মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে ‘পিকনিকে’ আসা অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই যাত্রীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ ঘাটে নোঙর করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙচুরের খবর পেয়ে সেখানে যান তারা। পরে ভেতরে ঢুকে বেশ কিছু দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং মারধরের শিকার তরুণীদের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসেন।
ঘটনাস্থলে ছিলেন এমন একজন সাংবাদিক জানান, ঢাকা-লালমোহন রুটের লঞ্চটি প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। লঞ্চটির দ্বিতীয় তলার বেশ কয়েকটি কেবিনে ২০-২৫ জন কিশোর-যুবক ও দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ছিল। তারা ঢাকা থেকে ওই লঞ্চের কেবিন ভাড়া করে সারা দিন পিকনিক করে রাতে বাড়ি ফিরছিল।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা রঙের পোশাক পরিহিত এক তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে লাঠি দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন মুন্সিগঞ্জ শহরের নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের একজন। এ সময় ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিওতে মারধর করতে থাকা নেহাল আহমেদ জিহাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় ২০০-৩০০ লোক তাদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসেবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষ তরুণীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলত। আরও বেশি হেনস্তা করত। তা ছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত আটটি মোবাইল ফোন আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি। আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া এ ঘটনার একাধিক ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, থেমে থাকা লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় উঠে গণহারে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যাত্রীদের পেটাচ্ছে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এ সময় তারা লঞ্চের কেবিনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৌভ্রমণে বের হয়ে আক্রমণের শিকার ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের লঞ্চটিতে পিকনিকের উদ্দেশ্যে আসা অন্তত ছয়জন যাত্রী মারধরে আহত হয়। এর মধ্যে দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী। তবে, তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া লঞ্চটিতে অন্তত ৩০০ জন সাধারণ যাত্রী ছিল। তাদের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের উত্তেজনা দেখে তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে জানান, সন্ধ্যার নাশতা কেনার জন্য ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী লঞ্চ থেকে পন্টুনে নামে। সেখানে থাকা স্থানীয়রা মাদকসেবী সন্দেহে তাদের পিছু নিয়ে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করলে লঞ্চের ম্যানেজার মো. শফিক তাদের প্রবেশে বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত লোকজন জড়ো হয়ে লঞ্চে ঢুকে ভাঙচুর, লুট ও যাত্রীদের মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কমে আসে।’
প্রকাশ্যে তরুণীদের মারধরের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনাটি যেহেতু নদীতে ঘটেছে, এ বিষয়ে নৌ পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে শুনেছি।’
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থানার পুলিশের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। মারধরের ঘটনার পর আমরা লঞ্চটিকে অনেক দূর পর্যন্ত পাহারা দিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসি। ভুক্তভোগীরা পরে মারধর ও লুটের ঘটনায় অভিযোগ করবেন বলে আমাদের জানান। আজ (শনিবার) সকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে ‘পিকনিকে’ আসা অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই যাত্রীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ ঘাটে নোঙর করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙচুরের খবর পেয়ে সেখানে যান তারা। পরে ভেতরে ঢুকে বেশ কিছু দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং মারধরের শিকার তরুণীদের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসেন।
ঘটনাস্থলে ছিলেন এমন একজন সাংবাদিক জানান, ঢাকা-লালমোহন রুটের লঞ্চটি প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। লঞ্চটির দ্বিতীয় তলার বেশ কয়েকটি কেবিনে ২০-২৫ জন কিশোর-যুবক ও দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ছিল। তারা ঢাকা থেকে ওই লঞ্চের কেবিন ভাড়া করে সারা দিন পিকনিক করে রাতে বাড়ি ফিরছিল।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা রঙের পোশাক পরিহিত এক তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে লাঠি দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন মুন্সিগঞ্জ শহরের নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের একজন। এ সময় ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিওতে মারধর করতে থাকা নেহাল আহমেদ জিহাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় ২০০-৩০০ লোক তাদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসেবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষ তরুণীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলত। আরও বেশি হেনস্তা করত। তা ছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত আটটি মোবাইল ফোন আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি। আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া এ ঘটনার একাধিক ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, থেমে থাকা লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় উঠে গণহারে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যাত্রীদের পেটাচ্ছে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এ সময় তারা লঞ্চের কেবিনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৌভ্রমণে বের হয়ে আক্রমণের শিকার ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের লঞ্চটিতে পিকনিকের উদ্দেশ্যে আসা অন্তত ছয়জন যাত্রী মারধরে আহত হয়। এর মধ্যে দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী। তবে, তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া লঞ্চটিতে অন্তত ৩০০ জন সাধারণ যাত্রী ছিল। তাদের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের উত্তেজনা দেখে তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে জানান, সন্ধ্যার নাশতা কেনার জন্য ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী লঞ্চ থেকে পন্টুনে নামে। সেখানে থাকা স্থানীয়রা মাদকসেবী সন্দেহে তাদের পিছু নিয়ে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করলে লঞ্চের ম্যানেজার মো. শফিক তাদের প্রবেশে বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত লোকজন জড়ো হয়ে লঞ্চে ঢুকে ভাঙচুর, লুট ও যাত্রীদের মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কমে আসে।’
প্রকাশ্যে তরুণীদের মারধরের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনাটি যেহেতু নদীতে ঘটেছে, এ বিষয়ে নৌ পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে শুনেছি।’
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থানার পুলিশের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। মারধরের ঘটনার পর আমরা লঞ্চটিকে অনেক দূর পর্যন্ত পাহারা দিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসি। ভুক্তভোগীরা পরে মারধর ও লুটের ঘটনায় অভিযোগ করবেন বলে আমাদের জানান। আজ (শনিবার) সকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নে বসতবাড়ির পাশের একটি কৃষি জমি থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরীর নাম জান্নাতি (১৫)। সে কাগজিপাড়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল হকের মেয়ে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে...
২২ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন মাস্টারবাড়ি এলাকায় কলেজছাত্র হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটে যাত্রী...
৪৪ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে গ্রাম্য সালিসে এক নারীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উত্তর সাদুল্যা রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। স্থানীয় একাধিক নিরপেক্ষ সূত্র সালিস বৈঠক ও তাতে নারীর চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই নারীর অভিযোগ, তাকে...
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাড়া বাসা থেকে সরকারি একটি পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় চোরের সন্ধান দিতে পারলে তাকে ৫০ হাজার ও ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম। আজ রোববার...
২ ঘণ্টা আগে