নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে স্তন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তবে রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে পারলে ৯০ শতাংশ স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ জন্য সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এএফএম সরওয়ার কামাল বলেন, স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশে সরকারি হাসপাতালে দামি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনা হলেও তা চালানোর মতো জনবলই নেই।
অনুষ্ঠানে আরেক সাবেক স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামেও ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্ক্রিনিং ও চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে সরকারের উদ্যোগ জরুরি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা খুবই অসহায়। কারণ দেশে একমাত্র সরকারি ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই বিকল। অন্যদিকে দেশে বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা প্রযুক্তি কেবল নামীদামি বেসরকারি হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—আইইডিসিআরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক জাকির হাবীব, অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, ড. হালিদা হানুম আক্তার, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম, সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য দশজন সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন—বৈশাখী টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রীতা নাহার, আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ রাব্বি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সকাল সন্ধ্যার সিনিয়র রিপোর্টার জাকিয়া আহমেদ, বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাবনী গুহ রায়, এখন টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মুজাহিদ শুভ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মিসবাহ, যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাভলী আক্তার বিথী, দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার (মহিলা অঙ্গন) রাবেয়া বেবি, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ এবং দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান।
অনুষ্ঠানে ফোরামের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেক কাটা হয়। পরে গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা উদ্বোধন শেষে ১২ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক টিম বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬টি জেলা অভিমুখে বাসযাত্রা শুরু করে। ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ তালুকদারের নেতৃত্বে নারীদের মধ্যে ক্যানসার সচেতনতা বাড়াতে চার দিনে ছয়টি জেলা ও প্রায় দশটি উপজেলায় পথসভা, শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করবে।
দেশে স্তন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তবে রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে পারলে ৯০ শতাংশ স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ জন্য সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এএফএম সরওয়ার কামাল বলেন, স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশে সরকারি হাসপাতালে দামি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনা হলেও তা চালানোর মতো জনবলই নেই।
অনুষ্ঠানে আরেক সাবেক স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামেও ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্ক্রিনিং ও চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে সরকারের উদ্যোগ জরুরি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা খুবই অসহায়। কারণ দেশে একমাত্র সরকারি ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই বিকল। অন্যদিকে দেশে বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা প্রযুক্তি কেবল নামীদামি বেসরকারি হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—আইইডিসিআরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক জাকির হাবীব, অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, ড. হালিদা হানুম আক্তার, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম, সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য দশজন সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন—বৈশাখী টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রীতা নাহার, আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ রাব্বি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সকাল সন্ধ্যার সিনিয়র রিপোর্টার জাকিয়া আহমেদ, বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাবনী গুহ রায়, এখন টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মুজাহিদ শুভ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মিসবাহ, যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাভলী আক্তার বিথী, দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার (মহিলা অঙ্গন) রাবেয়া বেবি, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ এবং দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান।
অনুষ্ঠানে ফোরামের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেক কাটা হয়। পরে গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা উদ্বোধন শেষে ১২ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক টিম বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬টি জেলা অভিমুখে বাসযাত্রা শুরু করে। ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ তালুকদারের নেতৃত্বে নারীদের মধ্যে ক্যানসার সচেতনতা বাড়াতে চার দিনে ছয়টি জেলা ও প্রায় দশটি উপজেলায় পথসভা, শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করবে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
১ দিন আগেতীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা যত বাড়ছে, আমেরিকানেরা তত বেশি এসব মিষ্টি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন—এমনটাই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হতে পারে।
২ দিন আগেএখন জ্বরের মৌসুম চলছে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ এবং মারা গেছে ১১৮ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি এডিস
৪ দিন আগেহৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা ধমনি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল; বিশেষ করে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনি শক্ত করে। অন্যদিকে হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কিংবা ভালো কোলেস্টেরল শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
৪ দিন আগে