নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্তান প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভরসা পান না অধিকাংশ মানুষ। এসব হাসপাতালে প্রসূতি ঘর মাতৃবান্ধব না হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রসবে অস্ত্রোপচার নিরুৎসাহিত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে স্বাভাবিক প্রসব বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য নির্ধারিত এ ঘরগুলো মাতৃবান্ধব না হওয়ায় অনেক সময় গর্ভবতীরা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে অনেক মা ও নবজাতক জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
কর্মশালায় ওজিএসবির সাবেক সভাপতি গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না। আবার মায়ের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। সে জন্য এসব মায়েরা যেন হাসপাতালমুখী হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রসূতি ঘরটি মাতৃবান্ধব হলে এ সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান সম্ভব জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রসূতি ঘর হতে হবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক কক্ষ। সেখানে যেতে কেউ যেন ভয় না পান, অস্বস্তিতে না পড়েন। এ জন্য স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হতে হবে একেবারেই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা নয়।’
কর্মশালায় সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ওজিএসবির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব বেড়ে গেছে। বিপরীতে স্বাভাবিক প্রসব কমে গেছে উদ্বেগজনক হারে। প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব ধরনের জটিলতা শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব কমিয়ে আনতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের দিকে আমাদের নজর বাড়াতে হবে।’
ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে চাইলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি কমিটমেন্ট ঠিক রেখে তাঁদের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
নারীস্বাস্থ্যের এ দিকটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি জানান, এরই মধ্যে বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওজিএসবির আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে চলছে এ প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এতে স্বাভাবিক প্রসব অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছেন এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।

সন্তান প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভরসা পান না অধিকাংশ মানুষ। এসব হাসপাতালে প্রসূতি ঘর মাতৃবান্ধব না হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রসবে অস্ত্রোপচার নিরুৎসাহিত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে স্বাভাবিক প্রসব বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য নির্ধারিত এ ঘরগুলো মাতৃবান্ধব না হওয়ায় অনেক সময় গর্ভবতীরা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে অনেক মা ও নবজাতক জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
কর্মশালায় ওজিএসবির সাবেক সভাপতি গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না। আবার মায়ের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। সে জন্য এসব মায়েরা যেন হাসপাতালমুখী হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রসূতি ঘরটি মাতৃবান্ধব হলে এ সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান সম্ভব জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রসূতি ঘর হতে হবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক কক্ষ। সেখানে যেতে কেউ যেন ভয় না পান, অস্বস্তিতে না পড়েন। এ জন্য স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হতে হবে একেবারেই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা নয়।’
কর্মশালায় সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ওজিএসবির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব বেড়ে গেছে। বিপরীতে স্বাভাবিক প্রসব কমে গেছে উদ্বেগজনক হারে। প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব ধরনের জটিলতা শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব কমিয়ে আনতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের দিকে আমাদের নজর বাড়াতে হবে।’
ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে চাইলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি কমিটমেন্ট ঠিক রেখে তাঁদের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
নারীস্বাস্থ্যের এ দিকটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি জানান, এরই মধ্যে বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওজিএসবির আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে চলছে এ প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এতে স্বাভাবিক প্রসব অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছেন এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্তান প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভরসা পান না অধিকাংশ মানুষ। এসব হাসপাতালে প্রসূতি ঘর মাতৃবান্ধব না হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রসবে অস্ত্রোপচার নিরুৎসাহিত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে স্বাভাবিক প্রসব বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য নির্ধারিত এ ঘরগুলো মাতৃবান্ধব না হওয়ায় অনেক সময় গর্ভবতীরা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে অনেক মা ও নবজাতক জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
কর্মশালায় ওজিএসবির সাবেক সভাপতি গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না। আবার মায়ের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। সে জন্য এসব মায়েরা যেন হাসপাতালমুখী হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রসূতি ঘরটি মাতৃবান্ধব হলে এ সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান সম্ভব জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রসূতি ঘর হতে হবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক কক্ষ। সেখানে যেতে কেউ যেন ভয় না পান, অস্বস্তিতে না পড়েন। এ জন্য স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হতে হবে একেবারেই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা নয়।’
কর্মশালায় সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ওজিএসবির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব বেড়ে গেছে। বিপরীতে স্বাভাবিক প্রসব কমে গেছে উদ্বেগজনক হারে। প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব ধরনের জটিলতা শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব কমিয়ে আনতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের দিকে আমাদের নজর বাড়াতে হবে।’
ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে চাইলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি কমিটমেন্ট ঠিক রেখে তাঁদের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
নারীস্বাস্থ্যের এ দিকটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি জানান, এরই মধ্যে বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওজিএসবির আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে চলছে এ প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এতে স্বাভাবিক প্রসব অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছেন এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।

সন্তান প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভরসা পান না অধিকাংশ মানুষ। এসব হাসপাতালে প্রসূতি ঘর মাতৃবান্ধব না হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রসবে অস্ত্রোপচার নিরুৎসাহিত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে স্বাভাবিক প্রসব বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য নির্ধারিত এ ঘরগুলো মাতৃবান্ধব না হওয়ায় অনেক সময় গর্ভবতীরা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে অনেক মা ও নবজাতক জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
কর্মশালায় ওজিএসবির সাবেক সভাপতি গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না। আবার মায়ের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। সে জন্য এসব মায়েরা যেন হাসপাতালমুখী হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রসূতি ঘরটি মাতৃবান্ধব হলে এ সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান সম্ভব জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রসূতি ঘর হতে হবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক কক্ষ। সেখানে যেতে কেউ যেন ভয় না পান, অস্বস্তিতে না পড়েন। এ জন্য স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হতে হবে একেবারেই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা নয়।’
কর্মশালায় সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ওজিএসবির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব বেড়ে গেছে। বিপরীতে স্বাভাবিক প্রসব কমে গেছে উদ্বেগজনক হারে। প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব ধরনের জটিলতা শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব কমিয়ে আনতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের দিকে আমাদের নজর বাড়াতে হবে।’
ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে চাইলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি কমিটমেন্ট ঠিক রেখে তাঁদের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
নারীস্বাস্থ্যের এ দিকটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি জানান, এরই মধ্যে বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওজিএসবির আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে চলছে এ প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এতে স্বাভাবিক প্রসব অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছেন এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।

যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না।
০৪ মার্চ ২০২২
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না।
০৪ মার্চ ২০২২
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না।
০৪ মার্চ ২০২২
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না।
০৪ মার্চ ২০২২
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে