ফিচার ডেস্ক
যেকোনো ফার্মেসিতে ঢুকলেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট। শুধু ভিটামিন-মিনারেল নয়, সঙ্গে আছে হলুদ, ফিশ অয়েল, প্রোবায়োটিক, মেলাটোনিন—আরও কত কি। কিছু পণ্যে লেখা দেখবেন, ‘মেদ কমাবে, পেশি নয়’, আবার কোথাও লেখা, ‘মস্তিষ্ক ভালো রাখবে’, ‘হরমোন ঠিক করবে’, ‘ইমিউন সিস্টেম শক্ত করবে’; এমনকি ‘ডিপ্রেশন’ কমানোর কথাও লেখা থাকে।
এসব দেখে মাথা ঘুরে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এসব সাপ্লিমেন্ট কি আদতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? এমন প্রশ্ন অনেকের মাথায় হয়তো এসেছে। আবার কেউ প্রলোভনে পড়েও বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট কিনে নিয়েছেন। কিন্তু এসব আসলে কতটুকু সত্যি আর কতটা শুধু ব্যবসায়িক চমক, সেটি জানা জরুরি।
সাপ্লিমেন্ট আসলে কী
খুব সহজভাবে বললে, সাপ্লিমেন্ট হলো খাদ্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, আমেরিকার মতো দেশে এই সাপ্লিমেন্টগুলো ওষুধের মতো কঠোর পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া হয় না। ১৯৯৪ সালে করা একটি আইনে সাপ্লিমেন্টকে খাবারের অংশ হিসেবে ধরা হয়, ওষুধ হিসেবে নয়। তাই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে যেসব পণ্য ফার্মেসিতে পাওয়া যায়, সেগুলো আগে পরীক্ষা করে অনুমোদন নেওয়া হয় না।
বিশেষজ্ঞ কী বলছেন
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ও সাপ্লিমেন্ট গবেষক ড. পিটার কোহেন বলেন, ‘বাজারে হাজারো সাপ্লিমেন্ট আছে। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগ মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই বাজারে এসেছে। মানে, আসলে কাজ করে কি না, তা কেউ প্রমাণ করেনি।’
ড. পিটার কোহেনের দেওয়া পরামর্শ
যেসব সাপ্লিমেন্টে লেখা থাকে ‘ইমিউন সিস্টেম ভালো করবে’ বা ‘স্মরণশক্তি বাড়াবে’, এ ধরনের ভাষা আসলে অস্পষ্ট। তাই সাবধান থাকতে হবে।
যেসব সাপ্লিমেন্টে অনেক রকম হারবাল উপাদান একসঙ্গে থাকে, সেগুলো এড়িয়ে চলা ভালো। আপনি জানবেন না, কোন উপাদান কতটুকু আছে, কীভাবে মেশানো হয়েছে। এক উপাদানের সাপ্লিমেন্টই নিরাপদ।
অনেক সময় রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়, কারও শরীরে আয়রন, ভিটামিন ‘ডি’ বা বি১২-এর ঘাটতি আছে। তখন চিকিৎসকের দেওয়া সাপ্লিমেন্টগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
সাপ্লিমেন্ট কেন খেতে হবে
বাসার রান্না করে কিংবা দোকান থেকে কিনে খাওয়াটাই এখন অধিকাংশ মানুষের অভ্যাস হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এতে বেশির ভাগ মানুষের ভিটামিন অথবা মিনারেলের বড় কোনো ঘাটতি হয় না। তাই আলাদা করে সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার দরকার না-ও হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তা খাওয়া ভালো। কারণ, কিছু সাপ্লিমেন্ট ওষুধের সঙ্গে নেতিবাচক বিক্রিয়া করতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
যেকোনো ফার্মেসিতে ঢুকলেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট। শুধু ভিটামিন-মিনারেল নয়, সঙ্গে আছে হলুদ, ফিশ অয়েল, প্রোবায়োটিক, মেলাটোনিন—আরও কত কি। কিছু পণ্যে লেখা দেখবেন, ‘মেদ কমাবে, পেশি নয়’, আবার কোথাও লেখা, ‘মস্তিষ্ক ভালো রাখবে’, ‘হরমোন ঠিক করবে’, ‘ইমিউন সিস্টেম শক্ত করবে’; এমনকি ‘ডিপ্রেশন’ কমানোর কথাও লেখা থাকে।
এসব দেখে মাথা ঘুরে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এসব সাপ্লিমেন্ট কি আদতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? এমন প্রশ্ন অনেকের মাথায় হয়তো এসেছে। আবার কেউ প্রলোভনে পড়েও বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট কিনে নিয়েছেন। কিন্তু এসব আসলে কতটুকু সত্যি আর কতটা শুধু ব্যবসায়িক চমক, সেটি জানা জরুরি।
সাপ্লিমেন্ট আসলে কী
খুব সহজভাবে বললে, সাপ্লিমেন্ট হলো খাদ্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, আমেরিকার মতো দেশে এই সাপ্লিমেন্টগুলো ওষুধের মতো কঠোর পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া হয় না। ১৯৯৪ সালে করা একটি আইনে সাপ্লিমেন্টকে খাবারের অংশ হিসেবে ধরা হয়, ওষুধ হিসেবে নয়। তাই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে যেসব পণ্য ফার্মেসিতে পাওয়া যায়, সেগুলো আগে পরীক্ষা করে অনুমোদন নেওয়া হয় না।
বিশেষজ্ঞ কী বলছেন
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ও সাপ্লিমেন্ট গবেষক ড. পিটার কোহেন বলেন, ‘বাজারে হাজারো সাপ্লিমেন্ট আছে। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগ মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই বাজারে এসেছে। মানে, আসলে কাজ করে কি না, তা কেউ প্রমাণ করেনি।’
ড. পিটার কোহেনের দেওয়া পরামর্শ
যেসব সাপ্লিমেন্টে লেখা থাকে ‘ইমিউন সিস্টেম ভালো করবে’ বা ‘স্মরণশক্তি বাড়াবে’, এ ধরনের ভাষা আসলে অস্পষ্ট। তাই সাবধান থাকতে হবে।
যেসব সাপ্লিমেন্টে অনেক রকম হারবাল উপাদান একসঙ্গে থাকে, সেগুলো এড়িয়ে চলা ভালো। আপনি জানবেন না, কোন উপাদান কতটুকু আছে, কীভাবে মেশানো হয়েছে। এক উপাদানের সাপ্লিমেন্টই নিরাপদ।
অনেক সময় রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়, কারও শরীরে আয়রন, ভিটামিন ‘ডি’ বা বি১২-এর ঘাটতি আছে। তখন চিকিৎসকের দেওয়া সাপ্লিমেন্টগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
সাপ্লিমেন্ট কেন খেতে হবে
বাসার রান্না করে কিংবা দোকান থেকে কিনে খাওয়াটাই এখন অধিকাংশ মানুষের অভ্যাস হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এতে বেশির ভাগ মানুষের ভিটামিন অথবা মিনারেলের বড় কোনো ঘাটতি হয় না। তাই আলাদা করে সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার দরকার না-ও হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তা খাওয়া ভালো। কারণ, কিছু সাপ্লিমেন্ট ওষুধের সঙ্গে নেতিবাচক বিক্রিয়া করতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
লবণ আমাদের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শুধু রক্তচাপ বাড়ানোই নয়, এটি ত্বকের ফোলাভাব বা মুখমণ্ডলের স্ফীতিরও একটি প্রধান কারণ হতে পারে—এমনটাই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা।
৭ ঘণ্টা আগেইগলস সিনড্রোম হলো নাক-কান-গলা বিভাগের অন্তর্গত একটি সমস্যা। গলায় টনসিলের ঠিক নিচে একটি হাড় থাকে। তার নাম স্টাইলয়েড প্রসেস। এর স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য আড়াই থেকে তিন সেন্টিমিটারের কম।
৯ ঘণ্টা আগেচোখে চুলকানি, লাল ভাব অথবা জ্বালাপোড়া—এসব উপসর্গ অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না, অ্যালার্জির কারণে চোখে শুষ্কতা কিংবা ‘ড্রাই আই’ও দেখা দিতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেবয়স কিন্তু বাড়ছে, ধীরে ধীরে হাঁটার গতিও কমে আসছে, মন চাইছে না হাঁটতে। এমন অবস্থা যদি হয়, তাহলে আপনি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। কথায় আছে, ‘পা অচল হলে মৃত্যু শুরু হয়’। কথাটি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে।
৯ ঘণ্টা আগে