ক্যানসার চিকিৎসায় একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকেরা। এই প্রযুক্তিতে ক্যানসার কোষগুলোকে মেরে ফেলার পরিবর্তে সেগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে।
বর্তমানে প্রায় সকল ক্যানসার চিকিৎসায় ক্যানসার কোষগুলোকে ধ্বংস করা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে—যেমন ক্যানসার কোষগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক সুস্থ কোষও ধ্বংস হতে পারে।
ক্যানসার কোষ স্বাভাবিক কোষের মতোই থাকে। তবে এদের বৃদ্ধি এবং বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। মানুষের শরীর অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত, যেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায় এবং পুরোনো কোষের জায়গায় নতুন কোষের জন্ম হয়। সাধারণত কোষগুলো একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে। তবে ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই কোষগুলোর বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে, যার ফলে শরীরে টিউমার বা মাংসপিণ্ড সৃষ্টি হয়। এগুলো ত্বকের নিচে একটি চাকা আকারে দেখা যায়।
গত সোমবার কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (কেএআইএসটি) জানিয়েছে, কেমিক্যাল এবং ব্রেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক চো কাং-হিউনের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই প্রযুক্তি কোলন ক্যানসারের কোষগুলোকে মেরে ফেলার পরিবর্তে তাদের অবস্থা পরিবর্তন করে কোলন কোষগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
এই প্রযুক্তিটি ক্যানসার রিভার্স থেরাপির একটি নতুন ধারণা হিসেবে পরিচিত।
গবেষক দলটি লক্ষ্য করেছেন যে, স্বাভাবিক কোষগুলো ক্যানসার হওয়ার প্রক্রিয়ায় তাদের স্বাভাবিক ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরি (কোষের বৃদ্ধির প্রাকৃতিক ধারা) থেকে বিপরীত দিকে চলে যায়। এর মানে হচ্ছে—ক্যানসার কোষগুলো বিকাশে স্বাভাবিক কোষগুলোর কিছু পরিবর্তন ঘটে যেগুলো তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বিপথগামী করে।
এই ধারণা থেকে তারা একটি ‘ডিজিটাল টুইন’ তৈরি করেছেন, যা একটি ভার্চুয়াল মডেল বা সিমুলেশন। এই মডেলটি স্বাভাবিক কোষ ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরির জেন নেটওয়ার্ক (জিনের মিথস্ক্রিয়া ও তাদের পরিবর্তন শৃঙ্খলা) এর একটি অনুলিপি। অর্থাৎ এটি কোষগুলোর স্বাভাবিক বিকাশের পুরো প্রক্রিয়াটিকে সঠিকভাবে চিত্রিত করে।
পরে, তারা এই ডিজিটাল টুইন বা মডেলটি ব্যবহার করে সেলের ডিফারেনশিয়েশন বা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি সিমুলেট এবং বিশ্লেষণ করেছেন। এর মাধ্যমে ক্যানসারের বিকাশে কী কী নির্দিষ্ট পরিবর্তন ঘটছে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন তারা। এর মাধ্যমে তারা এমন উপাদান বা ফ্যাক্টর চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ক্যানসারের কোষগুলোকে স্বাভাবিক সেলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রভাবিত করতে পারে।
এই গবেষণার মাধ্যমে তারা সেসব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক উপাদান চিহ্নিত করেছেন, যা স্বাভাবিক সেল ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরির নিয়ন্ত্রণ করে। পরবর্তী সময়ে তারা কোলন ক্যানসার সেলে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে প্রমাণ করেছেন যে, এই প্রযুক্তি ক্যানসার সেলের অবস্থা স্বাভাবিক সেলে রূপান্তরিত করতে সক্ষম।
এ বিষয়ে অধ্যাপক চো কাং-হিউন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক যে, ক্যানসার সেলগুলোকে স্বাভাবিক সেলে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আমাদের গবেষণায়, প্রথমবারের মতো ক্যানসার সেলগুলোকে স্বাভাবিক সেলে ফিরিয়ে আনার থেরাপির ধারণাটি উপস্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে আমরা একটি মৌলিক প্রযুক্তি তৈরি করেছি যা স্বাভাবিক সেল ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরির বিশ্লেষণ করে ক্যানসার রিভার্স থেরাপির জন্য লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করবে।’
এই গবেষণার ফলাফলটি এখন ‘বায়োরিভার্ট’ কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হবে এবং এটি ব্যবহার করে ক্যানসার রিভার্স থেরাপির উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘অ্যাডভান্সড সায়েন্স’ এর অনলাইন সংস্করণে গত ১১ ডিসেম্বর গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় কেএআইএসটি–এর ডঃ গং জেং-রেওল, পিএইচডি ছাত্ররা লি চান-কিয়ং, কিম হন-মিন এবং কিম জু-হি অংশগ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র: কোরিয়ান বায়োমেডিকাল রিভিউ
ক্যানসার চিকিৎসায় একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকেরা। এই প্রযুক্তিতে ক্যানসার কোষগুলোকে মেরে ফেলার পরিবর্তে সেগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে।
বর্তমানে প্রায় সকল ক্যানসার চিকিৎসায় ক্যানসার কোষগুলোকে ধ্বংস করা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে—যেমন ক্যানসার কোষগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক সুস্থ কোষও ধ্বংস হতে পারে।
ক্যানসার কোষ স্বাভাবিক কোষের মতোই থাকে। তবে এদের বৃদ্ধি এবং বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। মানুষের শরীর অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত, যেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায় এবং পুরোনো কোষের জায়গায় নতুন কোষের জন্ম হয়। সাধারণত কোষগুলো একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে। তবে ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই কোষগুলোর বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে, যার ফলে শরীরে টিউমার বা মাংসপিণ্ড সৃষ্টি হয়। এগুলো ত্বকের নিচে একটি চাকা আকারে দেখা যায়।
গত সোমবার কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (কেএআইএসটি) জানিয়েছে, কেমিক্যাল এবং ব্রেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক চো কাং-হিউনের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই প্রযুক্তি কোলন ক্যানসারের কোষগুলোকে মেরে ফেলার পরিবর্তে তাদের অবস্থা পরিবর্তন করে কোলন কোষগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
এই প্রযুক্তিটি ক্যানসার রিভার্স থেরাপির একটি নতুন ধারণা হিসেবে পরিচিত।
গবেষক দলটি লক্ষ্য করেছেন যে, স্বাভাবিক কোষগুলো ক্যানসার হওয়ার প্রক্রিয়ায় তাদের স্বাভাবিক ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরি (কোষের বৃদ্ধির প্রাকৃতিক ধারা) থেকে বিপরীত দিকে চলে যায়। এর মানে হচ্ছে—ক্যানসার কোষগুলো বিকাশে স্বাভাবিক কোষগুলোর কিছু পরিবর্তন ঘটে যেগুলো তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বিপথগামী করে।
এই ধারণা থেকে তারা একটি ‘ডিজিটাল টুইন’ তৈরি করেছেন, যা একটি ভার্চুয়াল মডেল বা সিমুলেশন। এই মডেলটি স্বাভাবিক কোষ ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরির জেন নেটওয়ার্ক (জিনের মিথস্ক্রিয়া ও তাদের পরিবর্তন শৃঙ্খলা) এর একটি অনুলিপি। অর্থাৎ এটি কোষগুলোর স্বাভাবিক বিকাশের পুরো প্রক্রিয়াটিকে সঠিকভাবে চিত্রিত করে।
পরে, তারা এই ডিজিটাল টুইন বা মডেলটি ব্যবহার করে সেলের ডিফারেনশিয়েশন বা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি সিমুলেট এবং বিশ্লেষণ করেছেন। এর মাধ্যমে ক্যানসারের বিকাশে কী কী নির্দিষ্ট পরিবর্তন ঘটছে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন তারা। এর মাধ্যমে তারা এমন উপাদান বা ফ্যাক্টর চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ক্যানসারের কোষগুলোকে স্বাভাবিক সেলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রভাবিত করতে পারে।
এই গবেষণার মাধ্যমে তারা সেসব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক উপাদান চিহ্নিত করেছেন, যা স্বাভাবিক সেল ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরির নিয়ন্ত্রণ করে। পরবর্তী সময়ে তারা কোলন ক্যানসার সেলে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে প্রমাণ করেছেন যে, এই প্রযুক্তি ক্যানসার সেলের অবস্থা স্বাভাবিক সেলে রূপান্তরিত করতে সক্ষম।
এ বিষয়ে অধ্যাপক চো কাং-হিউন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক যে, ক্যানসার সেলগুলোকে স্বাভাবিক সেলে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আমাদের গবেষণায়, প্রথমবারের মতো ক্যানসার সেলগুলোকে স্বাভাবিক সেলে ফিরিয়ে আনার থেরাপির ধারণাটি উপস্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে আমরা একটি মৌলিক প্রযুক্তি তৈরি করেছি যা স্বাভাবিক সেল ডিফারেনশিয়েশন ট্র্যাজেক্টরির বিশ্লেষণ করে ক্যানসার রিভার্স থেরাপির জন্য লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করবে।’
এই গবেষণার ফলাফলটি এখন ‘বায়োরিভার্ট’ কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হবে এবং এটি ব্যবহার করে ক্যানসার রিভার্স থেরাপির উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘অ্যাডভান্সড সায়েন্স’ এর অনলাইন সংস্করণে গত ১১ ডিসেম্বর গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় কেএআইএসটি–এর ডঃ গং জেং-রেওল, পিএইচডি ছাত্ররা লি চান-কিয়ং, কিম হন-মিন এবং কিম জু-হি অংশগ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র: কোরিয়ান বায়োমেডিকাল রিভিউ
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১ দিন আগে