Ajker Patrika

সাঁকো দিয়ে সেতু পারাপার

বিপ্লব রায়, শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
Thumbnail image

১১ বছর আগে নির্মিত হয়েছে সেতু। কিন্তু ২ পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। ফলে সেতুতে উঠতে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। কোটি টাকার সেতু থেকে ১১ বছরে কোনো সুফল পাননি উপজেলাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাল্লা থেকে সিলেট কিংবা সুনামগঞ্জে যেতে হলে এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়।  শাল্লা উপজেলার বাইরে যেতে উপজেলাবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। এই সড়কের আনন্দপুরে মাদারিয়া নদীতে নির্মিত হয়েছে সেতুটি। সেতুটিতে ওঠার সংযোগ সড়ক না থাকায় গিরিধর উচ্চবিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সহায়তায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো দিয়েই সেতুতে উঠতে হয়।

গিরিধর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব রায় বলে, এত উঁচু সেতুতে বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। গতকাল সোমবার গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশে কিছু দূরেই পিচঢালাই সড়ক রয়েছে। সেতুর দুই পাশে খাঁড়াভাবে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। এই সাঁকো বেয়ে সেতু দিয়ে ভাটিবাংলা কলেজ ও গিরিধর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করছেন।

জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গ কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০১১ সালে সড়ক ও জনপথ (সওজ) সেতুটি নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও সুবিধা ভোগ করতে পারেনি কেউ।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের  নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, দিরাই-শাল্লা সড়ক নির্মাণে নতুন করে আরেকটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। তাই দরপত্র হলেই নতুন করে আবার কাজ শুরু করা হবে। তবে প্রকল্পের কাজে নানা জটিলতা থাকায় তখনকার সময়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই সেতুটিতে সংযোগ সড়ক দেয়নি। ফলে প্রকল্পটি বাতিল করে নতুন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে একনেকে অনুমোদন পেয়েছে দিরাই-শাল্লা সড়ক প্রকল্প। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত