ডা. মুনতাসীর মারুফ
সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ইন্টারনেট–এটা এখন প্রতিষ্ঠিত তথ্য। এর মধ্যে গুগল আবার সবজান্তা। দুনিয়ার যেকোনো প্রশ্নের চটজলদি জবাব প্রস্তুত গুগলের কাছে। কিন্তু গুগলে বা এ রকম অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া সব উত্তর, সমাধান, তথ্য কি সঠিক? অথবা যে তথ্য বা সমাধান আমরা চাইলে তৎক্ষণাৎ পেয়ে যাচ্ছি গুগল বা ইন্টারনেট ঘেঁটে, তার সঠিক ব্যাখ্যা কি বুঝতে পারছি?
ইন্টারনেট সব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সমাধানের বিকল্প নয়। অন্তত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে তো নয়ই। ধরুন, আপনার কিছুদিন ধরে মাথাব্যথা হচ্ছে। আপনি সাধারণ মাথাব্যথার জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধটির নাম জানেন। কিনে খেয়েও ফেললেন, কিন্তু ব্যথা কমল না। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এড়াতে আপনি গুগলে খোঁজ নিলেন মাথাব্যথার বিষয়ে। অসংখ্য প্রবন্ধ-নিবন্ধ চলে এল চোখের সামনে। কোনটা পড়বেন? সে সিদ্ধান্তও নিয়ে নিলেন। মাথাব্যথার সম্ভাব্য কারণগুলোর তালিকা দেখলেন। সেই তালিকা দেখে ব্যথার সঙ্গে মাথাটা ঘুরেও উঠতে পারে। সেখানে যে মাথাব্যথার কারণ হিসেবে ব্রেইন টিউমারের কথাও লেখা আছে! আপনি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন, তাহলে কি ব্রেইন টিউমার হলো! এমন চিন্তা অস্বাভাবিক নয়।
কোন কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মাথাব্যথায় ভোগে বা কোন কারণটি বিরল, তা চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের জানার কথা নয়। কোন ধরনের মাথাব্যথা টিউমারের কারণে হতে পারে বা টিউমারের কারণে হওয়া মাথাব্যথার প্রকৃতি ও আনুষঙ্গিক উপসর্গও আপনার জানার কথা নয়। হয়তো মাথাব্যথা সাধারণ কোনো কারণেই হয়েছিল, কিন্তু টিউমারের তথ্যটি মাথায় গেঁথে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন উদ্বেগে ভুগলেন। আবার অনেকে এসব ক্ষেত্রে মানসিক শান্তির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ না দিলেও ব্রেইনের ব্যয়বহুল পরীক্ষা না করানো পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেন না।
উদ্বেগের পাশাপাশি খরচও বেড়ে গেল। আবার ধরুন, কোনো রোগের জন্য আপনাকে একটি ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক। আপনি ওষুধটি নিয়ে গুগল করে দেখলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লম্বা ফিরিস্তি। আপনি ভয় পেয়ে গেলেন। সে কারণে ওষুধটি সেবন করলেন না অথবা অন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। কোন ওষুধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা ক্ষতিকর, কতটা সহনীয়, কতটা বিরল আর চিকিৎসাশাস্ত্রে কতটা গ্রহণযোগ্য এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তুলনায় রোগ নিরাময়ে কতটা উপকারী, সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকার কথা নয়। হয়তো এক লাখ রোগীর মাঝে একজনের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, সেটিই আপনার চোখে আর মনে গেঁথে গেল। তাতে আপনি বিভ্রান্ত হবেন, আপনার চিকিৎসা বিলম্বিত হবে।
সে কারণে শারীরিক-মানসিক কোনো সমস্যা বা উপসর্গ টের পেলে নিজে নিজে ইন্টারনেট ঘেঁটে রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ইন্টারনেট থেকে জ্ঞান আহরণের প্রয়োজন হলে আপনার চিকিৎসকের কাছ থেকেই জেনে নিন কোন ওয়েবসাইট থেকে কতটুকু জানা আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ও নিরাপদ। অপ্রয়োজনীয় ও খণ্ডিত তথ্য আপনাকে কেবল বিভ্রান্তই করবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ইন্টারনেট–এটা এখন প্রতিষ্ঠিত তথ্য। এর মধ্যে গুগল আবার সবজান্তা। দুনিয়ার যেকোনো প্রশ্নের চটজলদি জবাব প্রস্তুত গুগলের কাছে। কিন্তু গুগলে বা এ রকম অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া সব উত্তর, সমাধান, তথ্য কি সঠিক? অথবা যে তথ্য বা সমাধান আমরা চাইলে তৎক্ষণাৎ পেয়ে যাচ্ছি গুগল বা ইন্টারনেট ঘেঁটে, তার সঠিক ব্যাখ্যা কি বুঝতে পারছি?
ইন্টারনেট সব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সমাধানের বিকল্প নয়। অন্তত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে তো নয়ই। ধরুন, আপনার কিছুদিন ধরে মাথাব্যথা হচ্ছে। আপনি সাধারণ মাথাব্যথার জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধটির নাম জানেন। কিনে খেয়েও ফেললেন, কিন্তু ব্যথা কমল না। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এড়াতে আপনি গুগলে খোঁজ নিলেন মাথাব্যথার বিষয়ে। অসংখ্য প্রবন্ধ-নিবন্ধ চলে এল চোখের সামনে। কোনটা পড়বেন? সে সিদ্ধান্তও নিয়ে নিলেন। মাথাব্যথার সম্ভাব্য কারণগুলোর তালিকা দেখলেন। সেই তালিকা দেখে ব্যথার সঙ্গে মাথাটা ঘুরেও উঠতে পারে। সেখানে যে মাথাব্যথার কারণ হিসেবে ব্রেইন টিউমারের কথাও লেখা আছে! আপনি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন, তাহলে কি ব্রেইন টিউমার হলো! এমন চিন্তা অস্বাভাবিক নয়।
কোন কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মাথাব্যথায় ভোগে বা কোন কারণটি বিরল, তা চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের জানার কথা নয়। কোন ধরনের মাথাব্যথা টিউমারের কারণে হতে পারে বা টিউমারের কারণে হওয়া মাথাব্যথার প্রকৃতি ও আনুষঙ্গিক উপসর্গও আপনার জানার কথা নয়। হয়তো মাথাব্যথা সাধারণ কোনো কারণেই হয়েছিল, কিন্তু টিউমারের তথ্যটি মাথায় গেঁথে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন উদ্বেগে ভুগলেন। আবার অনেকে এসব ক্ষেত্রে মানসিক শান্তির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ না দিলেও ব্রেইনের ব্যয়বহুল পরীক্ষা না করানো পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেন না।
উদ্বেগের পাশাপাশি খরচও বেড়ে গেল। আবার ধরুন, কোনো রোগের জন্য আপনাকে একটি ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক। আপনি ওষুধটি নিয়ে গুগল করে দেখলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লম্বা ফিরিস্তি। আপনি ভয় পেয়ে গেলেন। সে কারণে ওষুধটি সেবন করলেন না অথবা অন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। কোন ওষুধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা ক্ষতিকর, কতটা সহনীয়, কতটা বিরল আর চিকিৎসাশাস্ত্রে কতটা গ্রহণযোগ্য এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তুলনায় রোগ নিরাময়ে কতটা উপকারী, সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকার কথা নয়। হয়তো এক লাখ রোগীর মাঝে একজনের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, সেটিই আপনার চোখে আর মনে গেঁথে গেল। তাতে আপনি বিভ্রান্ত হবেন, আপনার চিকিৎসা বিলম্বিত হবে।
সে কারণে শারীরিক-মানসিক কোনো সমস্যা বা উপসর্গ টের পেলে নিজে নিজে ইন্টারনেট ঘেঁটে রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ইন্টারনেট থেকে জ্ঞান আহরণের প্রয়োজন হলে আপনার চিকিৎসকের কাছ থেকেই জেনে নিন কোন ওয়েবসাইট থেকে কতটুকু জানা আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ও নিরাপদ। অপ্রয়োজনীয় ও খণ্ডিত তথ্য আপনাকে কেবল বিভ্রান্তই করবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
২ দিন আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
৩ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৫ দিন আগে