মো. ইকবাল হোসেন
লিভার বা যকৃৎ আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ অঙ্গ। এটি বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। লিভারের নানা ধরনের রোগের মধ্যে আমাদের দেশে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারই বেশি দেখা যায়। এর প্রধান কারণ স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব।
ফ্যাটি লিভারের মূলত কোনো চিকিৎসা নেই। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ওজন কমানো, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামই পারে এই রোগ থেকে মুক্ত রাখতে। লিভার বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী খাবেন, কীভাবে খাবেন, কতটুকু খাবেন—এগুলো জানা খুবই জরুরি।
বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদ ঘিরে ফ্যাটি লিভারের রোগীদের চিন্তা কিছুটা বেশিই থাকে। ঈদের বাহারি খাবারের আয়োজনে কী খাবেন, সেটা যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। কারণ, ঈদ আয়োজনে যেসব খাবার থাকে, বেশির ভাগই ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর; বিশেষ করে গরু বা খাসির মাংসের খাবার।
সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংস রেড মিট হিসেবে বিবেচিত। এটি অনেকের কাছে আতঙ্কের নাম। কেউ উচ্চ রক্তচাপের ভয়ে তো কেউ হার্ট অ্যাটাকের ভয়ে, আবার কেউ ফ্যাটি লিভারের ভয়ে এসব মাংস খেতে চান না। মায়োগ্লোবিন নামক প্রোটিন কিছুটা বেশি থাকে বলে মাংস লাল দেখায়। রেড মিটে একটু বেশি সম্পৃক্ত চর্বি থাকে, যা রক্তের খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে হৃদ্রোগ ও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
তাই ঈদে গরু বা খাসির মাংস খেতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। ছোট তিন থেকে চার টুকরা মাংস খাওয়া যাবে প্রতি বেলায়। সাদা চর্বি লেগে থাকবে না এমন মাংস খেতে হবে এবং মাংসের ঝোল খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত খাবার কিংবা ডুবো তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি, পায়েস—এগুলো খাওয়া যাবে না। ভাত বা রুটি পরিমাণে কিছুটা কম খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। ঈদের দিনগুলোতে ব্যায়ামের পরিমাণ কিছুটা বাড়াতে হবে।
মাংস খাওয়ার আগে দেখে নিন
মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম, ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
লিভার বা যকৃৎ আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ অঙ্গ। এটি বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। লিভারের নানা ধরনের রোগের মধ্যে আমাদের দেশে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারই বেশি দেখা যায়। এর প্রধান কারণ স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব।
ফ্যাটি লিভারের মূলত কোনো চিকিৎসা নেই। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ওজন কমানো, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামই পারে এই রোগ থেকে মুক্ত রাখতে। লিভার বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী খাবেন, কীভাবে খাবেন, কতটুকু খাবেন—এগুলো জানা খুবই জরুরি।
বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদ ঘিরে ফ্যাটি লিভারের রোগীদের চিন্তা কিছুটা বেশিই থাকে। ঈদের বাহারি খাবারের আয়োজনে কী খাবেন, সেটা যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। কারণ, ঈদ আয়োজনে যেসব খাবার থাকে, বেশির ভাগই ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর; বিশেষ করে গরু বা খাসির মাংসের খাবার।
সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংস রেড মিট হিসেবে বিবেচিত। এটি অনেকের কাছে আতঙ্কের নাম। কেউ উচ্চ রক্তচাপের ভয়ে তো কেউ হার্ট অ্যাটাকের ভয়ে, আবার কেউ ফ্যাটি লিভারের ভয়ে এসব মাংস খেতে চান না। মায়োগ্লোবিন নামক প্রোটিন কিছুটা বেশি থাকে বলে মাংস লাল দেখায়। রেড মিটে একটু বেশি সম্পৃক্ত চর্বি থাকে, যা রক্তের খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে হৃদ্রোগ ও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
তাই ঈদে গরু বা খাসির মাংস খেতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। ছোট তিন থেকে চার টুকরা মাংস খাওয়া যাবে প্রতি বেলায়। সাদা চর্বি লেগে থাকবে না এমন মাংস খেতে হবে এবং মাংসের ঝোল খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত খাবার কিংবা ডুবো তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি, পায়েস—এগুলো খাওয়া যাবে না। ভাত বা রুটি পরিমাণে কিছুটা কম খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। ঈদের দিনগুলোতে ব্যায়ামের পরিমাণ কিছুটা বাড়াতে হবে।
মাংস খাওয়ার আগে দেখে নিন
মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম, ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১ দিন আগে