মো. আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় লাভবান হচ্ছে স্থানীয় ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক মালিকেরা। এদিকে মেশিন নষ্ট থাকায় অলস সময় পার করছেন হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালুর পর পরই এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় মেশিনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০০৬ সালের দিকে একজন টেকনোলজিস্ট যোগ দিলে মেশিনটি চালু করা হয়। কিন্তু অল্প কিছুদিন রোগীদের এক্স-রে সেবা দেওয়ার পরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে বদলি করা হয়। তারপর থেকে এক্স-রে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে আছে। সর্বশেষ গত ৬ মাস আগে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করলেও মেশিন সচল না থাকায় অলস সময় পার করছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে নীলকান্ত রায় বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেছিলাম বুকের এক্স-রে করতে। ডাক্তার কাগজ ধরে দিয়ে বাইরের ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট করে আনতে বলে। বাইরে ক্লিনিক থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করলাম। তাহলে সরকারি হাসপাতাল থাকে কী লাভ? যদি মেশিন ঠিক না থাকে।’
হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম নেছা বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেছিলাম হাতের ব্যথা নিয়ে। ডাক্তার পরীক্ষা করতে বলে। কিন্তু ডাক্তার কয় হাসপাতালের মেশিন নষ্ট, বাইরে ক্লিনিকে যায় পরীক্ষা করাতে। কয়েক মাস আগে আরেকবার হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আইছিলাম তখনো শুনছিলাম মেশিন নষ্ট।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফিক) নাজিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি ৬ মাস আগে এখানে যোগদান করেছি। দীর্ঘদিন থেকে এক্স-রে মেশিনটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি এসে প্রাথমিকভাবে ঠিক করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকায় এটি সচল করা সম্ভব হয়নি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও উপ-সরকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ভিসি পাল বলেন, ‘হাসপাতালের ইনডোর আউটডোর মিলে গড়ে প্রায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর এক্স-রে করার প্রয়োজন হয়। মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে ক্লিনিক থেকে রোগীদের এক্স-রে করে রিপোর্ট আনতে বলা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভির হাসনাত রবিন বলেন, ‘হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ১০-১২ বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি যোগদান করার পরে মেশিনটি সচল করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি, কিন্তু মেশিনটি মেরামতের জন্য কেউ আসেনি।’
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় লাভবান হচ্ছে স্থানীয় ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক মালিকেরা। এদিকে মেশিন নষ্ট থাকায় অলস সময় পার করছেন হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালুর পর পরই এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় মেশিনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০০৬ সালের দিকে একজন টেকনোলজিস্ট যোগ দিলে মেশিনটি চালু করা হয়। কিন্তু অল্প কিছুদিন রোগীদের এক্স-রে সেবা দেওয়ার পরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে বদলি করা হয়। তারপর থেকে এক্স-রে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে আছে। সর্বশেষ গত ৬ মাস আগে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করলেও মেশিন সচল না থাকায় অলস সময় পার করছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে নীলকান্ত রায় বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেছিলাম বুকের এক্স-রে করতে। ডাক্তার কাগজ ধরে দিয়ে বাইরের ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট করে আনতে বলে। বাইরে ক্লিনিক থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করলাম। তাহলে সরকারি হাসপাতাল থাকে কী লাভ? যদি মেশিন ঠিক না থাকে।’
হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম নেছা বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেছিলাম হাতের ব্যথা নিয়ে। ডাক্তার পরীক্ষা করতে বলে। কিন্তু ডাক্তার কয় হাসপাতালের মেশিন নষ্ট, বাইরে ক্লিনিকে যায় পরীক্ষা করাতে। কয়েক মাস আগে আরেকবার হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আইছিলাম তখনো শুনছিলাম মেশিন নষ্ট।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফিক) নাজিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি ৬ মাস আগে এখানে যোগদান করেছি। দীর্ঘদিন থেকে এক্স-রে মেশিনটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি এসে প্রাথমিকভাবে ঠিক করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকায় এটি সচল করা সম্ভব হয়নি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও উপ-সরকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ভিসি পাল বলেন, ‘হাসপাতালের ইনডোর আউটডোর মিলে গড়ে প্রায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর এক্স-রে করার প্রয়োজন হয়। মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে ক্লিনিক থেকে রোগীদের এক্স-রে করে রিপোর্ট আনতে বলা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভির হাসনাত রবিন বলেন, ‘হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ১০-১২ বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি যোগদান করার পরে মেশিনটি সচল করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি, কিন্তু মেশিনটি মেরামতের জন্য কেউ আসেনি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪