ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী আদিল
জীবন সুন্দর, বেঁচে থাকার প্রতিটি ক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের কাজ হচ্ছে, একজন মানুষের শারীরিক কষ্টের বাইরে যে মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য রয়েছে সেসবের ভোগান্তি কমানো।
একজন মানুষ যখন নিরাময় অযোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তখন কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা যায় না মানুষটির স্থায়িত্বকাল কতটুকু। নিরাময় অযোগ্য রোগে একজন মানুষ কিছুদিন থেকে বহু বছর ভুগতে পারে। ভোগান্তির কয়েক সপ্তাহ, মাস, বছর যেতে পারে। নিরাময় অযোগ্য ও জীবন সীমিতকারী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের শারীরিক, মনোসামাজিক ও আত্মিক প্রয়োজন নিরূপণ ও সমাধানের জন্য একটি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থাই হচ্ছে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবা। এই সেবার উদ্দেশ্য আপনার ও আপনার প্রিয় অসুস্থ মানুষটির দৈনন্দিন কষ্টগুলোকে কমিয়ে আনা এবং জীবনের মান উন্নয়নে সহায়তা করা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যালিয়েটিভ কেয়ার সহকারী (পিসিএ), নার্স এবং ডাক্তার সমন্বিত দলের সঙ্গে সমাজের জনসাধারণ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে এ সেবা দেওয়া সম্ভব। নিরাময় অযোগ্য বিভিন্ন রোগ যেমন, ক্যানসার, এইডস কিংবা প্রান্তিক পর্যায়ের হার্ট ফেইলিউর, কিডনি অথবা ফুসফুসের রোগ, স্ট্রোক, স্মৃতি ভ্রষ্টতা ইত্যাদি স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত মানুষ এবং তাদের পরিবার এই সেবা ব্যবস্থায় উপকৃত হতে পারেন। শুধুমাত্র হাসপাতাল ভিত্তিক সেবার পরিবর্তে নিজের বাসায় চেনা পরিবেশে আপন মুখগুলোর মাঝে জীবনের শেষ সময়ের ভোগান্তি কমানো ও পরিচর্যার সুযোগ করে দেয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। রোগী ও তার পরিবারের পছন্দ ও আরামকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এখানে। জীবনের জটিলতাগুলোকে যতটা সম্ভব সহজ করার মাধ্যমে রোগী ও তার পরিবারের জীবনযাত্রার গুণগতমান বৃদ্ধিতে অপরিসীম ভূমিকা রাখে এই প্রশমন সেবা। এমনকি রোগীর মৃত্যুর পরও শোকসন্তপ্ত পরিবারের শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার।
বাংলাদেশে প্রায় ৭০% এরও বেশি মৃত্যু ঘটে নিরাময় অযোগ্য রোগে। প্রতিবছর বাংলাদেশে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আর এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীই ক্যানসারের অবর্ণনীয় ব্যথা ও অন্যান্য কষ্টে ভোগে মৃত্যুতে উপনীত হয়।
যুগের সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাড়ছে আয়ুষ্কাল এবং বাড়ছে জনসংখ্যা পিরামিডে বয়োবৃদ্ধ সংখ্যা। এর ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে জীবনের শেষ সময়ে মানুষের ভোগান্তিও। তাই দিন দিন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের চাহিদা বাড়ছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী ৬০ লাখেরও বেশি মৃত্যু মানুষকে মৃত্যু নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। জীবনের শেষ সময়ের ভোগান্তি লাঘব করে দিতে পারে প্যালিয়েটিভ কেয়ার।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
জীবন সুন্দর, বেঁচে থাকার প্রতিটি ক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের কাজ হচ্ছে, একজন মানুষের শারীরিক কষ্টের বাইরে যে মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য রয়েছে সেসবের ভোগান্তি কমানো।
একজন মানুষ যখন নিরাময় অযোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তখন কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা যায় না মানুষটির স্থায়িত্বকাল কতটুকু। নিরাময় অযোগ্য রোগে একজন মানুষ কিছুদিন থেকে বহু বছর ভুগতে পারে। ভোগান্তির কয়েক সপ্তাহ, মাস, বছর যেতে পারে। নিরাময় অযোগ্য ও জীবন সীমিতকারী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের শারীরিক, মনোসামাজিক ও আত্মিক প্রয়োজন নিরূপণ ও সমাধানের জন্য একটি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থাই হচ্ছে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবা। এই সেবার উদ্দেশ্য আপনার ও আপনার প্রিয় অসুস্থ মানুষটির দৈনন্দিন কষ্টগুলোকে কমিয়ে আনা এবং জীবনের মান উন্নয়নে সহায়তা করা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যালিয়েটিভ কেয়ার সহকারী (পিসিএ), নার্স এবং ডাক্তার সমন্বিত দলের সঙ্গে সমাজের জনসাধারণ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে এ সেবা দেওয়া সম্ভব। নিরাময় অযোগ্য বিভিন্ন রোগ যেমন, ক্যানসার, এইডস কিংবা প্রান্তিক পর্যায়ের হার্ট ফেইলিউর, কিডনি অথবা ফুসফুসের রোগ, স্ট্রোক, স্মৃতি ভ্রষ্টতা ইত্যাদি স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত মানুষ এবং তাদের পরিবার এই সেবা ব্যবস্থায় উপকৃত হতে পারেন। শুধুমাত্র হাসপাতাল ভিত্তিক সেবার পরিবর্তে নিজের বাসায় চেনা পরিবেশে আপন মুখগুলোর মাঝে জীবনের শেষ সময়ের ভোগান্তি কমানো ও পরিচর্যার সুযোগ করে দেয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। রোগী ও তার পরিবারের পছন্দ ও আরামকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এখানে। জীবনের জটিলতাগুলোকে যতটা সম্ভব সহজ করার মাধ্যমে রোগী ও তার পরিবারের জীবনযাত্রার গুণগতমান বৃদ্ধিতে অপরিসীম ভূমিকা রাখে এই প্রশমন সেবা। এমনকি রোগীর মৃত্যুর পরও শোকসন্তপ্ত পরিবারের শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার।
বাংলাদেশে প্রায় ৭০% এরও বেশি মৃত্যু ঘটে নিরাময় অযোগ্য রোগে। প্রতিবছর বাংলাদেশে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আর এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীই ক্যানসারের অবর্ণনীয় ব্যথা ও অন্যান্য কষ্টে ভোগে মৃত্যুতে উপনীত হয়।
যুগের সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাড়ছে আয়ুষ্কাল এবং বাড়ছে জনসংখ্যা পিরামিডে বয়োবৃদ্ধ সংখ্যা। এর ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে জীবনের শেষ সময়ে মানুষের ভোগান্তিও। তাই দিন দিন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের চাহিদা বাড়ছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী ৬০ লাখেরও বেশি মৃত্যু মানুষকে মৃত্যু নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। জীবনের শেষ সময়ের ভোগান্তি লাঘব করে দিতে পারে প্যালিয়েটিভ কেয়ার।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
১৩ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২১ ঘণ্টা আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে