Ajker Patrika

লৌহজং নদের ওপর দেবে যাওয়া সেতু পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ১৪: ৫৬
লৌহজং নদের ওপর দেবে যাওয়া সেতু পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটি

টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদের ওপর নির্মাণাধীন সেতুতে নির্দেশনা অমান্য করে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করা হয়। এসব কারণেই সেতুটির মাঝের অংশ দেবে গেছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার প্রকৌশলী। এর আগে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় ও টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয় থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ধসে পড়া সেতু পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম রশিদ আহম্মদসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় তাঁরা জানান, দেবে যাওয়া নির্মাণাধীন সেতু নিজ খরচে পুরোটা ভেঙে আবার নতুন করে নির্মাণ করবেন ঠিকাদার।

অভিযোগ রয়েছে, সেতু নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রভাব খাটিয়ে কাজটি নিয়ে নেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। ক্ষমতার দাপটে তাঁরা প্রকৌশলীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেননি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান।

আমিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কাজটি খুবই সুন্দরভাবে হয়েছিল, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেতুটি দেবে গেছে।’

টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রকৌশলীরা জানান, সেতু নির্মাণকাজে ছিল অনেক অবহেলা। তাঁদের মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তাঁরা তা মানেননি। সেতুটির ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় কয়েক ধাপে মোট ৬০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক গত ৩০ মার্চ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে এক চিঠিতে জানান, তিনি ২ মার্চ সরেজমিনে নির্মাণাধীন সেতুটি পরিদর্শন করেন। এ সময় দেখতে পান, নিম্ন মানের গজারি ও ইউক্যালিপটাসগাছের গুঁড়ি দিয়ে শাটারিংয়ের খুঁটি দেওয়া হয়েছে। তখন এসব খুঁটির পরিবর্তে এমএস পাইপ ব্যবহার করে স্টিলের শাটার স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়, কিন্তু তাঁরা এগুলো মানেননি।

নোটিশ পাওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে গত ১১ মে টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, এমএস পাইপের পরিবর্তে গাছে গুঁড়ি ব্যবহারে ঢালাই চলাকালে সেতুটির কোনো ক্ষতি হলে এর পুরো ক্ষতিপূরণ বহন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোস্তফা মুহাম্মদ মাসুদ জানান, তাঁরা নিজেদের তত্ত্বাবধানে সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করবেন। তাঁদের সঙ্গে টাঙ্গাইলের ঠিকাদারেরাও থাকবে, তবে সবকিছু তিনিই দেখাশোনা করবেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, ধসে পড়া সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। সেতুটি ভেঙে ফেলতে সব ব্যয় বহন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত