ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আল্লাহ তাআলা সবার প্রতিপালক এবং রিজিকদাতা। তিনি বলেন, ‘আর জমিনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল। সবকিছু স্পষ্ট কিতাবে আছে।’ (সুরা হুদ: ৬) আরও বলেন, ‘আকাশে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সবকিছু।’ (সুরা জারিয়াত: ২২)।
তবে আল্লাহ তাআলা বিনাশ্রমে রিজিক দেন না; বরং বান্দাকে পরিশ্রম করে আয়-রোজগার করতে হয়। এ কারণেই মহানবী (সা.) আয়-রোজগার করাকে মুমিনের জীবনের অন্যতম ফরজ আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তিনিই তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ করো এবং তাঁর রিজিক থেকে আহার করো।’ (সুরা মুলক: ১৫)
আয়-রোজগারের ক্ষেত্রে পরিশ্রমের পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং তাঁর মহত্ত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার শিক্ষাও দেয় ইসলাম। ফলে পরিশ্রমের সঙ্গে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথাও কোরআন-হাদিসে বিবৃত হয়েছে। এখানে ১০টি আমলের কথা তুলে ধরা হলো:
আল্লাহর ভয় ও ভরসা
কোনো বান্দা আল্লাহকে ভয় করলে এবং তাঁর ওপর পূর্ণ ভরসা করলে তিনি তার আয়-রোজগারে বরকত দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই।’ (সুরা তালাক: ২-৩)
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক
রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখার কারণে আল্লাহ বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে যে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং তার আয়ু বৃদ্ধি করা হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তওবা-ইস্তিগফার
তওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে বান্দা রবের প্রিয় হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার করে, আল্লাহ তার রিজিক বাড়িয়ে দেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং এমন উৎস থেকে তাকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করেনি।’ (মুস্তাদরাক)
দান-সদকা
আল্লাহর পথে খরচ করলেও আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।’ (সুরা সাবা: ৩৯)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করো, তাহলে তোমাদের জন্যও ব্যয় করা হবে।’ (বুখারি)
করজে হাসানা
কারও প্রয়োজনে করজে হাসানা বা উত্তম ঋণ প্রদান করলে তার আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন। আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই কাছে তোমাদের ফেরানো হবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
আর্তমানবতার সেবা
বিপদে-আপদে অসহায় মানুষের প্রতি সদয় হওয়া যেমন সামাজিক কাজ, তেমনি তা আয়-রোজগারে বরকত লাভেরও মাধ্যম। একদিন মুসআব ইবনে সাদ (রা.) যুদ্ধ জয়ের পর মনে মনে ভাবলেন, তিনিই বোধ হয় তাঁর বীরত্ব ও শৌর্য-বীর্যের কারণে অন্যের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান। এমন প্রেক্ষাপটে মহানবী (সা.) তাঁকে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের কারণেই তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
ইবাদতে মনোযোগ
সব ব্যস্ততা কমিয়ে আল্লাহর ইবাদতের জন্য সময় বের করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। ফলে বান্দার আয়-রোজগারে বরকত হয়। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদমসন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ব্যস্তমুক্ত হও। আমি তোমার অন্তর প্রাচুর্যে ভরিয়ে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না করো, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরিয়ে দেব এবং তোমার অভাব দূর করব না।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর জন্য ভ্রমণ
আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে তাঁর বিধান ভালোভাবে পালন করতে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেলে আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়ের জায়গা ও সচ্ছলতা পাবে। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উদ্দেশ্যে মুহাজির হয়ে নিজ ঘর থেকে বের হয়, তারপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসে, তাহলে তার প্রতিদান আল্লাহর ওপর অবধারিত হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা: ১০০)
বিয়ে
বিয়ে করা আল্লাহর নবীর সুন্নত। বিয়ে করলে বান্দার আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে বিয়ে করেনি এমন নারী-পুরুষ এবং সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের তোমরা বিয়ে সম্পন্ন করো। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর: ৩২)
দোয়া ও প্রার্থনা
আল্লাহ বান্দার ডাকে উত্তম সাড়াদানকারী। তাই আয়-রোজগারে বরকতের জন্য তাঁর কাছেই বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন: ৬০)
সুখ ও দুঃখ উভয় অবস্থায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের কর্তব্য। মূলত আল্লাহর আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতাই বান্দার আয়-রোজগারে বরকত এনে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, (জেনে রাখো) নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ তাআলা সবার প্রতিপালক এবং রিজিকদাতা। তিনি বলেন, ‘আর জমিনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল। সবকিছু স্পষ্ট কিতাবে আছে।’ (সুরা হুদ: ৬) আরও বলেন, ‘আকাশে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সবকিছু।’ (সুরা জারিয়াত: ২২)।
তবে আল্লাহ তাআলা বিনাশ্রমে রিজিক দেন না; বরং বান্দাকে পরিশ্রম করে আয়-রোজগার করতে হয়। এ কারণেই মহানবী (সা.) আয়-রোজগার করাকে মুমিনের জীবনের অন্যতম ফরজ আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তিনিই তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ করো এবং তাঁর রিজিক থেকে আহার করো।’ (সুরা মুলক: ১৫)
আয়-রোজগারের ক্ষেত্রে পরিশ্রমের পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং তাঁর মহত্ত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার শিক্ষাও দেয় ইসলাম। ফলে পরিশ্রমের সঙ্গে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথাও কোরআন-হাদিসে বিবৃত হয়েছে। এখানে ১০টি আমলের কথা তুলে ধরা হলো:
আল্লাহর ভয় ও ভরসা
কোনো বান্দা আল্লাহকে ভয় করলে এবং তাঁর ওপর পূর্ণ ভরসা করলে তিনি তার আয়-রোজগারে বরকত দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই।’ (সুরা তালাক: ২-৩)
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক
রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখার কারণে আল্লাহ বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে যে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং তার আয়ু বৃদ্ধি করা হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তওবা-ইস্তিগফার
তওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে বান্দা রবের প্রিয় হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার করে, আল্লাহ তার রিজিক বাড়িয়ে দেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং এমন উৎস থেকে তাকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করেনি।’ (মুস্তাদরাক)
দান-সদকা
আল্লাহর পথে খরচ করলেও আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।’ (সুরা সাবা: ৩৯)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করো, তাহলে তোমাদের জন্যও ব্যয় করা হবে।’ (বুখারি)
করজে হাসানা
কারও প্রয়োজনে করজে হাসানা বা উত্তম ঋণ প্রদান করলে তার আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন। আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই কাছে তোমাদের ফেরানো হবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
আর্তমানবতার সেবা
বিপদে-আপদে অসহায় মানুষের প্রতি সদয় হওয়া যেমন সামাজিক কাজ, তেমনি তা আয়-রোজগারে বরকত লাভেরও মাধ্যম। একদিন মুসআব ইবনে সাদ (রা.) যুদ্ধ জয়ের পর মনে মনে ভাবলেন, তিনিই বোধ হয় তাঁর বীরত্ব ও শৌর্য-বীর্যের কারণে অন্যের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান। এমন প্রেক্ষাপটে মহানবী (সা.) তাঁকে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের কারণেই তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
ইবাদতে মনোযোগ
সব ব্যস্ততা কমিয়ে আল্লাহর ইবাদতের জন্য সময় বের করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। ফলে বান্দার আয়-রোজগারে বরকত হয়। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদমসন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ব্যস্তমুক্ত হও। আমি তোমার অন্তর প্রাচুর্যে ভরিয়ে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না করো, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরিয়ে দেব এবং তোমার অভাব দূর করব না।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর জন্য ভ্রমণ
আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে তাঁর বিধান ভালোভাবে পালন করতে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেলে আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়ের জায়গা ও সচ্ছলতা পাবে। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উদ্দেশ্যে মুহাজির হয়ে নিজ ঘর থেকে বের হয়, তারপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসে, তাহলে তার প্রতিদান আল্লাহর ওপর অবধারিত হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা: ১০০)
বিয়ে
বিয়ে করা আল্লাহর নবীর সুন্নত। বিয়ে করলে বান্দার আয়-রোজগারে বরকত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে বিয়ে করেনি এমন নারী-পুরুষ এবং সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের তোমরা বিয়ে সম্পন্ন করো। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর: ৩২)
দোয়া ও প্রার্থনা
আল্লাহ বান্দার ডাকে উত্তম সাড়াদানকারী। তাই আয়-রোজগারে বরকতের জন্য তাঁর কাছেই বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন: ৬০)
সুখ ও দুঃখ উভয় অবস্থায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের কর্তব্য। মূলত আল্লাহর আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতাই বান্দার আয়-রোজগারে বরকত এনে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, (জেনে রাখো) নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫