ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
১২ অক্টোবর ছিল বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। বিশ্বব্যাপী চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য সচেতনতা তৈরি, চোখের রোগ নির্মূলে প্রভাবিত করা, চোখের যত্ন নেওয়ার তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘লাভ ইওর আইজ অ্যাট ওয়ার্ক’, অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে আপনার চোখকে ভালোবাসুন।
এই আধুনিক সময়ে চোখের সমস্যার মূলে রয়েছে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার। অনেকে দিনের অধিকাংশ সময় কাটান কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। ফলে চোখে যে সমস্যাগুলো হয়, তার সমষ্টিকে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বলে। পৃথিবীতে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ একটি সমীক্ষা করেছিল এ বিষয়ে। ফলাফল হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যাঁরা দিনে গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
কেন হয়
স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের ঘন ঘন চোখের পলক পড়ে। চোখের পাতার নিচে থাকে ছোট ছোট গ্রন্থি। পলক পড়লে সেই গ্রন্থিগুলো থেকে বিশেষ ধরনের পানি বের হয়। সেই পানি চোখের মণিকে ভিজিয়ে রাখে। চোখ ভালো রাখতে চোখের মণি ভিজে থাকা দরকার। কিন্তু কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে কাজ করার সময় অধিকাংশ মানুষই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে; অর্থাৎ চোখের পলক ফেলে না বা খুব কম ফেলে। তাই প্রয়োজনীয় তরল বের হতে পারে না। ফলে চোখ শুকিয়ে যায়। এতে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
যে সমস্যাগুলো হয়
» চোখ খচখচ করা
» ঝাপসা দৃষ্টি
» চোখে ক্লান্তি অনুভব
» চোখ জ্বালাপোড়া করা
» চোখ শুকনো থাকা
» মাথাব্যথা
প্রতিরোধ
» চোখ থেকে যেকোনো স্ক্রিন কমপক্ষে দুই ফুট দূরে রাখা।
» মনিটর চার থেকে আট ইঞ্চি চোখের লেভেলের নিচে রাখা।
» রুমের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করা।
» স্ক্রিনের রং (কালার কনট্রাস্ট) এবং আলো মাঝামাঝি রাখা।
» অক্ষরের বড় ফন্ট ব্যবহার করা।
» নিয়মিত চোখের পলক ফেলা।
» ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে না থেকে ২০ মিনিট পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরত্বের বস্তুর দিকে তাকানো।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হাসপাতাল, সোবহানবাগ, ঢাকা
১২ অক্টোবর ছিল বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। বিশ্বব্যাপী চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য সচেতনতা তৈরি, চোখের রোগ নির্মূলে প্রভাবিত করা, চোখের যত্ন নেওয়ার তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘লাভ ইওর আইজ অ্যাট ওয়ার্ক’, অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে আপনার চোখকে ভালোবাসুন।
এই আধুনিক সময়ে চোখের সমস্যার মূলে রয়েছে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার। অনেকে দিনের অধিকাংশ সময় কাটান কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। ফলে চোখে যে সমস্যাগুলো হয়, তার সমষ্টিকে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বলে। পৃথিবীতে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ একটি সমীক্ষা করেছিল এ বিষয়ে। ফলাফল হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যাঁরা দিনে গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
কেন হয়
স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের ঘন ঘন চোখের পলক পড়ে। চোখের পাতার নিচে থাকে ছোট ছোট গ্রন্থি। পলক পড়লে সেই গ্রন্থিগুলো থেকে বিশেষ ধরনের পানি বের হয়। সেই পানি চোখের মণিকে ভিজিয়ে রাখে। চোখ ভালো রাখতে চোখের মণি ভিজে থাকা দরকার। কিন্তু কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে কাজ করার সময় অধিকাংশ মানুষই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে; অর্থাৎ চোখের পলক ফেলে না বা খুব কম ফেলে। তাই প্রয়োজনীয় তরল বের হতে পারে না। ফলে চোখ শুকিয়ে যায়। এতে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
যে সমস্যাগুলো হয়
» চোখ খচখচ করা
» ঝাপসা দৃষ্টি
» চোখে ক্লান্তি অনুভব
» চোখ জ্বালাপোড়া করা
» চোখ শুকনো থাকা
» মাথাব্যথা
প্রতিরোধ
» চোখ থেকে যেকোনো স্ক্রিন কমপক্ষে দুই ফুট দূরে রাখা।
» মনিটর চার থেকে আট ইঞ্চি চোখের লেভেলের নিচে রাখা।
» রুমের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করা।
» স্ক্রিনের রং (কালার কনট্রাস্ট) এবং আলো মাঝামাঝি রাখা।
» অক্ষরের বড় ফন্ট ব্যবহার করা।
» নিয়মিত চোখের পলক ফেলা।
» ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে না থেকে ২০ মিনিট পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরত্বের বস্তুর দিকে তাকানো।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হাসপাতাল, সোবহানবাগ, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
১৩ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে