ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
আপনি কি মা হতে চলেছেন? এই সময় নারীরা নানা শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে চোখেরও কিছু পরিবর্তন হয় গর্ভকালে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন স্বাভাবিক এবং প্রসবের পর নিজে থেকেই সেরে যায়। এ রকম একটি সমস্যা হলো চোখে অস্পষ্ট বা ঝাপসা দেখা। গর্ভবতীদের ৫ থেকে ৮ শতাংশ এ সমস্যার শিকার হন।
কারণ
হরমোনের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে চোখের কর্নিয়ার পেছনে থাকা তরল বেরিয়ে আসতে পারে। এই বেরিয়ে আসা তরলের কারণেই চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হতে পারে।
প্রি-এক্লাম্পসিয়া
প্রি-এক্লাম্পসিয়া একটি উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা। এর একটি লক্ষণ হলো, চোখে ঝাপসা দেখা। এ ক্ষেত্রে চোখে ঝাপসা দেখার সঙ্গে আরও কিছু লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সেগুলো হলো প্রচণ্ড মাথাব্যথা, যা সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধ সেবনেও কমে না।
প্রচণ্ড বুক জ্বালাপোড়া করা
পাঁজরের হাড়ের ঠিক নিচে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।
পায়ের পাতা, গোড়ালি, মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ পানি জমে ফুলে উঠতে থাকা।
মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস
মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থার একটি পরিচিত সমস্যা। এটি হলে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্দেশ করে।
কর্নিয়ার পরিবর্তন
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে হরমোনের কারণে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। চোখের কর্নিয়ায় অতিরিক্ত তরল জমে সেটি পুরু হয়ে যেতে পারে। এ থেকে ঝাপসা দেখার সমস্যাও হয়ে থাকে। প্রায় ১৪ শতাংশ গর্ভবতীর এ সমস্যা হতে পারে।
দৃষ্টিসীমার পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি আকারে বড় হয়। এর ফলে আগে থেকে কারও পিটুইটারি অ্যাডেনোমা–জাতীয় অক্ষতিকর টিউমার থাকলে সেটিও এ সময় আকারে বাড়তে পারে। এর ফলে গর্ভবতীর দৃষ্টির সীমা পরিবর্তিত হতে পারে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসতে পারে।
চোখে কম পানি তৈরি হওয়া
ল্যাক্রিমাল নামক গ্রন্থি চোখের পানি তৈরি করে। গর্ভাবস্থায় এই গ্রন্থি থেকে চোখের পানি তৈরির হার কমে যায়। ফলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কারণে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যার জন্য তেমন কোনো চিকিৎসা প্রয়োজন নেই। তবে কিছু পরামর্শ মেনে চললে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা অনেকটা এড়িয়ে যাওয়া যায়।
চোখকে বিশ্রাম দিন
সারা দিন কম্পিউটারসহ যেকোনো স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্লান্তির কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। একটানা দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ না করে বিরতি নিন। এ ক্ষেত্রে প্রতি ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরে থাকা কোনো বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড ধরে তাকিয়ে থাকুন। স্ক্রিন চোখের লেভেল থেকে নিচে আর ২ ফুট দূরে রাখুন।
কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার না করা
গর্ভাবস্থায় কন্টাক্ট লেন্স চোখের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। বিশেষ করে যদি চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। গর্ভাবস্থায় কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। লেন্সের বদলে চশমা ব্যবহার করুন।
চশমার পাওয়ার পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন
গর্ভাবস্থায় চশমার পাওয়ারের পরিবর্তন হতে পারে। এসব পরিবর্তন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাময়িক। এ ক্ষেত্রে চশমার পাওয়ার পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন। গর্ভাবস্থায় শরীরের পরিবর্তনের কারণে হওয়া চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা প্রসবের পর থেকেই সেরে উঠতে শুরু করে।
চোখে ড্রপ ব্যবহার করুন
গর্ভাবস্থায় চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হলে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কৃত্রিম চোখের পানি ব্যবহার করতে পারেন।
পরামর্শ: কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা
আপনি কি মা হতে চলেছেন? এই সময় নারীরা নানা শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে চোখেরও কিছু পরিবর্তন হয় গর্ভকালে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন স্বাভাবিক এবং প্রসবের পর নিজে থেকেই সেরে যায়। এ রকম একটি সমস্যা হলো চোখে অস্পষ্ট বা ঝাপসা দেখা। গর্ভবতীদের ৫ থেকে ৮ শতাংশ এ সমস্যার শিকার হন।
কারণ
হরমোনের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে চোখের কর্নিয়ার পেছনে থাকা তরল বেরিয়ে আসতে পারে। এই বেরিয়ে আসা তরলের কারণেই চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হতে পারে।
প্রি-এক্লাম্পসিয়া
প্রি-এক্লাম্পসিয়া একটি উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা। এর একটি লক্ষণ হলো, চোখে ঝাপসা দেখা। এ ক্ষেত্রে চোখে ঝাপসা দেখার সঙ্গে আরও কিছু লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সেগুলো হলো প্রচণ্ড মাথাব্যথা, যা সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধ সেবনেও কমে না।
প্রচণ্ড বুক জ্বালাপোড়া করা
পাঁজরের হাড়ের ঠিক নিচে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।
পায়ের পাতা, গোড়ালি, মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ পানি জমে ফুলে উঠতে থাকা।
মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস
মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থার একটি পরিচিত সমস্যা। এটি হলে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্দেশ করে।
কর্নিয়ার পরিবর্তন
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে হরমোনের কারণে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। চোখের কর্নিয়ায় অতিরিক্ত তরল জমে সেটি পুরু হয়ে যেতে পারে। এ থেকে ঝাপসা দেখার সমস্যাও হয়ে থাকে। প্রায় ১৪ শতাংশ গর্ভবতীর এ সমস্যা হতে পারে।
দৃষ্টিসীমার পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি আকারে বড় হয়। এর ফলে আগে থেকে কারও পিটুইটারি অ্যাডেনোমা–জাতীয় অক্ষতিকর টিউমার থাকলে সেটিও এ সময় আকারে বাড়তে পারে। এর ফলে গর্ভবতীর দৃষ্টির সীমা পরিবর্তিত হতে পারে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসতে পারে।
চোখে কম পানি তৈরি হওয়া
ল্যাক্রিমাল নামক গ্রন্থি চোখের পানি তৈরি করে। গর্ভাবস্থায় এই গ্রন্থি থেকে চোখের পানি তৈরির হার কমে যায়। ফলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কারণে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যার জন্য তেমন কোনো চিকিৎসা প্রয়োজন নেই। তবে কিছু পরামর্শ মেনে চললে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা অনেকটা এড়িয়ে যাওয়া যায়।
চোখকে বিশ্রাম দিন
সারা দিন কম্পিউটারসহ যেকোনো স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্লান্তির কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। একটানা দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ না করে বিরতি নিন। এ ক্ষেত্রে প্রতি ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরে থাকা কোনো বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড ধরে তাকিয়ে থাকুন। স্ক্রিন চোখের লেভেল থেকে নিচে আর ২ ফুট দূরে রাখুন।
কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার না করা
গর্ভাবস্থায় কন্টাক্ট লেন্স চোখের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। বিশেষ করে যদি চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। গর্ভাবস্থায় কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। লেন্সের বদলে চশমা ব্যবহার করুন।
চশমার পাওয়ার পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন
গর্ভাবস্থায় চশমার পাওয়ারের পরিবর্তন হতে পারে। এসব পরিবর্তন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাময়িক। এ ক্ষেত্রে চশমার পাওয়ার পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন। গর্ভাবস্থায় শরীরের পরিবর্তনের কারণে হওয়া চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা প্রসবের পর থেকেই সেরে উঠতে শুরু করে।
চোখে ড্রপ ব্যবহার করুন
গর্ভাবস্থায় চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হলে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কৃত্রিম চোখের পানি ব্যবহার করতে পারেন।
পরামর্শ: কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৫ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
৫ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে