Ajker Patrika

ইউক্রেনই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জিতছে কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ০৩
ইউক্রেনই শেষ পর্যন্ত  যুদ্ধে জিতছে কি

এক বছর পূর্তি হচ্ছে আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি। এ দিন ‘সামরিক অভিযানের’ নামে তিন দিক থেকে রাশিয়া হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনের ওপর। কিয়েভের অদূরের হোস্টোমেল যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনী এমনভাবে হামলে পড়েছিল, মনে হচ্ছিল ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াটা সময়ের ব্যাপার। তবে এক বছর পরে চিত্রটা অনেকটাই ভিন্ন।

যুদ্ধের এ পর্যায়ে এসে নতুন করে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় রাশিয়ার সক্ষমতা আদৌ কতটুকু আছে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী মূল্যায়ন রয়েছে। অবশ্য ইউক্রেনের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা ক্রিসমাসের আগে থেকে বারবার সতর্ক করেছেন, রাশিয়া এই বছর নতুন করে বড় হামলার পরিকল্পনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মতো বড় আকারের সাঁজোয়া হামলা হয়নি।

ন্যাটো কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, রাশিয়া নতুন নতুন বিমান সংগ্রহ করছে। সেটা অবশ্য যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নাকচ করে দিয়েছে। আবার বলা হচ্ছে, রাশিয়া ব্যাপকভাবে পদাতিক সেনাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। কোনো কোনো হিসাবে তা ৩ লাখের বেশি। তবে উপগ্রহের চিত্রে দৃশ্যমান ট্যাংকের বহর ভিন্ন কথা বলে।

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ, নতুন হামলা শুরুর অংশ হিসেবে পূর্বে রাশিয়ার প্রচেষ্টা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু অন্যরা এটিকে কয়েক মাস ধরে চলমান প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছেন। গত গ্রীষ্মের তুলনায় সিভিয়ারোডোনেটস্কের আশপাশে রুশ বাহিনীর গোলাগুলি কমে আসছে।

যুক্তরাজ্যের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিপস ও’ব্রায়েনের মতো বিশ্লেষকেরা মনে করেন, গত বছর বিপুলসংখ্যক সেনা সমাবেশ সত্ত্বেও যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সক্ষমতা কমেছে এবং যারা নতুন করে বড় হামলার আশা করছেন, তাদের ধারণা ভুল।

 ও’ব্রায়েন বলেন, ‘রুশরা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। তাদের বেশি সেনা আছে বটে, তবে তাদের সামরিক সরঞ্জাম পুরোনো, সেনারাও কম প্রশিক্ষিত এবং তাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে আসছে। 
অন্যদিকে ইউক্রেনের বাহিনী যুদ্ধের মাঠে সামরিক দিক থেকে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গত গ্রীষ্ম থেকে কারখিভ ও খেরসন প্রদেশে দেশটি পাল্টা হামলা জোরদার করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে তাদের হামলা কমে এলেও খেরসন শহরের বিপরীত দিকের দিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে ইউক্রেন বাহিনী যথেষ্ট সফল হচ্ছে।

মস্কোর পূর্বাভাসও বলছে, বিশেষ করে জাপোরিঝিয়ার দক্ষিণের দিকে ইউক্রেন বাহিনী আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তারা সেখানে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর নেভাল অ্যানালাইসিসের রাশিয়া স্টাডিজের প্রধান মাইকেল কফম্যান বলেন, এ পর্যায়ে মনে হয় না রাশিয়া তাঁর রিজার্ভ সেনা ব্যবহার করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত