আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বেশ কয়েকজন আফগান নারী কর্মী ভয়াবহ হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছেন। অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি তাঁদের পিছু নিয়েছে, বাড়ি পর্যন্ত অনুসরণ করেছে এবং অফিসে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আগামীকাল অফিসে এসো না, নইলে মেরে ফেলব।’
জাতিসংঘের অন্তত তিনটি সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মে মাসের শেষ দিকে এসব ঘটনার সূচনা হয়। অফিস শেষে নারীরা যখন কাবুলে জাতিসংঘ কম্পাউন্ড থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন তাঁদের একদল অজ্ঞাত পুরুষ অনুসরণ করে। এরপর বাড়ির বাইরে অস্ত্রের মুখে দাঁড় করিয়ে তাঁদের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি তাঁদের বাবা, স্বামী ও ভাইদেরও হুমকি দিয়ে নারীদের কাজ বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করা হয় এবং এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ঘটনাটি ভিডিও করে রাখা হয়।
জাতিসংঘের কর্মীরা জানিয়েছেন, হুমকি পাওয়া নারীরা তাঁদের সংস্থার কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তাঁদের উপস্থিতি অপরিহার্য। জাতিসংঘ সূত্র বলছে, এভাবে নারী কর্মীদের সরিয়ে দিলে মানবিক সহায়তার প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এক নির্দেশনার মাধ্যমে নারীদের অধিকাংশ কর্মস্থলে কাজ করা নিষিদ্ধ করে দেয় আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তালিবান। শরিয়া আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তারা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তখন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এদিকে জাতিসংঘে কর্মরত নারীদের হুমকির বিষয়ে তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা এ ধরনের হুমকির ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাবুলে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সাময়িকভাবে অফিসে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তারা নারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা করেছে এবং নারীদের নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোর কাছে সহায়তা পৌঁছাতে কাজ অব্যাহত রেখেছে। ২০২৪ সালে আফগানিস্তানে প্রায় ১ কোটিরও বেশি নারী ও শিশুকে সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি।
আফগানিস্তানে প্রায় ৪ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি মানুষ জাতিসংঘের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। নারী কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হলে এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কাবুলে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই হুমকির কারণে আমাদের অনেক নারী সহকর্মী আর মুক্তভাবে চলাচল বা কাজ করতে পারবে না।’ এই পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বেশ কয়েকজন আফগান নারী কর্মী ভয়াবহ হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছেন। অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি তাঁদের পিছু নিয়েছে, বাড়ি পর্যন্ত অনুসরণ করেছে এবং অফিসে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আগামীকাল অফিসে এসো না, নইলে মেরে ফেলব।’
জাতিসংঘের অন্তত তিনটি সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মে মাসের শেষ দিকে এসব ঘটনার সূচনা হয়। অফিস শেষে নারীরা যখন কাবুলে জাতিসংঘ কম্পাউন্ড থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন তাঁদের একদল অজ্ঞাত পুরুষ অনুসরণ করে। এরপর বাড়ির বাইরে অস্ত্রের মুখে দাঁড় করিয়ে তাঁদের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি তাঁদের বাবা, স্বামী ও ভাইদেরও হুমকি দিয়ে নারীদের কাজ বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করা হয় এবং এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ঘটনাটি ভিডিও করে রাখা হয়।
জাতিসংঘের কর্মীরা জানিয়েছেন, হুমকি পাওয়া নারীরা তাঁদের সংস্থার কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তাঁদের উপস্থিতি অপরিহার্য। জাতিসংঘ সূত্র বলছে, এভাবে নারী কর্মীদের সরিয়ে দিলে মানবিক সহায়তার প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এক নির্দেশনার মাধ্যমে নারীদের অধিকাংশ কর্মস্থলে কাজ করা নিষিদ্ধ করে দেয় আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তালিবান। শরিয়া আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তারা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তখন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এদিকে জাতিসংঘে কর্মরত নারীদের হুমকির বিষয়ে তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা এ ধরনের হুমকির ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাবুলে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সাময়িকভাবে অফিসে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তারা নারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা করেছে এবং নারীদের নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোর কাছে সহায়তা পৌঁছাতে কাজ অব্যাহত রেখেছে। ২০২৪ সালে আফগানিস্তানে প্রায় ১ কোটিরও বেশি নারী ও শিশুকে সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি।
আফগানিস্তানে প্রায় ৪ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি মানুষ জাতিসংঘের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। নারী কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হলে এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কাবুলে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই হুমকির কারণে আমাদের অনেক নারী সহকর্মী আর মুক্তভাবে চলাচল বা কাজ করতে পারবে না।’ এই পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে।
নেপালের পর্যটন এলাকা চন্দ্রগিরিতে একটি কেবল কারে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, নেতাদের বাসভবন এমনকি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে‘মধ্যস্থতাকারী’—শব্দটা যেন কাতারের প্রতিশব্দই হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্ব চলছে এমন দুই দেশের সঙ্গে বেশ আলাদাভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে কাতারের। এবং বরাবরই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই আরব দেশটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, হামাস-
১ ঘণ্টা আগেভারত মিয়ানমারের শক্তিশালী এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সহায়তায় দেশটি থেকে বিরল খনিজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা এ কৌশলগত সম্পদের বিকল্প উৎস খুঁজছে দিল্লি। ভারতের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমারের উত্তর
২ ঘণ্টা আগেভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, নেপালের উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সশস্ত্র সীমা বল পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
২ ঘণ্টা আগে