Ajker Patrika

জলাবদ্ধতায় মরছে গাছ

কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৫
Thumbnail image

কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে ১০ গ্রামের প্রায় সব কাঁঠালগাছ মরে গেছে। এখন আমড়া, কামরাঙা, সবেদা, লিচুর পাশাপাশি মেহগনি, লম্বু, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন গাছ মরে যাচ্ছে।

জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন গাছগাছালি মরে যাওয়ায় এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে একের পর এক গাছগাছালি মরলেও উপজেলা বন বিভাগের কাছে এসবের নেই কোনো তথ্য।

উপজেলার পাঁজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর, মাদারডাঙ্গা, পাথরঘাটা, কালীচরণপুর, বেতিখোলা, নারায়ণপুর, আড়ুয়া, ময়নাপুর, সানতলা এবং গৃধরনগরসহ আশপাশের গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার পানিতে তলিয়ে থাকায় ওই এলাকার গাছপালা মরে যাচ্ছে।

কেশবপুরের শ্রীহরি নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর খাল হয়ে বিলখুকশিয়ার আট ব্যান্ড স্লুইসগেট গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হতে না পারার কারণে এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রায় ৬ মাস ধরে এ অবস্থা চলছে।

সরেজমিন পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা গ্রামের তরফ আলী বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁদের উঠানে পানি থাকার কারণে ঘরের সামনে লাগানো লিচু গাছ মারা গেছে।

পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জি বলেন, এ বছর বিদ্যালয়ের চারপাশে কামরাঙা, লেবু, আমড়া, লম্বুসহ ২৫টি গাছ লাগানো হয়। জলাবদ্ধতার কারণে সব কটি গাছই মারা গেছে।’

বাগডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, ‘দীর্ঘ ৬ মাস এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক আগেই কাঁঠাল গাছ মরে গেছে। নতুন করে সবেদা, লিচু, মেহগনি ও রেইনট্রি গাছ মরা শুরু হয়েছে।’

উপজেলা ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বাবুর আলী গোলদার বলেন, ‘এখনো এলাকায় পানি থই থই করছে। পানির কারণে এলাকাবাসীর লাগানো বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বৃক্ষ মরে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘পানিবন্দী এলাকায় দ্রুত কাঁঠাল, আমড়া, লিচু ও কামরাঙা গাছ মরে যায়। অন্য গাছ কিছুদিন ঠিকে থাকলেও মাসের পর মাস জলাবদ্ধ থাকলে সেগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার বিভিন্ন গাছগাছালি মরে যাচ্ছে। তবে আমাদের কাছে মরে যাওয়া গাছের তথ্য নেই। শিগগিরই জলাবদ্ধ এলাকায় জরিপ করে মরে যাওয়া গাছের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত