেন। তবে তাহির বলেছেন, ‘আমরা শুধু ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কবরস্থানের
১ ঘণ্টা আগেপরীক্ষামূলকভাবে সফল হওয়ার ছয় মাস পর চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি মন্ত্রণালয়। আজ রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘কমপ্রেসড ওয়ার্ক শিডিউল’ নামে পরিচিত এই উদ্যোগটি স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটানোর সুযোগটি তাঁরাই পা
২ ঘণ্টা আগেবন্ধুদের অনুরোধে নয়াদিল্লির এক বিয়েবাড়িতে মঞ্চে নাচতে ওঠেন বর। বলিউডের জনপ্রিয় গান ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ বাজতেই তাল মিলিয়ে নাচতে শুরু করেন তিনি। অনেক অতিথি এই মুহূর্তটা উপভোগ করছিলেন। কেউ কেউ বরকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। কিন্তু কনের বাবা এতে চরম ক্ষুব্ধ হন। তিনি বরকে ‘অশোভন আচরণের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে
৩ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাআ আজ রোববার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নতুন নেতা হিসেবে এটিই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে