সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। এই কারণে বিশেষ করে, এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার মতো বিষয়গুলো বেড়ে গেছে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য বর্ষা–পরবর্তী মৌসুমে আরও অবনতি ঘটেছে’ শীর্ষক একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ১ হাজার ১৪৪ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
গবেষণায় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বিশ্বের উপকূলীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। ১৯৯০–এর দশকে বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা গড়ে আড়াই মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি এই হার প্রায় ৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার। জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান গতি বজায় থাকলে, ২১০০ সালের মধ্যে এই হার বেড়ে ২৬ থেকে ৭৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষের জীবনে ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে যারা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে, তাদের এই ঝুঁকি বেশি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বেশ কয়েকটি পরিবেশগত সমস্যার জন্ম দেয়, যেমন: উপকূলীয় বন্যা, কৃষির ক্ষতি এবং লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ—এই বিষয়গুলো জনস্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দৈনন্দিন জীবনে বিঘ্ন ঘটায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি উপকূলীয় অঞ্চলে বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি এবং ঋতুভিত্তিক প্রভাব নিয়ে গবেষণা খুব একটা হয়নি।’
এই গবেষণায় গবেষকেরা, ২০২১ সালের মার্চ থেকে এপ্রিল (বর্ষা মৌসুমের আগের মাসগুলো) এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর (বর্ষা–পরবর্তী মৌসুম) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব অনুসন্ধান করেন। ১ হাজার ১৪৪ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি এই গবেষণায় তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্যে বিভিন্ন অবস্থা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি কীভাবে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা বাড়ায় সে বিষয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন। এ ছাড়া, পরিবেশগত উপাদান এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও পরিমাপ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফলাফল থেকে জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটে। বিশেষত বর্ষা-পরবর্তী সময়ে দুশ্চিন্তা, হতাশা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানসিক অস্থিরতা বর্ষা-পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ে। পরিবেশগত চাপ এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে মাঝারি ও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বর্ষা-পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধি পায়। আমাদের এই গবেষণার ফলাফল দেখায়, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো দূর করতে তাৎক্ষণিক সহায়তা এবং স্থিতিশীলতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। এই কারণে বিশেষ করে, এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার মতো বিষয়গুলো বেড়ে গেছে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য বর্ষা–পরবর্তী মৌসুমে আরও অবনতি ঘটেছে’ শীর্ষক একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ১ হাজার ১৪৪ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
গবেষণায় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বিশ্বের উপকূলীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। ১৯৯০–এর দশকে বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা গড়ে আড়াই মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি এই হার প্রায় ৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার। জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান গতি বজায় থাকলে, ২১০০ সালের মধ্যে এই হার বেড়ে ২৬ থেকে ৭৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষের জীবনে ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে যারা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে, তাদের এই ঝুঁকি বেশি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বেশ কয়েকটি পরিবেশগত সমস্যার জন্ম দেয়, যেমন: উপকূলীয় বন্যা, কৃষির ক্ষতি এবং লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ—এই বিষয়গুলো জনস্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দৈনন্দিন জীবনে বিঘ্ন ঘটায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি উপকূলীয় অঞ্চলে বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি এবং ঋতুভিত্তিক প্রভাব নিয়ে গবেষণা খুব একটা হয়নি।’
এই গবেষণায় গবেষকেরা, ২০২১ সালের মার্চ থেকে এপ্রিল (বর্ষা মৌসুমের আগের মাসগুলো) এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর (বর্ষা–পরবর্তী মৌসুম) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব অনুসন্ধান করেন। ১ হাজার ১৪৪ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি এই গবেষণায় তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্যে বিভিন্ন অবস্থা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি কীভাবে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা বাড়ায় সে বিষয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন। এ ছাড়া, পরিবেশগত উপাদান এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও পরিমাপ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফলাফল থেকে জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটে। বিশেষত বর্ষা-পরবর্তী সময়ে দুশ্চিন্তা, হতাশা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানসিক অস্থিরতা বর্ষা-পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ে। পরিবেশগত চাপ এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে মাঝারি ও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বর্ষা-পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধি পায়। আমাদের এই গবেষণার ফলাফল দেখায়, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো দূর করতে তাৎক্ষণিক সহায়তা এবং স্থিতিশীলতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’
ক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
১ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
১ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
১ দিন আগেপেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
৩ দিন আগে