ডা. নাজমা আক্তার
যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেটা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেন। কেউ সফল হন, কেউ হতে পারেন না। যদি আপনি সত্যিই ধূমপান ছেড়ে দিতে চান, তাহলে আপনার জীবনে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টায় সফল হতে হবে।
সিদ্ধান্তে অটল থাকুন
একটি নির্দিষ্ট তারিখ বা দিন নির্ধারণ করুন ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এবং সিদ্ধান্তে অটল থাকুন।
যৌক্তিক কারণ নির্ধারণ করুন
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি যৌক্তিক কারণ নির্ধারণ করুন। হতে পারে আপনার অতি আপনজনদের ধূমপানের ক্ষতিকর ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচানো। কারণগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন। যখনই আপনার ধূমপানের নেশা জাগবে, তখনই এই লিস্ট পড়ুন।
অধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন
কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে কিংবা দূরে ভ্রমণে গেলে অধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে যান।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন। সরিয়ে ফেলুন লাইটার বা অ্যাশট্রে। রুমে ব্যবহার করুন সুগন্ধযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
যখন আপনার ধূমপানের ইচ্ছা জাগবে, তখন আপনি প্রিয় বই পড়তে পারেন কিংবা প্রিয় মুভি দেখতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন। জগিং করতে পারেন। কাছাকাছি কোনো পার্কে হাঁটতে যেতে পারেন।
কাউন্সেলরের পরামর্শ
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে তেমন বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।
পুষ্টিকর খাবার
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন ফলমূল, তাজা শাকসবজি, শস্যদানা, ডাল, বাদাম, দুধ, ডিম, মাছ, মুরগি ইত্যাদি।
সঞ্চয় করুন
ধূমপানের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা জমিয়ে ফেলুন এবং তা দিয়ে নিজের পছন্দমতো জিনিস কিনুন।
একবার না পারিলে দেখো শতবার
অনেকে বারবার ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। হাল ছেড়ে দেবেন না। আবার টার্গেট নির্দিষ্ট করুন, আবার চেষ্টা করুন। আপনি সফল হবেনই।
মনে রাখবেন, ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া ধূমপায়ীরা ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। ধূমপান বাদ দিয়েই এসব রোগ থেকে বেঁচে যেতে পারেন এবং পেতে পারেন সুস্থ জীবন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, মার্কস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেটা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেন। কেউ সফল হন, কেউ হতে পারেন না। যদি আপনি সত্যিই ধূমপান ছেড়ে দিতে চান, তাহলে আপনার জীবনে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টায় সফল হতে হবে।
সিদ্ধান্তে অটল থাকুন
একটি নির্দিষ্ট তারিখ বা দিন নির্ধারণ করুন ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এবং সিদ্ধান্তে অটল থাকুন।
যৌক্তিক কারণ নির্ধারণ করুন
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি যৌক্তিক কারণ নির্ধারণ করুন। হতে পারে আপনার অতি আপনজনদের ধূমপানের ক্ষতিকর ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচানো। কারণগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন। যখনই আপনার ধূমপানের নেশা জাগবে, তখনই এই লিস্ট পড়ুন।
অধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন
কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে কিংবা দূরে ভ্রমণে গেলে অধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে যান।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন। সরিয়ে ফেলুন লাইটার বা অ্যাশট্রে। রুমে ব্যবহার করুন সুগন্ধযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
যখন আপনার ধূমপানের ইচ্ছা জাগবে, তখন আপনি প্রিয় বই পড়তে পারেন কিংবা প্রিয় মুভি দেখতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন। জগিং করতে পারেন। কাছাকাছি কোনো পার্কে হাঁটতে যেতে পারেন।
কাউন্সেলরের পরামর্শ
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে তেমন বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।
পুষ্টিকর খাবার
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন ফলমূল, তাজা শাকসবজি, শস্যদানা, ডাল, বাদাম, দুধ, ডিম, মাছ, মুরগি ইত্যাদি।
সঞ্চয় করুন
ধূমপানের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা জমিয়ে ফেলুন এবং তা দিয়ে নিজের পছন্দমতো জিনিস কিনুন।
একবার না পারিলে দেখো শতবার
অনেকে বারবার ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। হাল ছেড়ে দেবেন না। আবার টার্গেট নির্দিষ্ট করুন, আবার চেষ্টা করুন। আপনি সফল হবেনই।
মনে রাখবেন, ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া ধূমপায়ীরা ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। ধূমপান বাদ দিয়েই এসব রোগ থেকে বেঁচে যেতে পারেন এবং পেতে পারেন সুস্থ জীবন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, মার্কস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
৪ দিন আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
৪ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৭ দিন আগে