Ajker Patrika

মুঠোর চালে নারীদের শারদীয় দুর্গোৎসব

নীলফামারী প্রতিনিধি
মুঠোর চালে নারীদের শারদীয় দুর্গোৎসব

দিনে বা রাতে ভাত রান্নার সময় সেখান থেকে এক মুঠো করে চাল জমিয়ে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাড়িপাড়ার নারীরা।

উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের হাড়িপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবার গত দেড় যুগ ধরে এভাবেই শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্‌যাপন করে আসছে।

গতকাল শনিবার ষষ্ঠীপূজার দিনে ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটি প্রায় পুরুষশূন্য। কারণ, হাড়িপাড়ার পুরুষদের আয়ের একমাত্র পথ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢোল বাজানো। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঢোল বাজাতে গেছেন। ফলে এখানকার মণ্ডপে ঢাক, ঢোল—সবই বাজাচ্ছেন নারীরা। পূজার আরতি থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণও করছেন তাঁরা।

লক্ষ্মণপুর হাড়িপাড়া কালীমন্দির পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি রতন চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে জানান, এবার দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি অনুদানের ৫০০ কেজি চাল বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। বাকি টাকা মুঠোর চাল বিক্রি ও বিভিন্ন হাটবাজার থেকে তোলা অর্থে জোগান দেওয়া হবে। এরপরও টাকার ঘাটতি হলে আবারও মুঠোর চাল জমিয়ে তা পরিশোধ করা হবে।

তবে হাড়িপাড়ার বয়োজ্যেষ্ঠ রমণী কান্ত বলেন, অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মন্দিরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে এবারও সেখানে আয়োজন করা হয়েছে পূজার। সামনে সীমানাপ্রাচীর না থাকায় অরক্ষিত থাকে মন্দিরটি। পলেস্তারা না করায় দেয়ালগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে এখনো সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা হয়নি। ফলে অন্যান্য স্থানে জাঁকজমক আয়োজন দেখে পাড়ার শিশু-কিশোরদের মন বসছে না পূজায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সৈয়দপুর শাখার সভাপতি রাজকুমার পোদ্দার রাজু বলেন, ‘ওই পূজামণ্ডপের সার্বিক বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।

পিছিয়ে পড়া ওই জনগোষ্ঠীর মন্দিরটিতে সহযোগিতা করা হবে; যাতে বিভিন্ন সময়ে উন্নত পরিবেশে তাঁরা পূজা-অর্চনা পালন করতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত