করোনার উপধরন
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
পরীক্ষা বাড়লে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। কারণ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় নেয় না।
দীর্ঘ দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হওয়ার কথা জানা যায়। রাজধানীতে মারা যাওয়া সেই ব্যক্তির বয়স ৮০ বছর। এতে জনমনে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন ছড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত বুধবার সতর্কতামূলক ১১ দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত দুই বছর কম ছিল। ফলে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সরকারি তথা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সতর্কতা নেমে এসেছে কার্যত শূন্যের কোটায়।
বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের তা বলা না গেলেও সরকারের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণদের টিকা প্রদান কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে রাজধানীর বাইরে করোনা পরীক্ষার কোনো উদ্যোগ বা কার্যক্রম এখনো চোখে পড়েনি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হয়। জুনের প্রথম ১১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন। গত দুই সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেশে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত দেশে ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে হিসাবে আক্রান্তের হার ২০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
১ জুন ২৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ। এরপর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২ জুন ৫০ শতাংশ, ৩ জুন ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৪ জুন ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ৫ জুন ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, (৬ ও ৭ জুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি) ৮ জুন ৭৫ শতাংশ, ৯ জুন ১২ দশমিক ২০ শতাংশ, ১০ জুন ১৩ শতাংশ এবং ১১ জুন ৯ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম সংক্রমণ শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্তের গড় হার ১৩ শতাংশ।
রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধিতে করোনা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদেরা। তবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে বড় কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি হবে না বলে উল্লেখ করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যে নতুন উপধরন পাশের দেশগুলোতে দেখা গেছে, তা খুবই ভয়ংকর তা বলা যাচ্ছে না। তবে হঠাৎ করে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার ফলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। পরীক্ষা আরও বাড়ানো জরুরি। জেলা ও উপজেলায়ও পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ এই রোগতত্ত্ববিদ আরও বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন আক্রান্ত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পাশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেসব দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারির কথা বলেছে অধিদপ্তর।
করোনা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য এখনো হুমকি বলে সম্প্রতি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২৮ মে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ শতাংশ পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর এমন দেখা যায়নি। করোনা শনাক্তের বৃদ্ধির এ হার মূলত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ৪ মে কোভিড আর জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা নয় বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক হালিমুর রশিদ বলেন, করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেলে যেন সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে, এর জন্য আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। পরীক্ষা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নমুনা শনাক্তের জন্য পরীক্ষার সরঞ্জামের (কিট) মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন উপধরন এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জোরদার করার বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের হিসাব বলছে, দেশে ২০২০ সালের মার্চে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যায় ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এজন্য এ রোগটির নাম হয় করোনাভাইরাস ডিজিজ বা সংক্ষেপে কোভিড-১৯।
পরীক্ষা বাড়লে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। কারণ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় নেয় না।
দীর্ঘ দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হওয়ার কথা জানা যায়। রাজধানীতে মারা যাওয়া সেই ব্যক্তির বয়স ৮০ বছর। এতে জনমনে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন ছড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত বুধবার সতর্কতামূলক ১১ দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত দুই বছর কম ছিল। ফলে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সরকারি তথা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সতর্কতা নেমে এসেছে কার্যত শূন্যের কোটায়।
বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের তা বলা না গেলেও সরকারের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণদের টিকা প্রদান কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে রাজধানীর বাইরে করোনা পরীক্ষার কোনো উদ্যোগ বা কার্যক্রম এখনো চোখে পড়েনি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হয়। জুনের প্রথম ১১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন। গত দুই সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেশে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত দেশে ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে হিসাবে আক্রান্তের হার ২০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
১ জুন ২৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ। এরপর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২ জুন ৫০ শতাংশ, ৩ জুন ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৪ জুন ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ৫ জুন ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, (৬ ও ৭ জুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি) ৮ জুন ৭৫ শতাংশ, ৯ জুন ১২ দশমিক ২০ শতাংশ, ১০ জুন ১৩ শতাংশ এবং ১১ জুন ৯ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম সংক্রমণ শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্তের গড় হার ১৩ শতাংশ।
রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধিতে করোনা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদেরা। তবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে বড় কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি হবে না বলে উল্লেখ করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যে নতুন উপধরন পাশের দেশগুলোতে দেখা গেছে, তা খুবই ভয়ংকর তা বলা যাচ্ছে না। তবে হঠাৎ করে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার ফলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। পরীক্ষা আরও বাড়ানো জরুরি। জেলা ও উপজেলায়ও পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ এই রোগতত্ত্ববিদ আরও বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন আক্রান্ত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পাশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেসব দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারির কথা বলেছে অধিদপ্তর।
করোনা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য এখনো হুমকি বলে সম্প্রতি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২৮ মে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ শতাংশ পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর এমন দেখা যায়নি। করোনা শনাক্তের বৃদ্ধির এ হার মূলত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ৪ মে কোভিড আর জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা নয় বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক হালিমুর রশিদ বলেন, করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেলে যেন সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে, এর জন্য আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। পরীক্ষা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নমুনা শনাক্তের জন্য পরীক্ষার সরঞ্জামের (কিট) মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন উপধরন এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জোরদার করার বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের হিসাব বলছে, দেশে ২০২০ সালের মার্চে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যায় ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এজন্য এ রোগটির নাম হয় করোনাভাইরাস ডিজিজ বা সংক্ষেপে কোভিড-১৯।
বর্ষা আসছে। এই মৌসুমে শুধু বৃষ্টি-বাদল আর স্নিগ্ধতা নয়, সঙ্গে বাড়ে সংক্রামক নানা রোগের শঙ্কাও। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু। এ সময় সুস্থ থাকতে ফ্লুর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। অনেক সময় এটি সাধারণ ঠান্ডা লাগা কিংবা কোভিড-১৯-এর সঙ্গে মিলেও যেতে পারে। সময়মতো চিহ্নিত করতে পারলে..
২ ঘণ্টা আগেদম্পতিদের মতের অমিল হওয়া সাধারণ বিষয়। কিন্তু কেন তা হচ্ছে, সেটি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য একজন নিরপেক্ষ মানুষ দরকার। স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সম্পর্কের জট খোলা সেই মানুষের কাজ। জট খোলার প্রক্রিয়া হলো ম্যারিটাল থেরাপি।
৩ ঘণ্টা আগেচলছে আমের মৌসুম। সুস্বাদু সব আম এখন হাতের নাগালে। কিন্তু আম দেখলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, আম খেলে কি ওজন বাড়বে? স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ফল খাবেন, ওজন-সচেতন মানুষ ওজন নিয়ে চিন্তা করবেন, এটিই স্বাভাবিক। এই আমের মৌসুমে আরও যে প্রশ্নগুলো মাথায় ঘোরে, সেগুলো হলো, আম খেলে কি সুগার বাড়বে? ডায়াবেটিসের...
৩ ঘণ্টা আগেস্থূলতা বা ওবেসিটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। কিন্তু এটি বিশ্বব্যাপী উপেক্ষিত এবং অবমূল্যায়িত। এ ক্ষেত্রে শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। ফলে স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, আয়ু কমে যেতে পারে এবং শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য একে নীরব ঘাতক বলা হচ্ছে। শৈশবকালীন স্থূলতা...
৩ ঘণ্টা আগে