বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয় নোবেল পুরস্কারকে। তবে এই পুরস্কারে লিঙ্গবৈষম্য প্রকট। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাঁচ ক্যাটাগরির মধ্যে চারটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই চার ক্যাটাগরিতে এবার ১০ জন নোবেল পেয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জনই পুরুষ। শুধু এবারই নয় এখন পর্যন্ত নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৮৫ জনই পুরুষ। আর নারী রয়েছেন মাত্র ৫৯ জন।
চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল জিতেছেন ভারত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জানজিবারের শরণার্থী আবদুল রাজাক গুরনাহ। চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। জলবায়ু বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতেছেন জাপানের সুকোরো মানাবে, জার্মানির ক্লাউস হাসেলম্যান, ইতালির জর্জিও পারিসি। নতুন অণু তৈরির কৌশল উদ্ভাবন করে নোবেল পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান। আর গতকাল শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এটি আগামী সোমবার ঘোষণা করা হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মোট নারীর সংখ্যা ৫৮ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত পাওয়া ১ জনকে হিসাবে নিলে তা ৫৯। এটি ৬০-এর কোটা পেরোনোর সম্ভাবনা তেমন নেই এবার। অন্যদিকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নোবেল পাওয়া পুরুষের সংখ্যা ৮৭৬ জন। এবার এ তালিকায় এরই মধ্যে ৯ জন যুক্ত হয়েছেন। শতাংশের হিসাব আনলে এই পরিসংখ্যান আরও চমকে দেবে। কারণ, এই হিসাব বলছে, এখন পর্যন্ত মোট ঘোষিত নোবেল পুরস্কারের ৯৩ দশমিক ৭৫ শতাংশই গেছে পুরুষের দখলে। নারীর জন্য তাহলে বাকি থাকল কী? ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ নিয়ে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা সুইডিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফিমেল অ্যাকাডেমিকসের প্রধান অ্যান মেরি বলেন, সাহিত্যে নোবেল জেতা আবদুল রাজাক গুরনাহ ইউরোপের নন। তবে তিনি তো আর নারী নন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের অধ্যাপক উইনস্টন মরগান রয়টার্সকে বলেন, নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য অনেক বড়। নারীদের নোবেল জেতার সংখ্যা খুবই কম।
নোবেল পুরস্কার প্রদান করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। এই কমিটির অধিকাংশই নারী। বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এলি মারে বলেন, এমআরএনএ ভ্যাকসিন বিকাশের প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো ও কিজমেকিয়া করবেট। এই প্রযুক্তি বৈশ্বিক মহামারি করোনার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে লড়াই করতে সহায়তা করছে। তবু তাঁরা নোবেল পাননি। বিষয়টি হতাশাজনক।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের বছরের এই দুই নারীর কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। নোবেল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান জেসপার হেগস্ট্রোম। এই সংস্থাটি চিকিৎসায় নোবেল দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করে। নারীদের নোবেল জয় সম্পর্কে হেগস্ট্রোম বলেন, নারীদের পুরস্কার কম জেতার কারণ ব্যাখ্যা করা সহজ নয়। তবে এটি বিজ্ঞানে নারীর প্রতিনিধিত্বকে প্রতিফলিত করেছিল।
নোবেল কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ কোনো ভূমিকা পালন করেছে কি-না এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অবশ্য রাজি হননি হেগস্ট্রোম।
বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয় নোবেল পুরস্কারকে। তবে এই পুরস্কারে লিঙ্গবৈষম্য প্রকট। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাঁচ ক্যাটাগরির মধ্যে চারটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই চার ক্যাটাগরিতে এবার ১০ জন নোবেল পেয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জনই পুরুষ। শুধু এবারই নয় এখন পর্যন্ত নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৮৫ জনই পুরুষ। আর নারী রয়েছেন মাত্র ৫৯ জন।
চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল জিতেছেন ভারত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জানজিবারের শরণার্থী আবদুল রাজাক গুরনাহ। চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। জলবায়ু বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতেছেন জাপানের সুকোরো মানাবে, জার্মানির ক্লাউস হাসেলম্যান, ইতালির জর্জিও পারিসি। নতুন অণু তৈরির কৌশল উদ্ভাবন করে নোবেল পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান। আর গতকাল শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এটি আগামী সোমবার ঘোষণা করা হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মোট নারীর সংখ্যা ৫৮ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত পাওয়া ১ জনকে হিসাবে নিলে তা ৫৯। এটি ৬০-এর কোটা পেরোনোর সম্ভাবনা তেমন নেই এবার। অন্যদিকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নোবেল পাওয়া পুরুষের সংখ্যা ৮৭৬ জন। এবার এ তালিকায় এরই মধ্যে ৯ জন যুক্ত হয়েছেন। শতাংশের হিসাব আনলে এই পরিসংখ্যান আরও চমকে দেবে। কারণ, এই হিসাব বলছে, এখন পর্যন্ত মোট ঘোষিত নোবেল পুরস্কারের ৯৩ দশমিক ৭৫ শতাংশই গেছে পুরুষের দখলে। নারীর জন্য তাহলে বাকি থাকল কী? ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ নিয়ে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা সুইডিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফিমেল অ্যাকাডেমিকসের প্রধান অ্যান মেরি বলেন, সাহিত্যে নোবেল জেতা আবদুল রাজাক গুরনাহ ইউরোপের নন। তবে তিনি তো আর নারী নন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের অধ্যাপক উইনস্টন মরগান রয়টার্সকে বলেন, নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য অনেক বড়। নারীদের নোবেল জেতার সংখ্যা খুবই কম।
নোবেল পুরস্কার প্রদান করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। এই কমিটির অধিকাংশই নারী। বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এলি মারে বলেন, এমআরএনএ ভ্যাকসিন বিকাশের প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো ও কিজমেকিয়া করবেট। এই প্রযুক্তি বৈশ্বিক মহামারি করোনার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে লড়াই করতে সহায়তা করছে। তবু তাঁরা নোবেল পাননি। বিষয়টি হতাশাজনক।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের বছরের এই দুই নারীর কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। নোবেল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান জেসপার হেগস্ট্রোম। এই সংস্থাটি চিকিৎসায় নোবেল দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করে। নারীদের নোবেল জয় সম্পর্কে হেগস্ট্রোম বলেন, নারীদের পুরস্কার কম জেতার কারণ ব্যাখ্যা করা সহজ নয়। তবে এটি বিজ্ঞানে নারীর প্রতিনিধিত্বকে প্রতিফলিত করেছিল।
নোবেল কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ কোনো ভূমিকা পালন করেছে কি-না এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অবশ্য রাজি হননি হেগস্ট্রোম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নির্দেশনা ধরে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। নানা অস্পষ্টতা থাকার পরও চুক্তি এখনো টিকে আছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফিরিয়ে দিতে দেরি করছে, এই অজুহাতে তেল আবিব গাজায় ত্রাণ প্রবেশের হার...
৭ ঘণ্টা আগেগাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইহুদি বিদ্বেষী স্লোগান দেওয়া এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। স্যামুয়েল উইলিয়ামস নামের ওই ছাত্র দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়ছেন।
৯ ঘণ্টা আগেগাজার বেসামরিক মানুষের ওপর সহিংসতা বন্ধ করে হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য কমান্ড (সেন্টকম)। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সেন্টকমের প্রধান কমান্ডার ব্র্যাড কুপার বলেন, হামাস যেন দেরি না করে গাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও সহিংসতা বন্ধ করে।
৯ ঘণ্টা আগেআসাদের সরকার ২০১২ সালের দিকে কুতাইফা এলাকায় মরদেহ দাফন শুরু করে। সেখানে সেনা, বন্দী ও কারাগারে নিহত ব্যক্তিদের লাশ ফেলা হতো। ২০১৪ সালে এক মানবাধিকারকর্মী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ছবি প্রকাশের মাধ্যমে ওই গণকবরের অস্তিত্ব প্রকাশ করেন। রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পরে ওই স্থান পুরোপুরি খালি করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে