রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেড়ে গেছে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকের সংখ্যা। এঁদের অনেকেই রেজিস্ট্রেশনহীন কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করছেন। তা ছাড়া পশুর জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে একদিকে হুমকিতে পড়েছে পশু স্বাস্থ্যসেবা, অন্যদিকে প্রতারিত হচ্ছেন খামারিরা। তাঁরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে এসব চিকিৎসকের যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ জেনেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা নিবন্ধন ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম করছেন, ইতিমধ্যে তাঁদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার কারণে কাজের অনুমতি পেলেও তাঁরা শুধু ভিটামিন দিতে পারবেন। অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ এর ব্যতিক্রম করেন, তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পশুর চিকিৎসায় উপজেলা ভেটেরিনারি কার্যালয়ের চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, উপজেলায় নিবন্ধনধারী পশু চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র নয়জন। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ২০১৯ সালের আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী নিবন্ধন ও সনদ ছাড়া কেউ পশু চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না। একই আইনের ৩৫ ধারায় আইন অমান্যকারীকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল প্রাণী চিকিৎসা-সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকদের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধসহ তাঁদের আইনে সোপর্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ আইনকে উপেক্ষা করে নিবন্ধন ছাড়াই উপজেলায় তিন শতাধিক চিকিৎসক বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় ছোট-বড় ৫ থেকে ২০টি গরু-ছাগল কিংবা হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারকে টার্গেট করে বিভিন্ন গ্রাম ও হাট-বাজারে ভেটেরিনারি কলেজ কিংবা সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সনদ ছাড়াই পশু চিকিৎসা কার্যক্রম চালান অনেকেই। এসব হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের কেউ কেউ ফার্মেসিও দিয়েছেন।
যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করছেন তাঁরা। বড় বড় সাইনবোর্ডে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকদের নাম। তাঁদের কেউ কেউ প্যাড ও ভিজিটিং কার্ডে নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দও ব্যবহার করছেন। যা প্রাণী স্বাস্থ্যসংক্রান্ত আইনের লঙ্ঘন।
উপজেলার খাতামধুপুর গ্রামের রোকসানা খাতুন নামে এক খামারি বলেন, ‘আমি এ বছর তিনটি গাভি নিয়ে ছোট আকারে খামার শুরু করেছি। গত সপ্তাহে আমার একটি গাভির পাতলা পায়খানা হয়। আমাদের গ্রামের এক পশু চিকিৎসককে দেখাই। তিনি যে ওষুধ দেন, তা খাওয়ানো শুরু করি। কিন্তু দুই দিন পরই গাভিটি মারা যায়।’
শহরের গোলাহাট এলাকার আব্দুর রশিদ নামে একজন জানান, তাঁর খামারে ৬টি গাভি ও ১০টি ছাগল রয়েছে। পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের সময়মতো পাওয়া যায় না। তাই যখনই গরু-ছাগল অসুস্থ হয়, তখন এলাকার এক পশু চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান। তিনি আরও বলেন, ‘ওই চিকিৎসকের নিবন্ধন কিংবা ভেটেরিনারি সনদ আছে কি না, তা আমার জানা নাই।’
সৈয়দপুর ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদ আজিজ বলেন, উপজেলা ভেটেরিনারি কার্যালয়ের পশু চিকিৎসকদের নিয়মিত খামার পরিদর্শনের কথা থাকলেও তাঁরা করেন না। এ সুযোগে সার্টিফিকেট ছাড়া পশু চিকিৎসকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ওই চিকিৎসকেরা অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন। এতে পশুর স্বাস্থ্যসেবা হুমকিতে পড়ছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেড়ে গেছে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকের সংখ্যা। এঁদের অনেকেই রেজিস্ট্রেশনহীন কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করছেন। তা ছাড়া পশুর জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে একদিকে হুমকিতে পড়েছে পশু স্বাস্থ্যসেবা, অন্যদিকে প্রতারিত হচ্ছেন খামারিরা। তাঁরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে এসব চিকিৎসকের যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ জেনেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা নিবন্ধন ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম করছেন, ইতিমধ্যে তাঁদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার কারণে কাজের অনুমতি পেলেও তাঁরা শুধু ভিটামিন দিতে পারবেন। অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ এর ব্যতিক্রম করেন, তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পশুর চিকিৎসায় উপজেলা ভেটেরিনারি কার্যালয়ের চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, উপজেলায় নিবন্ধনধারী পশু চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র নয়জন। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ২০১৯ সালের আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী নিবন্ধন ও সনদ ছাড়া কেউ পশু চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না। একই আইনের ৩৫ ধারায় আইন অমান্যকারীকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল প্রাণী চিকিৎসা-সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকদের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধসহ তাঁদের আইনে সোপর্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ আইনকে উপেক্ষা করে নিবন্ধন ছাড়াই উপজেলায় তিন শতাধিক চিকিৎসক বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় ছোট-বড় ৫ থেকে ২০টি গরু-ছাগল কিংবা হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারকে টার্গেট করে বিভিন্ন গ্রাম ও হাট-বাজারে ভেটেরিনারি কলেজ কিংবা সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সনদ ছাড়াই পশু চিকিৎসা কার্যক্রম চালান অনেকেই। এসব হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের কেউ কেউ ফার্মেসিও দিয়েছেন।
যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করছেন তাঁরা। বড় বড় সাইনবোর্ডে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকদের নাম। তাঁদের কেউ কেউ প্যাড ও ভিজিটিং কার্ডে নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দও ব্যবহার করছেন। যা প্রাণী স্বাস্থ্যসংক্রান্ত আইনের লঙ্ঘন।
উপজেলার খাতামধুপুর গ্রামের রোকসানা খাতুন নামে এক খামারি বলেন, ‘আমি এ বছর তিনটি গাভি নিয়ে ছোট আকারে খামার শুরু করেছি। গত সপ্তাহে আমার একটি গাভির পাতলা পায়খানা হয়। আমাদের গ্রামের এক পশু চিকিৎসককে দেখাই। তিনি যে ওষুধ দেন, তা খাওয়ানো শুরু করি। কিন্তু দুই দিন পরই গাভিটি মারা যায়।’
শহরের গোলাহাট এলাকার আব্দুর রশিদ নামে একজন জানান, তাঁর খামারে ৬টি গাভি ও ১০টি ছাগল রয়েছে। পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের সময়মতো পাওয়া যায় না। তাই যখনই গরু-ছাগল অসুস্থ হয়, তখন এলাকার এক পশু চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান। তিনি আরও বলেন, ‘ওই চিকিৎসকের নিবন্ধন কিংবা ভেটেরিনারি সনদ আছে কি না, তা আমার জানা নাই।’
সৈয়দপুর ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদ আজিজ বলেন, উপজেলা ভেটেরিনারি কার্যালয়ের পশু চিকিৎসকদের নিয়মিত খামার পরিদর্শনের কথা থাকলেও তাঁরা করেন না। এ সুযোগে সার্টিফিকেট ছাড়া পশু চিকিৎসকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ওই চিকিৎসকেরা অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন। এতে পশুর স্বাস্থ্যসেবা হুমকিতে পড়ছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪