নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা
ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’-এর ‘লাগে উরাধুরা’ গান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন গানটির গীতিকার শরীফ উদ্দিন। তিনি জানান, দুই বছর আগে নিজে গাওয়ার জন্য গানটি তিনি প্রীতম হাসানকে দিয়েছিলেন। তাঁকে না জানিয়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহার করেছেন প্রীতম হাসান। এমনকি তাঁর অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকারকে যুক্ত করা হয়েছে এ গানে।
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘দুই বছর আগে প্রীতম হাসানের স্টুডিওতে আরেকটি গান নিয়ে গিয়েছিলাম। সে সময় লাগে উরাধুরা গানটি তাকে দিয়ে বলি, গানটি রাখো, পরে এসে আমি গাইব। পরবর্তী সময়ে সে আমাকে না জানিয়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহার করেছে। দুই মাস আগে সে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে জানায়, এটি সিনেমায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে একটি কাগজও নেয়।’
রাজ্জাক দেওয়ানের ‘আমায় ঘুম ভাঙায়া গেল রে মরার কোকিলে’ গানের সুর থেকে তৈরি হয়েছে লাগে উরাধুরা। গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। সংগীতায়োজন প্রীতমের। গানের ক্রেডিটে গীতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে শরীফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদের নাম। এ গানে আরেক গীতিকারের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকারকে যুক্ত করা হয়েছে। আমার লেখা থেকে শুধু গানের মুখটুকু রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমাকে একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন মনে করেনি।’
শরীফ উদ্দিন আক্ষেপ নিয়ে আরও বলেন, ‘এই গান নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে অথচ যাঁর লেখা, তাঁকে নিয়ে কোনো কথা নেই। কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয়নি। আমার নামও কেউ নিচ্ছে না। অথচ আমার লেখা অংশ ‘‘তুমি কোন শহরের মাইয়া গো লাগে উরাধুরা’’র জন্যই গানটি এত হিট হয়েছে।’
তবে শরীফ উদ্দিনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রীতম হাসান। তিনি বলেন, ‘লাগে উরাধুরা গানটির প্রথম ৪ লাইন শরীফ উদ্দিনের লেখা আর বাকিটা রাসেল মাহমুদের। শরীফের অংশটা আমার ঘুম ভাঙায়া গেল রে মরার কোকিলের সুরের ওপর করা। তাই আমরা এর প্রকৃত সুরকারের পরিবার থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করেছি। আর রাসেল মাহমুদের অংশটার সুর আমার করা। আমি চারজনকে শরীফ উদ্দিনের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম ডকুমেন্টস ও টাকাসহ। সেখানে সবকিছু তাঁকে পড়ে শুনিয়ে সিগনেচার নেওয়া হয়েছে।’
সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকার যুক্ত করা হয়েছে। আমার লেখা থেকে শুধু গানের মুখটুকু রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমাকে একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন মনে করেনি। শরীফ উদ্দিন,গায়ক ও গীতিকার
কয়েক দিন আগে লাগে উরাধুরা গানের আরেক গীতিকার রাসেল মাহমুদও জানিয়েছিলেন অভিমানের কথা। রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘বেশির ভাগ সময়ে গান জনপ্রিয় হলে গীতিকারদের কেউ স্মরণ করে না। তুফানের উরাধুরা গান এত জনপ্রিয় হলো, সবাই শিল্পীদের খোঁজ নিলেও গীতিকারকে মনে করার প্রয়োজন বোধ করেনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই গান নিয়ে আলোচনা করলেও গীতিকারের নাম কেউ নিচ্ছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা গীতিকারদের গ্রাহ্য করে না।’
আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও মাত্র ৪২ দিনে ১০০ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে লাগে উরাধুরা গানটি। ইউটিউবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১১৬ মিলিয়নের বেশিবার।
ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’-এর ‘লাগে উরাধুরা’ গান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন গানটির গীতিকার শরীফ উদ্দিন। তিনি জানান, দুই বছর আগে নিজে গাওয়ার জন্য গানটি তিনি প্রীতম হাসানকে দিয়েছিলেন। তাঁকে না জানিয়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহার করেছেন প্রীতম হাসান। এমনকি তাঁর অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকারকে যুক্ত করা হয়েছে এ গানে।
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘দুই বছর আগে প্রীতম হাসানের স্টুডিওতে আরেকটি গান নিয়ে গিয়েছিলাম। সে সময় লাগে উরাধুরা গানটি তাকে দিয়ে বলি, গানটি রাখো, পরে এসে আমি গাইব। পরবর্তী সময়ে সে আমাকে না জানিয়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহার করেছে। দুই মাস আগে সে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে জানায়, এটি সিনেমায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে একটি কাগজও নেয়।’
রাজ্জাক দেওয়ানের ‘আমায় ঘুম ভাঙায়া গেল রে মরার কোকিলে’ গানের সুর থেকে তৈরি হয়েছে লাগে উরাধুরা। গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। সংগীতায়োজন প্রীতমের। গানের ক্রেডিটে গীতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে শরীফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদের নাম। এ গানে আরেক গীতিকারের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকারকে যুক্ত করা হয়েছে। আমার লেখা থেকে শুধু গানের মুখটুকু রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমাকে একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন মনে করেনি।’
শরীফ উদ্দিন আক্ষেপ নিয়ে আরও বলেন, ‘এই গান নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে অথচ যাঁর লেখা, তাঁকে নিয়ে কোনো কথা নেই। কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয়নি। আমার নামও কেউ নিচ্ছে না। অথচ আমার লেখা অংশ ‘‘তুমি কোন শহরের মাইয়া গো লাগে উরাধুরা’’র জন্যই গানটি এত হিট হয়েছে।’
তবে শরীফ উদ্দিনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রীতম হাসান। তিনি বলেন, ‘লাগে উরাধুরা গানটির প্রথম ৪ লাইন শরীফ উদ্দিনের লেখা আর বাকিটা রাসেল মাহমুদের। শরীফের অংশটা আমার ঘুম ভাঙায়া গেল রে মরার কোকিলের সুরের ওপর করা। তাই আমরা এর প্রকৃত সুরকারের পরিবার থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করেছি। আর রাসেল মাহমুদের অংশটার সুর আমার করা। আমি চারজনকে শরীফ উদ্দিনের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম ডকুমেন্টস ও টাকাসহ। সেখানে সবকিছু তাঁকে পড়ে শুনিয়ে সিগনেচার নেওয়া হয়েছে।’
সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকার যুক্ত করা হয়েছে। আমার লেখা থেকে শুধু গানের মুখটুকু রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমাকে একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন মনে করেনি। শরীফ উদ্দিন,গায়ক ও গীতিকার
কয়েক দিন আগে লাগে উরাধুরা গানের আরেক গীতিকার রাসেল মাহমুদও জানিয়েছিলেন অভিমানের কথা। রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘বেশির ভাগ সময়ে গান জনপ্রিয় হলে গীতিকারদের কেউ স্মরণ করে না। তুফানের উরাধুরা গান এত জনপ্রিয় হলো, সবাই শিল্পীদের খোঁজ নিলেও গীতিকারকে মনে করার প্রয়োজন বোধ করেনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই গান নিয়ে আলোচনা করলেও গীতিকারের নাম কেউ নিচ্ছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা গীতিকারদের গ্রাহ্য করে না।’
আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও মাত্র ৪২ দিনে ১০০ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে লাগে উরাধুরা গানটি। ইউটিউবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১১৬ মিলিয়নের বেশিবার।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১১ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১১ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১১ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫