লিউনা লুভাইনা ইসলাম
বয়ঃসন্ধি
আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। বয়স প্রায় ১৫ বছর। এখন আমার পড়ালেখা করতে একদম ভালো লাগে না। যখন প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন অনেক পড়ালেখা করতাম। তখন আমার রেজাল্ট অনেক ভালো ছিল। কিন্তু কয়েক বছর হলো লেখাপড়ার প্রতি একদম মনোযোগ বসাতে পারছি না। এমনকি চেষ্টা করেও হচ্ছে না। ফলে ক্লাসে ধারাবাহিকভাবে খারাপ ফল করছি। তবে আমার বাইরের মাসিক পত্রিকা ও জানা-অজানা এ ধরনের বইয়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। এগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। ক্লাসের পড়ালেখা একদম ভালো লাগে না। যার ফলে নিজেও চাপের মধ্যে আছি। এ অবস্থায় আমি কী করতে পারি?
সাজিদ, রংপুর
তুমি বলেছ, কয়েক বছর হলো লেখাপড়ায় মন দিতে পারছ না। আমি এই জায়গাটা থেকেই শুরু করব। কয়েক বছর হলো তুমি বয়ঃসন্ধির সময়টা পার করছ। এই সময় তোমার শারীরিক-মানসিক বিভিন্ন হরমোনগত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে বলে কখনো কখনো ভীষণ রাগ হবে, কখনো কখনো ভীষণ কষ্ট লাগবে। এভাবে মুড বদলাবে। এটা একদম স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যার ভেতর দিয়ে প্রত্যেক মানুষই যায়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
মাসিক পত্রিকা এবং জানা-অজানা এ ধরনের বই পড়ার অভ্যাসটি চমৎকার। ক্লাসের পড়ায় মন না বসাটা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। খুঁজলে দেখা যাবে, খুব কম মানুষেরই মন বসে। তবে একটি রুটিন মেনে পড়লে চাপ কমে যাবে। আরেকটা ছোট্ট টেকনিক আছে। প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার আগে যদি বই খুলে নির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে একবার চোখ বোলানো যায়, তাহলে পড়াশোনা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিছুই বুঝতে হবে না, শুধু শব্দগুলো চোখ দিয়ে একবার দেখে নেওয়া। ফলে সেই বিষয়টি যখন শিক্ষক পড়াবেন, তখন ধরতে সুবিধা হবে। পরে ওই দিন বাসায় এসেই রাতে ঘুমানোর আগে আরেকবার শিক্ষক ক্লাসে কী পড়ালেন, উল্টে দেখা। খেয়াল করে দেখো, নিজের অজান্তেই তোমার তিনবার পড়া হলো একটা টপিক। এটি মস্তিষ্কে স্নায়বিক একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে। এ জন্য বলা হয়, পড়া মুখস্থ করার দরকার নেই।
চাইলে একজন বন্ধুকে রাখতে পারো সঙ্গে। সে তার পড়াটা তোমাকে বলল, তুমি তোমার পড়াটা তাকে বললে। ক্লাসের পড়ালেখা যদি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু একবারে পড়তে বসার চাপ অনুভব হবে না।
পড়ার সময় রাখবে খুব বেশি হলে ২০ মিনিট। তারপর কিছু সময়ের জন্য পড়া বন্ধ করবে। পড়ার সময় মাঝে মাঝে পানি খেলে স্নায়ুতন্ত্র তাজা থাকবে।
সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
হাঁটুর সমস্যা
কয়েক বছর আগে ছোট্ট একটা দুর্ঘটনায় বাইক থেকে পড়ে যাই। পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটুর মাংস অনেকটা উঠে যায়। চিকিৎসার পর ঠিক হলেও সেই হাঁটুর ব্যথা এখনো অনুভব করি। হাঁটুতে ভর করে নিচু জায়গায় বসার সময় মনে হয় সেরে যাওয়া ক্ষতের জায়গায় চাপ লাগছে।
ওই একই পায়ের গোড়ালিতেও এখন ব্যথা অনুভব করি। কী করতে পারি? কোন ধরনের স্পেশালিস্ট দেখানো জরুরি?
এশা মুমতারিন, রাজশাহী
একজন হাঁটু বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। হাঁটু বিশেষজ্ঞ বা অর্থোপেডিকস বা একজন চার্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট দেখিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করে মাংসপেশি শক্তিশালী করতে হবে। যত দ্রুত করবেন, ততই মঙ্গল।
উম্মে শায়লা রুমকি, ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, পিটিআরসি, ঢাকা
দাঁতের সমস্যা
আমার দাঁতের নিচের পাটির মাড়ির পাশে গালের মাংসে কালো কালশিটে দেখা যাচ্ছে। ঠিক ওই অংশে যে দাঁত, তাতে একটু ব্যথাও অনুভূত হয়। এটা কেন হচ্ছে? কী করতে পারি ঘরোয়া উপায়ে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
সমস্যাটা একজন ডেনটিস্টকে দেখাতে হবে। না দেখে ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। এমনিতে কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই একজন ডেনটিস্টকে দেখিয়ে তবেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
লিউনা লুভাইনা ইসলাম, ডেনটিস্ট, ব্লুটুথ ডেন্টাল পয়েন্ট, ঢাকা
বয়ঃসন্ধি
আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। বয়স প্রায় ১৫ বছর। এখন আমার পড়ালেখা করতে একদম ভালো লাগে না। যখন প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন অনেক পড়ালেখা করতাম। তখন আমার রেজাল্ট অনেক ভালো ছিল। কিন্তু কয়েক বছর হলো লেখাপড়ার প্রতি একদম মনোযোগ বসাতে পারছি না। এমনকি চেষ্টা করেও হচ্ছে না। ফলে ক্লাসে ধারাবাহিকভাবে খারাপ ফল করছি। তবে আমার বাইরের মাসিক পত্রিকা ও জানা-অজানা এ ধরনের বইয়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। এগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। ক্লাসের পড়ালেখা একদম ভালো লাগে না। যার ফলে নিজেও চাপের মধ্যে আছি। এ অবস্থায় আমি কী করতে পারি?
সাজিদ, রংপুর
তুমি বলেছ, কয়েক বছর হলো লেখাপড়ায় মন দিতে পারছ না। আমি এই জায়গাটা থেকেই শুরু করব। কয়েক বছর হলো তুমি বয়ঃসন্ধির সময়টা পার করছ। এই সময় তোমার শারীরিক-মানসিক বিভিন্ন হরমোনগত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে বলে কখনো কখনো ভীষণ রাগ হবে, কখনো কখনো ভীষণ কষ্ট লাগবে। এভাবে মুড বদলাবে। এটা একদম স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যার ভেতর দিয়ে প্রত্যেক মানুষই যায়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
মাসিক পত্রিকা এবং জানা-অজানা এ ধরনের বই পড়ার অভ্যাসটি চমৎকার। ক্লাসের পড়ায় মন না বসাটা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। খুঁজলে দেখা যাবে, খুব কম মানুষেরই মন বসে। তবে একটি রুটিন মেনে পড়লে চাপ কমে যাবে। আরেকটা ছোট্ট টেকনিক আছে। প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার আগে যদি বই খুলে নির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে একবার চোখ বোলানো যায়, তাহলে পড়াশোনা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিছুই বুঝতে হবে না, শুধু শব্দগুলো চোখ দিয়ে একবার দেখে নেওয়া। ফলে সেই বিষয়টি যখন শিক্ষক পড়াবেন, তখন ধরতে সুবিধা হবে। পরে ওই দিন বাসায় এসেই রাতে ঘুমানোর আগে আরেকবার শিক্ষক ক্লাসে কী পড়ালেন, উল্টে দেখা। খেয়াল করে দেখো, নিজের অজান্তেই তোমার তিনবার পড়া হলো একটা টপিক। এটি মস্তিষ্কে স্নায়বিক একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে। এ জন্য বলা হয়, পড়া মুখস্থ করার দরকার নেই।
চাইলে একজন বন্ধুকে রাখতে পারো সঙ্গে। সে তার পড়াটা তোমাকে বলল, তুমি তোমার পড়াটা তাকে বললে। ক্লাসের পড়ালেখা যদি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু একবারে পড়তে বসার চাপ অনুভব হবে না।
পড়ার সময় রাখবে খুব বেশি হলে ২০ মিনিট। তারপর কিছু সময়ের জন্য পড়া বন্ধ করবে। পড়ার সময় মাঝে মাঝে পানি খেলে স্নায়ুতন্ত্র তাজা থাকবে।
সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
হাঁটুর সমস্যা
কয়েক বছর আগে ছোট্ট একটা দুর্ঘটনায় বাইক থেকে পড়ে যাই। পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটুর মাংস অনেকটা উঠে যায়। চিকিৎসার পর ঠিক হলেও সেই হাঁটুর ব্যথা এখনো অনুভব করি। হাঁটুতে ভর করে নিচু জায়গায় বসার সময় মনে হয় সেরে যাওয়া ক্ষতের জায়গায় চাপ লাগছে।
ওই একই পায়ের গোড়ালিতেও এখন ব্যথা অনুভব করি। কী করতে পারি? কোন ধরনের স্পেশালিস্ট দেখানো জরুরি?
এশা মুমতারিন, রাজশাহী
একজন হাঁটু বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। হাঁটু বিশেষজ্ঞ বা অর্থোপেডিকস বা একজন চার্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট দেখিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করে মাংসপেশি শক্তিশালী করতে হবে। যত দ্রুত করবেন, ততই মঙ্গল।
উম্মে শায়লা রুমকি, ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, পিটিআরসি, ঢাকা
দাঁতের সমস্যা
আমার দাঁতের নিচের পাটির মাড়ির পাশে গালের মাংসে কালো কালশিটে দেখা যাচ্ছে। ঠিক ওই অংশে যে দাঁত, তাতে একটু ব্যথাও অনুভূত হয়। এটা কেন হচ্ছে? কী করতে পারি ঘরোয়া উপায়ে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
সমস্যাটা একজন ডেনটিস্টকে দেখাতে হবে। না দেখে ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। এমনিতে কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই একজন ডেনটিস্টকে দেখিয়ে তবেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
লিউনা লুভাইনা ইসলাম, ডেনটিস্ট, ব্লুটুথ ডেন্টাল পয়েন্ট, ঢাকা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৪৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণের মধ্যে দুটি রোগের চিকিৎসায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ‘ডেঙ্গু ও কোভিড চিকিৎসায় নির্দেশনাবলি’ আজ রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে।
২ দিন আগে১২ ও ১৩ এপ্রিল হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের ২২ ও ২৩তম সভার পর ৪ জুলাই ৬৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। হাসপাতালে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি অংশকে কোনো প্রকার প্রক্রিয়া ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল...
২ দিন আগেবিভিন্ন কারণে মানুষের জেগে থাকা সময়ের বিরাট অংশ কেটে যায় বিভিন্ন পর্দার দিকে অপলক চেয়ে। অফিসের কাজ হোক কিংবা বাসায় বিনোদন—চোখের আরাম পাওয়ার সুযোগ এখন খুবই কম। এভাবে দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে দেখা দেয় একধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা, যাকে বলা হয় কম্পিউটার আই স্ট্রেইন বা ডিজিটাল আই স্ট্রেইন।
৩ দিন আগে