Ajker Patrika

পানি বেড়ে তলিয়েছে ফসল

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০৪
পানি বেড়ে তলিয়েছে ফসল

মির্জাপুরে হঠাৎ নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে মাথায় হাত পড়েছে চাষির। এ ছাড়া নদীতে ছাটা ফেলে চাষ করা মাছ ও ছাটা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, প্রায় ৮০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি ক্রমেই বাড়ছে, এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, এ উপজেলার ওপর দিয়ে ঝিনাই ও বংশাই নদ প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীতে চর জেগে ওঠে। বিস্তীর্ণ এসব চরে স্থানীয় চাষিরা বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করে থাকেন। এ বছরও নানা আবাদ করেছিলেন এ অঞ্চলের চাষিরা। কিন্তু হঠাৎ নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা।

উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে শেওরাতৈল, টেংরাপাড়া, প্যাচপাড়া; বান্দরমারা তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা, রামপুর ফতেপুর ইউনিয়নের চাকলেশ্বর, নিচিন্দপুর, সুতানড়ী, ফতেপুর, থলপাড়া ও বানকাটা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধানসহ আবাদ করা সেসব সবজি জোয়ারের পনিতে তলিয়ে গেছে। এতে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আধা পাকা ধান ও সবজি কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিন দিন আগেও যেখানে সবুজের সমারোহ ছিল, এখন সেখানে জোয়ারের পানি থই থই করছে। চাকলেশ্বর গ্রামের রহম সিদ্দিকী, আবুবক্কর মৃধা, করম সিদ্দিকী, মান্নান মৃধা, নাসির মৃধা, শেওরাতৈল গ্রামের গৌর সরকার, হারাধন ও প্রহল্লাদের আধা পাকা বোরো ধান ও ফলন্ত করলাখেত আগাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে শেওড়াতৈল গ্রামের কিষানি আমিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ২০ হাজার টাকা খরচ করে করলা চাষ করেছি, কিন্তু অসময়ের পানিতে সব শেষ হয়ে গেছে।’ বোরো চাষি দুর্লভ সরকার বলেন, ‘৫০ শতাংশ জমিতে ২৯ জাতের ধান এবং ১০ শতাংশ জমিতে পোলাওয়ের ধান চাষ করেছিলাম। জোয়ারের পানিতে আমার আধা পাকা সব ধান তলিয়ে গেছে।’ সারা বছর কী খাবেন, তা নিয়েও চিন্তিত বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে ঝিনাই ও বংশাই নদে ছাটা ফেলে চাষ করা সব মাছ ও ছাটা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বলে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজি আব্দুর রউফ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, অসময়ে নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিসের লোকজন এলাকায় গিয়ে ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত সোমবার পানি বৃদ্ধিতে যে ক্ষতি হয়, গত মঙ্গলবার তা আরও বেড়েছে। এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মির্জাপুর জোনের প্রকৌশলী গোলাম ফারোয়ার জানান, উজানে ব্যাপক ঢল হয়েছে। সেই পানি নেমে আসায় অসময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত