ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যেখানে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সেখানে তাঁর দেশের শীর্ষ সমরবিদ তথা জেনারেলরা গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির পক্ষে। জেনারেলরা বিশ্বাস করেন, হামাসের হাতে থাকা বাদবাকি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য এই যুদ্ধবিরতি জরুরি। এ ছাড়া উত্তরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমনের ক্ষেত্রেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেন মনে করেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইসরায়েলের সাবেক ও বর্তমান ৬ সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এই ৬ সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, হামাসের হাতে থাকা আরও প্রায় ১২০ জন জিম্মিকে দ্রুত উদ্ধারে যুদ্ধবিরতি জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা মনে করেন—তাদের বাহিনী, এখন বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধের জন্য সুসজ্জিত নয়। তাঁরা বলছেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে বাহিনীকে পুনরায় সজ্জিত করার জন্য সময় প্রয়োজন। তাঁরা জানিয়েছেন, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভিসহ প্রায় ৩০ জন জ্যেষ্ঠ জেনারেলের সমন্বয়ে গঠিত ইসরায়েলের শীর্ষ সামরিক নীতি নির্ধারণী সংস্থা জেনারেল স্টাফ ফোরাম গাজায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে পারে বলে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটি গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে যে—এমনটা না হলে জেনারেল হালেভির পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী জিম্মি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতিকে পূর্ণ সমর্থন করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি লেবাননে উত্তেজনা হ্রাসের সম্ভাবনা বাড়াবে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্রে (ইসরায়েলকে) প্রস্তুত হওয়ার পর্যাপ্ত সময় দেবে।’
গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা সংক্রান্ত কৌশলে সশস্ত্র বাহিনীর পরিবর্তন ও নেতানিয়াহু সরকারের সুনির্দিষ্ট ‘গাজা পরিকল্পনার রূপরেখা’ না থাকার কারণে সমরবিদদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সরকারি দিকনির্দেশনার অভাবে গাজায় একটি ‘পাওয়ার ভ্যাকুয়াম’ বা শক্তির শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে, ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের একটি এলাকা থেকে সরিয়ে দিলেও শিগগিরই সেই এলাকা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সমর নেতারা প্রকাশ্যে তাদের ব্যক্তিগত অসন্তোষ তুলে ধরছেন।
নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করা এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করাসহ যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকসহ বিশেষজ্ঞেরা এসব লক্ষ্য অর্জনকে সুদূর পরাহত বলে আখ্যা দিয়েছেন। গাজা আগ্রাসনের ৯ মাস পর, ইসরায়েলি জেনারেলরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে—জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অব্যাহত সামরিক অভিযান তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। তাঁরা আরও মনে করছেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত হামাসকে অক্ষতই রাখবে এবং বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পদ ও মনোবল নষ্ট হবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জনসাধারণের জন্য যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, সেখানে সরাসরি যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন না করা হচ্ছে না। তবে এই বিষয়টি নেতিবাচক হতে পারে বলে মনে করেন ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি ইঙ্গিত করেছেন, বর্তমান কৌশল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।
তবে জেনারেলরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে একই সঙ্গে দেশের উত্তর সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বেশির ভাগ অংশ পুনরায় মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরায়েল তার সামরিক বাহিনীকে চাপে ফেলেছে এবং বর্তমানে এর রসদ-সরঞ্জাম ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। নিয়মিত সেনাদের বাইরে রিজার্ভ সেনাদের মনোবল কমে গেছে। এরই মধ্যে ৪ হাজার সেনা আহত হয়েছে গাজা যুদ্ধে। এই অবস্থায় সরঞ্জামের ঘাটতির বিষয়টি আমলে নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সংঘাতের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যেখানে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সেখানে তাঁর দেশের শীর্ষ সমরবিদ তথা জেনারেলরা গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির পক্ষে। জেনারেলরা বিশ্বাস করেন, হামাসের হাতে থাকা বাদবাকি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য এই যুদ্ধবিরতি জরুরি। এ ছাড়া উত্তরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমনের ক্ষেত্রেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেন মনে করেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইসরায়েলের সাবেক ও বর্তমান ৬ সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এই ৬ সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, হামাসের হাতে থাকা আরও প্রায় ১২০ জন জিম্মিকে দ্রুত উদ্ধারে যুদ্ধবিরতি জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা মনে করেন—তাদের বাহিনী, এখন বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধের জন্য সুসজ্জিত নয়। তাঁরা বলছেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে বাহিনীকে পুনরায় সজ্জিত করার জন্য সময় প্রয়োজন। তাঁরা জানিয়েছেন, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভিসহ প্রায় ৩০ জন জ্যেষ্ঠ জেনারেলের সমন্বয়ে গঠিত ইসরায়েলের শীর্ষ সামরিক নীতি নির্ধারণী সংস্থা জেনারেল স্টাফ ফোরাম গাজায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে পারে বলে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটি গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে যে—এমনটা না হলে জেনারেল হালেভির পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী জিম্মি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতিকে পূর্ণ সমর্থন করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি লেবাননে উত্তেজনা হ্রাসের সম্ভাবনা বাড়াবে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্রে (ইসরায়েলকে) প্রস্তুত হওয়ার পর্যাপ্ত সময় দেবে।’
গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা সংক্রান্ত কৌশলে সশস্ত্র বাহিনীর পরিবর্তন ও নেতানিয়াহু সরকারের সুনির্দিষ্ট ‘গাজা পরিকল্পনার রূপরেখা’ না থাকার কারণে সমরবিদদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সরকারি দিকনির্দেশনার অভাবে গাজায় একটি ‘পাওয়ার ভ্যাকুয়াম’ বা শক্তির শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে, ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের একটি এলাকা থেকে সরিয়ে দিলেও শিগগিরই সেই এলাকা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সমর নেতারা প্রকাশ্যে তাদের ব্যক্তিগত অসন্তোষ তুলে ধরছেন।
নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করা এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করাসহ যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকসহ বিশেষজ্ঞেরা এসব লক্ষ্য অর্জনকে সুদূর পরাহত বলে আখ্যা দিয়েছেন। গাজা আগ্রাসনের ৯ মাস পর, ইসরায়েলি জেনারেলরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে—জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অব্যাহত সামরিক অভিযান তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। তাঁরা আরও মনে করছেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত হামাসকে অক্ষতই রাখবে এবং বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পদ ও মনোবল নষ্ট হবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জনসাধারণের জন্য যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, সেখানে সরাসরি যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন না করা হচ্ছে না। তবে এই বিষয়টি নেতিবাচক হতে পারে বলে মনে করেন ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি ইঙ্গিত করেছেন, বর্তমান কৌশল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।
তবে জেনারেলরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে একই সঙ্গে দেশের উত্তর সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বেশির ভাগ অংশ পুনরায় মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরায়েল তার সামরিক বাহিনীকে চাপে ফেলেছে এবং বর্তমানে এর রসদ-সরঞ্জাম ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। নিয়মিত সেনাদের বাইরে রিজার্ভ সেনাদের মনোবল কমে গেছে। এরই মধ্যে ৪ হাজার সেনা আহত হয়েছে গাজা যুদ্ধে। এই অবস্থায় সরঞ্জামের ঘাটতির বিষয়টি আমলে নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সংঘাতের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক।
ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
৭ মিনিট আগে২০১৩ সালে, ৩৪ বছর বয়সে থর পেডারসেন এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তটি শুধু ব্যতিক্রম নয়, এক কঠিন সংকল্পও বটে। কারণ তিনি কোনো উড়োজাহাজে না চড়েই পৃথিবীর প্রতিটি দেশ ঘুরে দেখার পণ করেন। প্রায় এক দশকের ব্যবধানে এভাবেই পৃথিবীর ২০৩টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন পেডারসেন।
২ ঘণ্টা আগেপেরুর আদি জাতি কুকামা সম্প্রদায়ের কাছে মারানিওন নদী শুধু পানির উৎস নয়, বরং এক পবিত্র আত্মিক সত্তা। প্রায় ৯০০ মাইল বা ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী আন্দিজ পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে আমাজনে মিশেছে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে এটি মারাত্মকভাবে তেল দূষণের শিকার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেচকলেটপ্রেমীদের জন্য ২০২৫ সাল নিয়ে এসেছে এক দুঃসংবাদ। চকলেটের প্রধান উপাদান কোকো’র ঘাটতি ও দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার চকলেট বার, ইস্টার এগ, এমনকি কোকো পাউডারের দামও আকাশছোঁয়া। গত এক বছরে কোকোর দাম প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে