ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
নির্ধারিত সময় পেরোলেও ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলার আমবাগানগুলোতে আসেনি কাঙ্ক্ষিত মুকুল। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগান মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, বাগানের ৩০ শতাংশ গাছে আসেনি মুকুল। কৃষি বিভাগ বলছে, এ গাছগুলোতে আর মুকুল আসবে না।
সাধারণত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমগাছে মুকুল আসে। মুকুলের ম ম গন্ধে ভরে যায় আশপাশ। জেলায় হিম সাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া জাতের আম বেশি চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরও যেমন মুকুল আসেনি, তেমনি কিছুদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে ঝরেছিল গাছের মুকুল। এ ছাড়া গত বছর মেলেনি আমের কাঙ্ক্ষিত দাম, যা কৃষকের চিন্তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৬ হাজার ৯৩৭টি বাগান থেকে ৩৩ হাজার ৫১১ মেট্রিক টন আম সংগ্রহ করা হয়েছিল। জেলার গান্না, চণ্ডীপুর, কোটচাঁদপুরের মঙ্গলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যে বাগানের গাছগুলোতে মুকুল এসেছে তাঁর অবস্থা অনেক ভালো। সেখানে সকাল থেকে বিকেল অবধি পরিচর্যায় রত রয়েছেন বাগান মালিকেরা। কেউ মুকুলে ওষুধ ছিটাচ্ছেন, কেউ বা গাছের গোড়ার মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন আগাছা। কেউ বা ঘুরে ঘুরে দেখছেন বাগানের মুকুলের সর্বশেষ অবস্থা। কোথাও মুকুলের পরিবেশ খারাপ দেখলে কিংবা পোকার সংক্রমণের লক্ষণ দেখলে ছিটাচ্ছেন প্রয়োজনীয় কীটনাশক।
ঝিনাইদহ সদরের চণ্ডীপুর গ্রামের আমবাগানে কাজ করা শ্রমিক নয়ন হোসেন জানান, গাছের গোড়া থেকে নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করছেন। আগাছা না থাকলে গাছের গোড়ার মাটি শুকাবে না। চণ্ডীপুর গ্রামের আমবাগান মালিক আব্দুস সামাদ জানান, এবার বাগানের মুকুলের অবস্থা আশানুরূপ না। এর কারণ, আবহাওয়া খারাপ। তাঁর ৪টি বাগানের চার শতাধিক গাছ রয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক মুকুল আছে ৫০ ভাগ গাছে। আর মুকুল এবার শেষের দিকে এসেছে। শেষের দিকে মুকুল আসলে তা টিকতে চায় না। তবুও মুকুল রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, গত বছর আমের বাজারদাম একেবারেই কম ছিল। ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বা তারও কম দামে আম বিক্রি করেছিলেন। গত বছর অনেকেরই উৎপাদন খরচ ওঠেনি।
কাশিপুর এলাকার বাগান মালিক আমির হামজা বলেন, ‘সাধারণত একটি মৌসুমে বাগানে পরিচর্যা বাবদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন ও দাম ভালো পেলে খরচের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি লাভ হয়। এবার মুকুল কিছুটা কম এসেছে। যদি আবহাওয়া খারাপ না হয়, তাহলে কিছুটা লাভ আসবে।’
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জুনায়েদ হাবিব বলেন, ‘আমে সাধারণত দেখা যায়, এক বছর ফলন ভালো হলে পরের বছর ফলন কম হয় বা একেবারেই হয় না। এখনো যেসব গাছে মুকুল আসেনি, নতুন করে সেসব গাছে মুকুল আসার সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে যে গাছগুলোতে মুকুল রয়েছে, সেখানে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ফলনের কোনো ঘাটতি হবে না।’ যে গাছগুলোতে মুকুল রয়েছে সেখানে কীটনাশক স্প্রে না করে মুকুলে আমের ছোট ছোট গুটি আসলে তখন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।
জুনায়েদ হাবিব জানান, আমগাছের গোড়া থেকে ৪-৫ হাত দূরে দূরে ২০ থেকে ২৫ দিন পর পর সেচ প্রয়োগ করে মুকুলে গুটি আসলে, সেখানে এমওপি, টিএসপি ও বোরন প্রয়োজনীয় অনুপাতে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে ফলনের হার অনেক বৃদ্ধি পাবে।
নির্ধারিত সময় পেরোলেও ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলার আমবাগানগুলোতে আসেনি কাঙ্ক্ষিত মুকুল। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগান মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, বাগানের ৩০ শতাংশ গাছে আসেনি মুকুল। কৃষি বিভাগ বলছে, এ গাছগুলোতে আর মুকুল আসবে না।
সাধারণত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমগাছে মুকুল আসে। মুকুলের ম ম গন্ধে ভরে যায় আশপাশ। জেলায় হিম সাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া জাতের আম বেশি চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরও যেমন মুকুল আসেনি, তেমনি কিছুদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে ঝরেছিল গাছের মুকুল। এ ছাড়া গত বছর মেলেনি আমের কাঙ্ক্ষিত দাম, যা কৃষকের চিন্তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৬ হাজার ৯৩৭টি বাগান থেকে ৩৩ হাজার ৫১১ মেট্রিক টন আম সংগ্রহ করা হয়েছিল। জেলার গান্না, চণ্ডীপুর, কোটচাঁদপুরের মঙ্গলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যে বাগানের গাছগুলোতে মুকুল এসেছে তাঁর অবস্থা অনেক ভালো। সেখানে সকাল থেকে বিকেল অবধি পরিচর্যায় রত রয়েছেন বাগান মালিকেরা। কেউ মুকুলে ওষুধ ছিটাচ্ছেন, কেউ বা গাছের গোড়ার মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন আগাছা। কেউ বা ঘুরে ঘুরে দেখছেন বাগানের মুকুলের সর্বশেষ অবস্থা। কোথাও মুকুলের পরিবেশ খারাপ দেখলে কিংবা পোকার সংক্রমণের লক্ষণ দেখলে ছিটাচ্ছেন প্রয়োজনীয় কীটনাশক।
ঝিনাইদহ সদরের চণ্ডীপুর গ্রামের আমবাগানে কাজ করা শ্রমিক নয়ন হোসেন জানান, গাছের গোড়া থেকে নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করছেন। আগাছা না থাকলে গাছের গোড়ার মাটি শুকাবে না। চণ্ডীপুর গ্রামের আমবাগান মালিক আব্দুস সামাদ জানান, এবার বাগানের মুকুলের অবস্থা আশানুরূপ না। এর কারণ, আবহাওয়া খারাপ। তাঁর ৪টি বাগানের চার শতাধিক গাছ রয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক মুকুল আছে ৫০ ভাগ গাছে। আর মুকুল এবার শেষের দিকে এসেছে। শেষের দিকে মুকুল আসলে তা টিকতে চায় না। তবুও মুকুল রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, গত বছর আমের বাজারদাম একেবারেই কম ছিল। ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বা তারও কম দামে আম বিক্রি করেছিলেন। গত বছর অনেকেরই উৎপাদন খরচ ওঠেনি।
কাশিপুর এলাকার বাগান মালিক আমির হামজা বলেন, ‘সাধারণত একটি মৌসুমে বাগানে পরিচর্যা বাবদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন ও দাম ভালো পেলে খরচের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি লাভ হয়। এবার মুকুল কিছুটা কম এসেছে। যদি আবহাওয়া খারাপ না হয়, তাহলে কিছুটা লাভ আসবে।’
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জুনায়েদ হাবিব বলেন, ‘আমে সাধারণত দেখা যায়, এক বছর ফলন ভালো হলে পরের বছর ফলন কম হয় বা একেবারেই হয় না। এখনো যেসব গাছে মুকুল আসেনি, নতুন করে সেসব গাছে মুকুল আসার সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে যে গাছগুলোতে মুকুল রয়েছে, সেখানে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ফলনের কোনো ঘাটতি হবে না।’ যে গাছগুলোতে মুকুল রয়েছে সেখানে কীটনাশক স্প্রে না করে মুকুলে আমের ছোট ছোট গুটি আসলে তখন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।
জুনায়েদ হাবিব জানান, আমগাছের গোড়া থেকে ৪-৫ হাত দূরে দূরে ২০ থেকে ২৫ দিন পর পর সেচ প্রয়োগ করে মুকুলে গুটি আসলে, সেখানে এমওপি, টিএসপি ও বোরন প্রয়োজনীয় অনুপাতে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে ফলনের হার অনেক বৃদ্ধি পাবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪