Ajker Patrika

আকাশ ও জলপথে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

ইরান থেকে রাশিয়ায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তরে ব্যবহৃত জাহাজ ও বন্দরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ছবি: এএফপি
ইরান থেকে রাশিয়ায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তরে ব্যবহৃত জাহাজ ও বন্দরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন ও সহযোগিতা করায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তরে ব্যবহৃত জাহাজ ও বন্দরের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তেহরানের নিন্দা জানিয়ে ইইউ বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল রপ্তানি, স্থানান্তর, সরবরাহ বা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন বা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলোর সঙ্গে যে কোনো লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ব্রাসেলসে ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে এক বৈঠকে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়, কাস্পিয়ান সাগরে ইরানের দুটি বন্দর আমিরাবাদ ও আনজালির কোনো সুবিধা দেওয়া–নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে সাগরে নিরাপত্তার প্রয়োজনে জাহাজ থেকে সহায়তা নেওয়া যাবে।

এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত শিপিং কোম্পানি ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান শিপিং লাইনস (আইআরআইএসএল) ও এর পরিচালক মোহাম্মদ রেজা খিয়াবানি এবং তিনটি রুশ শিপিং কোম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্পিয়ান সাগর ব্যবহার করে অস্ত্র পরিবহন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যও গতকাল সোমবার ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। আইআরআইএসএল ও জাতীয় এয়ারলাইনস ইরান এয়ারের যেসব পরিবহন রাশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সরবরাহে ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো জব্দ করেছে ব্রিটিশ সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরিবহনে ব্যবহৃত রুশ কার্গো জাহাজ পোর্ট ওলিয়া–৩ যুক্তরাজ্যের কোনো বন্দরে ভিড়তে পারবে না।

রাশিয়াকে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এর আগেও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। রাশিয়াকে ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের এই অভিযোগ সেসময়ও অস্বীকার করেছে ইরান।

নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত রোববার (১৭ নভেম্বর) বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বায়বীয় অজুহাত দেখিয়ে ইরানের শিপিং লাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এসবের কোনো আইনি, যুক্তিগত বা নৈতিক ভিত্তি নেই। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই জানান, নতুন করে দেওয়া এ নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সে সিদ্ধান্ত নেবে তেহরান।

এর আগে ২০১৮ সালে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর ইরানের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত