Ajker Patrika

মাগুরায় রাস্তায় হাট-বাজার

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৫৯
Thumbnail image

মাগুরা জেলায় প্রধান সড়ক ঘেঁষে কয়েকটি হাট বসে। জেলা সদরেও সড়ক ঘিরে বসে হাট- বাজার। দ্রুতগতির যান চলাচলে যা নিয়মিত দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কটি ২৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাগুরা অংশে রয়েছে প্রায় ১০ কিলোমিটার। মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বড় বাজার রয়েছে আলমখালী বাজার। যেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সড়কে থাকে মানুষের জটলা। দূরপাল্লার পরিবহন প্রায় এখানে থেমে চলতে হয়। এই এলাকায় ইতিপূর্বে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। মালবাহী এক ট্রাকের ড্রাইভার হাসেম মিয়া চলতি পথে জানান, ঝিনাইদহ থেকে চাল নিয়ে মাগুরা দিয়ে ঢাকার পথে প্রায় প্রতিদিনই যেতে হয়। কিন্তু আলমখালী বাজারে এসে ঝামেলা। মানুষ পথ ছাড়তে চায় না। এ ছাড়া সাইত্রশি বাজার, ইছাখাদা বাজার তো পুরো মহাসড়কের উপরে বসে। এত প্রতিবন্ধকতা নিয়ে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।

এ ছাড়া মাগুরার নতুন বাজার এলাকার হাট রোববার ও বৃহস্পতিবার বসে প্রধান সড়কের উপরে। এ নিয়ে ছোটবড় দুর্ঘটনা নিয়মিতই ঘটে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

নান্নু শেখ নামে এক কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী জানান, রাস্তায় আগে হাট বসতো না। বাজারের ভেতরে কাজ শুরু হওয়ায় সাময়িকভাবে রাস্তায় বসা শুরু করে। কিন্তু এখন ভেতরের কাজ শেষ হলেও আমরা রাস্তায় বসেই হাট করি। কেউ কিছু বলে না। এখানে যানজট হয় কিন্তু জিনিস তো বিক্রি করতে হবে।

মাগুরা থেকে ঢাকাগামী সড়কে রয়েছে আরও দুটি দুর্ঘটনাকবলিত হাটবাজারের সড়ক। রামনগর হাটটির পাশেই মাগুরা-ঢাকা রোড এলাকা। প্রতি বছর এই সড়কে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে শুধু রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে জানান স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী। তিনি বলেন, রামনগরে হাট বসলি প্রচুর ভিড় হয়। মানুষ রাস্তা টপকাইতেক গিয়ে অনেকে গাড়ি চাপায় পড়ে।

রামনগর ছাড়াও কামরখালী বাজার এলাকায় রয়েছে ওয়াপদা মোড়। সেখানে সম্প্রতি এক মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১০ বছরের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে। তার নাম আব্দুল্লাহ। রামনগর পুলিশ ফাড়ি থেকে জানা গেছে ওই মাদ্রাসা ছাত্র স্থানীয় এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত।

মাগুরা যশোর মহাসড়কে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় হাটবাজার। কাটাখাল বাজার থেকে শুরু করে জাগলা বাজার। দু জায়গাতেই হাট ও বাজার রাস্তার দুপাশ দিয়ে। ফলে ব্যস্ত এই সড়কটি যেন হাটবাজারের এক মৃত্যু ফাঁদ জানান স্থানীয়রা। সিরাজ মণ্ডল নামে স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, এত ব্যস্ত সড়ক এটি হাজারো ভারী যান চলাচল করে প্রতিদিন। রাস্তা পার হওয়া খুব কঠিন। প্রতি মাসে এই দুই জায়গাতে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, গত সেপ্টেম্বরে এখানে দুজন মারা যায় শুধু বাস উল্টে।

মাগুরা জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শাহজাহান মিয়া জানান, মহাসড়ক ঘেঁষে কোনো হাটবাজারই বৈধ নয়। এমনকি যেকোনো সড়কে মানুষের বেশি সমাগমই নিষিদ্ধ। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয় সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা শতভাগ থাকে। আমরা চেষ্টা করি এসব এলাকার মানুষকে সচেতন করতে। যেন তারা রাস্তা বাদ দিয়ে হাটবাজার বসান এবং চলাচল সাবধানে করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত