Ajker Patrika

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভিড় কিশোর-তরুণদের

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
আপডেট : ০২ জুন ২০২২, ১২: ৩৭
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভিড় কিশোর-তরুণদের

শেরপুরে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে পড়ার সুবিধাসহ বাসায় নিয়ে পড়ার সুবিধা থাকায় পাঠকদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। তবে লাইব্রেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে পাঠকেরা আরও উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সূত্রে জানা গেছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় জেলায় একটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গত ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে পাঠকদের সেবা দিয়ে আসছে। একটি মিনিট্রাকে স্থাপিত এ লাইব্রেরি বর্তমানে জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার ৪৭টি স্পটে যাচ্ছে। প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি ছয় দিন রুটিন অনুযায়ী জেলার ৪৭টি স্থানে এ লাইব্রেরি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বই পাঠের জন্য সেবা দিয়ে আসছে।

এ লাইব্রেরি প্রতি শুক্রবার, সোম ও বুধবার শেরপুর সদর উপজেলা, শনিবার নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর ও তিনআনী বাজার এলাকা, রোববার নকলা উপজেলা এবং বৃহস্পতিবার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নির্ধারিত স্পটে অবস্থান করে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত বছরের নভেম্বর থেকে আবারও চালু করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক, গত ছয় মাস আগে এ লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা ছিল এক হাজার ১০৯ জন। বর্তমানে পাঠক সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪০৯ জন। প্রতি মাসেই পাঠক সংখ্যা গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন করে বাড়ছে।

লাইব্রেরিতে চার ধরনের সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ, বিশেষ, অগ্রবর্তী ও বিশেষ অগ্রবর্তী সদস্য।

এসব সদস্য হওয়ার জন্য ক্যাটাগরিভেদে ১০০ থেকে ৮০০ টাকা হারে ফেরতযোগ্য জামানতসহ প্রতি মাসের ফি বাবদ ১০ টাকা হারে ছয় মাসের ৬০ টাকা জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সদস্য হতে হয়।

এরপর সদস্যরা নিজ নিজ পছন্দের বই প্রথমে সাত দিনের জন্য বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। পরবর্তী সপ্তাহে আগের বই ফেরত দিয়ে আবার নতুন করে বই নেওয়া যায়। তবে কেউ যদি এক সপ্তাহে কোন বই পড়ে শেষ করতে না পারেন, তবে তা ফের অনুমতি নিয়ে আরও কয়েক দিন নিজের কাছে রাখতে পারেন।

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য শিক্ষার্থী তাসফিয়া নারজিস ফাইজা, মরিয়ম আক্তার মীম, আবরার মুহতাসিন, তৌসিফ আহনাদ, মাহফিয়া বিনতে হাসানসহ কয়েকজন পাঠক জানায়, এ লাইব্রেরিতে বিভিন্ন রকমের বই রয়েছে। পাঠ্যবই পড়ার ফাঁকে অবসরে তারা এখান থেকে তাদের পছন্দমতো বই বাড়িতে নিয়ে পড়েন।

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শেরপুর ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজে আলোকিত মানুষ বেরিয়ে আসবে-এ প্রত্যাশা আমাদের। দিন দিন লাইব্রেরিতে পাঠক সংখ্যা বাড়ছে, এটি অবশ্যই খুশির বিষয়।

এ বিষয়ে শেরপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক মো. সাজ্জাদুল করিম বলেন, শিশু-কিশোরদের বই পাঠে আগ্রহী করতে সৃজনশীল বই পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসন, শিক্ষা অফিস ও গণগ্রন্থাগারের সম্মিলিত প্রয়াসে নিয়মিত বই পড়া কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হলে আগামী প্রজন্ম কাগজের বই পড়ার প্রতি আরও উৎসাহিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত