মো. ইকবাল হোসেন
‘ডায়েট’ খুব ছোট্ট একটি শব্দ। তবে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। একজন মানুষ সারা জীবনে কতটা সুস্থ থাকবে, তার বেশির ভাগই নির্ভর করে তার ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসের ওপর। ওজন কমানো বা বাড়ানোসহ যেকোনো রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে ডায়েটের ভূমিকা অনন্য। বর্তমানে ওজন কমাতে বিভিন্ন রকমের ডায়েট চালু আছে।
একই ডায়েট চার্ট সবার জন্য নয়
একজন ব্যক্তির ডায়েট চার্ট অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। বয়স, ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ, পেশা, রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল, কিডনির কার্যকারিতা, শরীরে চর্বির পরিমাণ, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসসহ অনেক বিষয় বিবেচনা করে তবেই কোনো ব্যক্তির ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে পাওয়া ডায়েট চার্টগুলো কোনো কিছু বিবেচনা না করেই তৈরি করা হয়। অথবা কোনো একজনের জন্য তৈরি করা হয়। যেমন—১৫ বছরের এক শিশুর ডায়েট চার্ট আর ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ডায়েট চার্ট একই রকম হবে না। আবার ১৫ বছর বয়সী সব শিশুর ডায়েট চার্ট একই রকম না-ও হতে পারে। এ জন্য অনলাইনে পাওয়া ডায়েট চার্ট বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ডায়েটে কি ক্ষুধা সহ্য করতে হবে?
ডায়েটে ক্ষুধা সহ্য করতে হবে না। আপনি যদি আপনার শরীরের প্যারামিটারগুলো বিবেচনা করে সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলেন, তাহলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি থাকবে না। আপনি যদি ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েট করেন, তাহলে আপনি আপনার সারা দিনের কাজকর্মগুলো ঠিকভাবে করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার চাহিদার চেয়ে অনেক কম খাবার খান, তাহলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি থাকবে। সঠিক সময়ে পরিমিত পরিমাণে, সঠিক খাবার খেলেই ওজন কমবে।
ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েটের পরিণাম
ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েটের অর্থ আপনি চাহিদার চেয়ে অনেক কম খাবার খাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি হবে। ফলে ডায়েট শুরুর কিছুদিন পরেই এসবের অভাবজনিত লক্ষণগুলো দেখা দেবে। যেমন—
এ ছাড়া ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েট করলে অ্যাসিডিটিসহ আলসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা, পাকস্থলীতে সব সময় কিছু গ্যাস্ট্রিক জুস নিঃসৃত হয়। সেগুলো খাবার হজম করতে কাজ করে। পাকস্থলী যদি খাদ্যশূন্য থাকে, তাহলে সে গ্যাস্ট্রিক জুস অ্যাসিডিটির সমস্যাসহ আলসারের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তাই যেকোনো উদ্দেশ্যে
ডায়েট যদি করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে করুন। এতে আপনি সব ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
‘ডায়েট’ খুব ছোট্ট একটি শব্দ। তবে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। একজন মানুষ সারা জীবনে কতটা সুস্থ থাকবে, তার বেশির ভাগই নির্ভর করে তার ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসের ওপর। ওজন কমানো বা বাড়ানোসহ যেকোনো রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে ডায়েটের ভূমিকা অনন্য। বর্তমানে ওজন কমাতে বিভিন্ন রকমের ডায়েট চালু আছে।
একই ডায়েট চার্ট সবার জন্য নয়
একজন ব্যক্তির ডায়েট চার্ট অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। বয়স, ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ, পেশা, রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল, কিডনির কার্যকারিতা, শরীরে চর্বির পরিমাণ, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসসহ অনেক বিষয় বিবেচনা করে তবেই কোনো ব্যক্তির ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে পাওয়া ডায়েট চার্টগুলো কোনো কিছু বিবেচনা না করেই তৈরি করা হয়। অথবা কোনো একজনের জন্য তৈরি করা হয়। যেমন—১৫ বছরের এক শিশুর ডায়েট চার্ট আর ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ডায়েট চার্ট একই রকম হবে না। আবার ১৫ বছর বয়সী সব শিশুর ডায়েট চার্ট একই রকম না-ও হতে পারে। এ জন্য অনলাইনে পাওয়া ডায়েট চার্ট বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ডায়েটে কি ক্ষুধা সহ্য করতে হবে?
ডায়েটে ক্ষুধা সহ্য করতে হবে না। আপনি যদি আপনার শরীরের প্যারামিটারগুলো বিবেচনা করে সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলেন, তাহলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি থাকবে না। আপনি যদি ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েট করেন, তাহলে আপনি আপনার সারা দিনের কাজকর্মগুলো ঠিকভাবে করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার চাহিদার চেয়ে অনেক কম খাবার খান, তাহলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি থাকবে। সঠিক সময়ে পরিমিত পরিমাণে, সঠিক খাবার খেলেই ওজন কমবে।
ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েটের পরিণাম
ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েটের অর্থ আপনি চাহিদার চেয়ে অনেক কম খাবার খাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি হবে। ফলে ডায়েট শুরুর কিছুদিন পরেই এসবের অভাবজনিত লক্ষণগুলো দেখা দেবে। যেমন—
এ ছাড়া ক্ষুধা সহ্য করে ডায়েট করলে অ্যাসিডিটিসহ আলসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা, পাকস্থলীতে সব সময় কিছু গ্যাস্ট্রিক জুস নিঃসৃত হয়। সেগুলো খাবার হজম করতে কাজ করে। পাকস্থলী যদি খাদ্যশূন্য থাকে, তাহলে সে গ্যাস্ট্রিক জুস অ্যাসিডিটির সমস্যাসহ আলসারের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তাই যেকোনো উদ্দেশ্যে
ডায়েট যদি করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে করুন। এতে আপনি সব ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১৮ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১৮ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে