ডা. নাজমুন নাহার
স্থূলতা বর্তমান সময়ের অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি ধীরে ধীরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্থূলতাকে ‘গ্লোবাল এপিডেমিক’ ঘোষণা করেছে। পৃথিবীর সব প্রান্তে এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
স্থূলতা হলো অতিরিক্ত চর্বি সঞ্চিত হয়ে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া। কোনো ব্যক্তির বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই ৩০ বা তার বেশি হলে তাকে স্থূল বলা হয়।
স্থূলতার কারণ
জৈবিক কারণ: জেনেটিক বা বংশগতি, হরমোনের অসামঞ্জস্য
পরিবেশগত কারণ: উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, কম পরিশ্রম, যন্ত্রনির্ভর আধুনিক জীবনধারা
মানসিক কারণ: অবসাদ, দুশ্চিন্তা, ইমোশনাল ইটিং, ঘুমের ব্যাঘাত
ওষুধের কারণ: স্টেরয়েড ও অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ এবং ইনসুলিন ও অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
স্থূলতার কারণে যেসব রোগ হয়
» টাইপ ২ ডায়াবেটিস
» হৃদ্রোগ
» উচ্চ রক্তচাপ
» স্ট্রোক
» লিভারের ফ্যাটি ডিজিজ
» অস্টিওআর্থ্রাইটিস
» ইনফার্টিলিটি
» ব্রেস্ট, কোলনের মতো কিছু নির্দিষ্ট ক্যানসার
মানসিক ও সামাজিক প্রভাব
স্থূলতা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সমস্যাও তৈরি করে। নিজেকে হীন মনে করা, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, বিষণ্ণতা ও সমাজে হেনস্তা এর ফল।
শিশুদের মধ্যে স্থূলতা
শিশুদের মধ্যে স্থূলতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ভিডিও গেমস, মোবাইল আসক্তি, বাইরের খাবারে ঝোঁক এবং কম শারীরিক পরিশ্রম এর মূল কারণ। শৈশবের স্থূলতা ভবিষ্যতে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: কম চর্বি ও চিনি, বেশি ফলমূল, শাকসবজি ও সুষম খাবার খাওয়া। ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় পান বাদ দেওয়া।
শারীরিক পরিশ্রম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার, জিম, সিঁড়ি ব্যবহার।
জীবনধারায় পরিবর্তন: পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন।
ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ বা চিকিৎসা: অরলিস্ট্যাট, লিরাগ্লুটাইড, গ্যাস্ট্রিক বাইপাসের মতো বারিয়াট্রিক সার্জারি।
সরকারি ও সামাজিক উদ্যোগ: স্কুল পর্যায়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা, খাদ্যে ক্যালরি লেবেল বাধ্যতামূলক করা, ওয়ার্কপ্লেসে ফিটনেস সুবিধা।
স্থূলতা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা। সবার সম্মিলিত সচেতনতা, স্বাস্থ্যবান্ধব নীতিমালা এবং নিজস্ব উদ্যোগের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চেম্বার: আলোক হাসপাতাল লিমিটেড
স্থূলতা বর্তমান সময়ের অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি ধীরে ধীরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্থূলতাকে ‘গ্লোবাল এপিডেমিক’ ঘোষণা করেছে। পৃথিবীর সব প্রান্তে এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
স্থূলতা হলো অতিরিক্ত চর্বি সঞ্চিত হয়ে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া। কোনো ব্যক্তির বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই ৩০ বা তার বেশি হলে তাকে স্থূল বলা হয়।
স্থূলতার কারণ
জৈবিক কারণ: জেনেটিক বা বংশগতি, হরমোনের অসামঞ্জস্য
পরিবেশগত কারণ: উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, কম পরিশ্রম, যন্ত্রনির্ভর আধুনিক জীবনধারা
মানসিক কারণ: অবসাদ, দুশ্চিন্তা, ইমোশনাল ইটিং, ঘুমের ব্যাঘাত
ওষুধের কারণ: স্টেরয়েড ও অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ এবং ইনসুলিন ও অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
স্থূলতার কারণে যেসব রোগ হয়
» টাইপ ২ ডায়াবেটিস
» হৃদ্রোগ
» উচ্চ রক্তচাপ
» স্ট্রোক
» লিভারের ফ্যাটি ডিজিজ
» অস্টিওআর্থ্রাইটিস
» ইনফার্টিলিটি
» ব্রেস্ট, কোলনের মতো কিছু নির্দিষ্ট ক্যানসার
মানসিক ও সামাজিক প্রভাব
স্থূলতা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সমস্যাও তৈরি করে। নিজেকে হীন মনে করা, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, বিষণ্ণতা ও সমাজে হেনস্তা এর ফল।
শিশুদের মধ্যে স্থূলতা
শিশুদের মধ্যে স্থূলতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ভিডিও গেমস, মোবাইল আসক্তি, বাইরের খাবারে ঝোঁক এবং কম শারীরিক পরিশ্রম এর মূল কারণ। শৈশবের স্থূলতা ভবিষ্যতে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: কম চর্বি ও চিনি, বেশি ফলমূল, শাকসবজি ও সুষম খাবার খাওয়া। ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় পান বাদ দেওয়া।
শারীরিক পরিশ্রম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার, জিম, সিঁড়ি ব্যবহার।
জীবনধারায় পরিবর্তন: পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন।
ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ বা চিকিৎসা: অরলিস্ট্যাট, লিরাগ্লুটাইড, গ্যাস্ট্রিক বাইপাসের মতো বারিয়াট্রিক সার্জারি।
সরকারি ও সামাজিক উদ্যোগ: স্কুল পর্যায়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা, খাদ্যে ক্যালরি লেবেল বাধ্যতামূলক করা, ওয়ার্কপ্লেসে ফিটনেস সুবিধা।
স্থূলতা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা। সবার সম্মিলিত সচেতনতা, স্বাস্থ্যবান্ধব নীতিমালা এবং নিজস্ব উদ্যোগের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চেম্বার: আলোক হাসপাতাল লিমিটেড
দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
১ দিন আগেতীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা যত বাড়ছে, আমেরিকানেরা তত বেশি এসব মিষ্টি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন—এমনটাই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হতে পারে।
১ দিন আগেএখন জ্বরের মৌসুম চলছে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ এবং মারা গেছে ১১৮ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি এডিস
৪ দিন আগেহৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা ধমনি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল; বিশেষ করে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনি শক্ত করে। অন্যদিকে হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কিংবা ভালো কোলেস্টেরল শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
৪ দিন আগে