অভিশংসিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। দেশটির আইনপ্রণেতারা আজ শনিবার ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। তবে এখনই তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারিত হবেন না। বিরোধী দল একে ‘জনগণের বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে যখন অভিশংসনের ভোট চলছিল তখনো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের রাস্তায় ইউনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী সমাবেশে লাখো মানুষ অংশ নেয়। এর আগে ইউন সুক ইওল গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন আরোপের ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন এবং ৮৫ জন বিপক্ষে। তিনজন ভোটদানে বিরত থাকেন এবং আটটি ভোট বাতিল করা হয়। অভিশংসনের কারণে ইউন তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত এখন এই ভোট নিয়ে পর্যালোচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী হন ডাক-সু বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আদালতের সামনে রয়েছে ১৮০ দিন, এই সময়ে তারা ইউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। অভিশংসনের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০০ ভোট। ফলে, বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ইউনের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অন্তত আটজন এমপিকে তাঁদের পক্ষে আনতে হয়েছে।
সিউল পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, পার্লামেন্টের বাইরে অন্তত ২ লাখ মানুষ প্রেসিডেন্টের অপসারণের দাবিতে জড়ো হয়েছিল। অন্যদিকে, সিউলের গাওয়াংহামুন স্কয়ারের কাছে ইউনের সমর্থনে ৩০ হাজার মানুষ সমাবেশ করে। এই সমাবেশে দেশপ্রেমের গান বাজানো হয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার পতাকা ওড়ানো হয়।
ইউনের এক সমর্থক চোই হি-সুন। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না ইউনের সামনে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে দেশের কমিউনিস্ট শত্রুদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শনিবার ভোটের আগে বলেছিল—অভিশংসনই সংবিধান, আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎ রক্ষার একমাত্র উপায়। দলের মুখপাত্র হোয়াং জুং-আ বলেন, ‘আমরা আর ইউনের উন্মাদনা সহ্য করব না।’
অন্যদিকে, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত ইউনকে অপসারণের পক্ষে রায় দেয়, তাহলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে অভিশংসন আটকে দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশটিতে। ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউনকে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন এবং অযোগ্যতার অভিযোগে পার্লামেন্টে অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সাংবিধানিক আদালত তাঁকে পুনর্বহাল করেন। বর্তমানে আদালতে মাত্র ছয়জন বিচারক আছেন এবং ইউনকে অপসারণে তাঁদের সবাইকে একমত হতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউন সুক ইওলের জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নেমেছে। গত শুক্রবার গ্যালপ কোরিয়া প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে তাঁর প্রতি মাত্র ১১ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে। একই জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ মানুষ এখন তাঁর অভিশংসন সমর্থন করছেন।
অভিশংসিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। দেশটির আইনপ্রণেতারা আজ শনিবার ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। তবে এখনই তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারিত হবেন না। বিরোধী দল একে ‘জনগণের বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে যখন অভিশংসনের ভোট চলছিল তখনো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের রাস্তায় ইউনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী সমাবেশে লাখো মানুষ অংশ নেয়। এর আগে ইউন সুক ইওল গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন আরোপের ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন এবং ৮৫ জন বিপক্ষে। তিনজন ভোটদানে বিরত থাকেন এবং আটটি ভোট বাতিল করা হয়। অভিশংসনের কারণে ইউন তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত এখন এই ভোট নিয়ে পর্যালোচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী হন ডাক-সু বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আদালতের সামনে রয়েছে ১৮০ দিন, এই সময়ে তারা ইউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। অভিশংসনের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০০ ভোট। ফলে, বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ইউনের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অন্তত আটজন এমপিকে তাঁদের পক্ষে আনতে হয়েছে।
সিউল পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, পার্লামেন্টের বাইরে অন্তত ২ লাখ মানুষ প্রেসিডেন্টের অপসারণের দাবিতে জড়ো হয়েছিল। অন্যদিকে, সিউলের গাওয়াংহামুন স্কয়ারের কাছে ইউনের সমর্থনে ৩০ হাজার মানুষ সমাবেশ করে। এই সমাবেশে দেশপ্রেমের গান বাজানো হয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার পতাকা ওড়ানো হয়।
ইউনের এক সমর্থক চোই হি-সুন। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না ইউনের সামনে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে দেশের কমিউনিস্ট শত্রুদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শনিবার ভোটের আগে বলেছিল—অভিশংসনই সংবিধান, আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎ রক্ষার একমাত্র উপায়। দলের মুখপাত্র হোয়াং জুং-আ বলেন, ‘আমরা আর ইউনের উন্মাদনা সহ্য করব না।’
অন্যদিকে, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত ইউনকে অপসারণের পক্ষে রায় দেয়, তাহলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে অভিশংসন আটকে দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশটিতে। ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউনকে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন এবং অযোগ্যতার অভিযোগে পার্লামেন্টে অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সাংবিধানিক আদালত তাঁকে পুনর্বহাল করেন। বর্তমানে আদালতে মাত্র ছয়জন বিচারক আছেন এবং ইউনকে অপসারণে তাঁদের সবাইকে একমত হতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউন সুক ইওলের জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নেমেছে। গত শুক্রবার গ্যালপ কোরিয়া প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে তাঁর প্রতি মাত্র ১১ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে। একই জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ মানুষ এখন তাঁর অভিশংসন সমর্থন করছেন।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার মাত্র ঘণ্টা তিনেক পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাশ্মীর উপত্যকা। শনিবার রাত ৮টার দিকে শ্রীনগরের রামবাগ এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ তিনজন আহত হন। এর পর থেকেই উপত্যকার একাধিক শহরে ব্ল্যাকআউট ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
১৫ মিনিট আগেচারদিনের টানা সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ’পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করেছে। কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনা এখন সাময়িকভাবে প্রশমিত হলেও, দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ভর করবে আলোচনার ধারাবাহিকতা ও আন্তরিকতার ওপর।
১ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতির ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাকিস্তানের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। এরপর বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে উভয় দেশের সামরিক অভিযান পরিচালনাকারী (ডিজিএমও) শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। তারপর ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা (ব্রিটিশ সময় দুপুর ১২:৩০) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় এক দোকানদার বিবিসির প্রতিবেদককে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জন্য ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে দোষ দিচ্ছে।’ তিনি বিশ্বাস করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জবাব দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসারও কোনো সহজ পথ দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত
৪ ঘণ্টা আগে