Ajker Patrika

সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৫৬
Thumbnail image

উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও শুরু হয়েছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু হাতেমের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এতে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকপ্রত্যাশী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলীয় নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ভিড়ছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সভা, উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এসব প্রার্থী যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে। হাট-বাজারে মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে মাঠ তৈরি করছেন। তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরাও বসে নেই। তাঁরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন রানা এবং আংগারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ধীমান চন্দ্র দাস।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের আলোচনায় আছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আকবর আলী শাহের ছেলে ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম সুজাউদ্দিন লুহিন শাহ ও জেলা পরিষদের সদস্য শরিফুল আলম প্রধান।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ বলেন, ‘আমার বাবা একজন রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তাঁর সম্মান ও আদর্শ নিয়েই ছাত্রজীবন থেকে মানুষ ও এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, ‘গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় অল্প ভোটে নৌকা প্রতীক হেরেছে; কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বসে ছিল না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংসদ আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্ব এলাকার উন্নয়ন এবং করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে পাশে ছিলাম। সেই হিসেবে আশা করি, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন। নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আমি।’

প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে আমাকে বাবার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ প্রদানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই মূল্যায়িত করবেন। নৌকার মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’

খানসামা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিকরুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন উপজেলা চেয়ারম্যানের শূন্য পদে উপনির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। নির্দেশনা এলে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত