অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে এ নিয়ে কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুবিও পৃথক ফোনকলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মণ্যম জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে কথা বলেছেন। উভয় পক্ষকে ‘ভুল হিসাব-নিকাশ’ এড়াতে উত্তেজনা কমানো এবং সরাসরি যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার উপায় বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গেও কথা বলেছেন মার্কো রুবিও। তিনি উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার জন্য উভয় পক্ষকে অনুরোধ করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে’ মধ্যস্থতা করার জন্য মার্কিন সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
পাকিস্তানি বা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনকলে মার্কিন সহায়তার এই ধরনের প্রস্তাবের কথা এই প্রথম উল্লেখ করা হলো।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে আল-জাজিরার উম্মে কুলসুম শরীফ জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হামলাকে ‘প্রকাশ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে অভিহিত করেছে।
ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তান ড্রোন এবং অন্যান্য গোলাবারুদ ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই ড্রোনগুলোকে প্রতিহত করে ধ্বংস করেছে।
সাংবাদিক উম্মে কুলসুম বলেন, পুরো এলাকা জুড়ে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় ভারী কামানের গোলাগুলি চলছে। ভারত জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা বৃদ্ধির পর থেকে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সীমান্ত এলাকার গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারত উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ করলে ইসলামাবাদও তা বন্ধ করবে।
স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ‘যদি সামান্যতমও শুভবুদ্ধি থাকে, ভারত থামবে এবং তারা থামলে আমরাও থামব।’
দার বলেন, ‘আমরা কোনো একটি দেশের আধিপত্য নয়, আন্তরিকভাবে শান্তি চাই।’
শনিবার ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে সামরিক অভিযান চালানো এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ তোলার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ মন্তব্য এলো।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে চীন ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। উত্তেজনা প্রশমনে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ পালনের অঙ্গীকার করেছে বেইজিং।
আজ শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চীন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
মুখপাত্র আরও যোগ করেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে উভয় পক্ষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার, শান্ত ও সংযত থাকার এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমাধানের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও কলামিস্ট বিবেক কাটজু আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরে’ ভারত ধৈর্য দেখিয়ে এসেছে। এখন ‘অগ্রহণযোগ্য সন্ত্রাসী হামলার’ মুখে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের মারাত্মক হামলা ছিল তেমনই একটি আক্রমণ।
কাটজু বলেন, ‘যদি স্থল সেনা মোতায়েন হতে শুরু করে তবে আমি উদ্বিগ্ন হব। কোনো দেশই তা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনারা ইতিহাসে ফিরে যান, ২০০২ সালে সংসদ ভবনে হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সেটি খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি ছিল। তবে তখনও কোনো সরাসরি সংঘাত বা স্থলযুদ্ধ হয়নি।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে, আমি যেমন বলেছি, হ্যাঁ, এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। তবে স্পষ্টতই পাকিস্তানিরা সেই পুরোনো ভাষ্য ব্যবহার করছে যে, সন্ত্রাসবাদ ঠিক আছে –আমরা এটি চর্চা করি – তবে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত নয়, ভারতের কেবল সহ্য করা উচিত। এখন আর তা হবে না।’
পাকিস্তান ২২ এপ্রিলের হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তারা একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে মার্কিন মিশন তাদের সব কর্মীর চলাচল ‘সীমিত’ করেছে এবং জানিয়েছে, তারা আজ বিকেলে পরিস্থিতি পুনরায় মূল্যায়ন করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরর মার্কিন নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদ এবং সশস্ত্র সংঘাতের সম্ভাবনার কারণে সকল প্রকার ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য তাঁদের ‘ভ্রমণ করবেন না’ পরামর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যদি মার্কিন নাগরিকেরা কোনো সক্রিয় সংঘাতের এলাকায় নিজেদের আবিষ্কার করেন, তবে তাঁদের সেখান থেকে চলে যাওয়া উচিত। যদি নিরাপদে চলে যাওয়া সম্ভব না হয়, তবে কোথাও আশ্রয় নেওয়া উচিত।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের রাজৌরি জেলার কমিশনার রাজ কুমার থাপ্পা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে তাঁর বাড়িতে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। পাকিস্তানি বাহিনী রাজৌরি, পুঞ্চ এবং জম্মু জেলা লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, রাজৌরি শহরে হামলায় দুই বছর বয়সী এক শিশুসহ আরও দুজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, পুঞ্চ জেলার কানগ্রা-গালহুত্তা গ্রামে একটি মর্টার শেল বাড়িতে আঘাত হানলে ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জম্মু জেলার আর এস পুরা সেক্টরের বিদিপুর জাট্টা গ্রামের এক বাসিন্দা নিহত হয়েছেন।
তবে আল-জাজিরা এই দাবিগুলোর সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
পাকিস্তানের সিয়ালকোট শহরে বিরোধপূর্ণ সীমান্তের কাছে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা অন্তত ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
লাহোর এবং করাচির বাসিন্দারাও গত কয়েক ঘণ্টায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
এটিই উদ্বেগের বিষয়, কারণ উভয় দেশের বেসামরিক এলাকায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এরই মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত করার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে পাকিস্তান বলেছে, তারা এই হামলার মুখে নীরব থাকতে পারে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি বিবরণীতে বলা হয়েছে, রুবিও উভয়পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করেছেন। ‘ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করার জন্য’ মার্কিন সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি বা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুবিওর ফোন কলের বিবরণীতে মার্কিন সহায়তার এই ধরনের প্রস্তাবের কথা এই প্রথম উল্লেখ করা হলো।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজৌরি শহরের জেলা কমিশনার রাজ কুমার থাপ্পা পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন। তাঁর বাসভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘এই প্রাণহানিতে আমার শোক ও দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই।’
আজ শনিবার সকাল থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলি ও তীব্র বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম পিটিভি নিউজ জানাচ্ছে, অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুসের অংশ হিসেবে চালানো একটি সাইবার হামলায় ভারতে বিদ্যুৎ গ্রিড আক্রান্ত হয়েছে।
আল-জাজিরা এই দাবির সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি। ভারত সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ বলে সতর্ক করেছে জি-৭।
বিশ্বের সাতটি প্রভাবশালী দেশের জোট জি-৭ ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জি-৭ এর সদস্য রাষ্ট্র কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আরও সামরিক উত্তেজনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। আমরা উভয় পক্ষের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং দ্রুত ও স্থায়ী কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি আমাদের সমর্থন জানাচ্ছি।’
ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জবাবে এবার পাকিস্তানের পাল্টা ‘বুনিয়ান মারসুস’ অভিযান শুরু হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছে, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করেছে, যার সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুনিয়ান মরসুস’।
সামরিক সূত্র দাবি করেছে, পাকিস্তান ভারতের উধমপুর শহরের বিমানঘাঁটি এবং পাঠানকোটে একটি এয়ার ফিল্ডকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, উভয়ই ‘ধ্বংস’ হয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র আরও দাবি করেছে, ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বিয়াসে একটি ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামেও আঘাত হানা হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমান তাদের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে সব কিছু নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে। আজ শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় আকাশসীমা আবার খোলার কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছে উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় রাজ্য পাঞ্জাবের অমৃতসরে চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর রাতের আকাশে প্রজেক্টাইল (ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট) দেখা গেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। মিশ্রি এই প্রতিক্রিয়াকে ‘হাস্যকর’ অভিহিত করে বলেছেন, পাকিস্তান ভারত সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে, ভারত পাকিস্তানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যেটি আবার ভারতের ভূখণ্ডেই পড়েছে!