আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে