Ajker Patrika

ঝুঁকিতে আছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝুঁকিতে আছেন  খালেদা জিয়া

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে মাঝে মাঝেই। রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর হিমোগ্লোবিনও কমছে, যা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই অবস্থায় বিদ্যমান চিকিৎসাব্যবস্থা দিয়ে তাঁকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে এই চিকিৎসক বলেন, মাঝে মাঝেই খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে তাঁর যে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটা দেশে সম্ভব নয়। দেশের বাইরে না নিতে পারায় এখন তাঁর যে চিকিৎসা চলছে, সেটা সাময়িক ব্যবস্থা মাত্র, স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকেরা আলোচনায় বসে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা যেন চূড়ান্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় না যায়, বিদ্যমান কারিগরি সহায়তা ও কিছু ওষুধ দিয়ে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। 
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা সত্যিকার অর্থেই আশঙ্কাজনক। ম্যাডাম যে অবস্থায় আছেন, তাতে তাঁর শরীরের অবস্থা কখন কোন দিকে যায়, এটা বলা মুশকিল। এটা নিয়ে সবার মধ্যেই দুশ্চিন্তা কাজ করছে। এই অবস্থায় ওনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, তাই দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে তাঁর পরিবার। কিন্তু সেই আবেদনে এখনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। 

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব সমাবেশের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার দাবি জনগণের দাবি। এই দাবি অবশ্যই সরকারকে মেনে নিতে হবে।’

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই তাঁর মুক্তি দিচ্ছে না, বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। এই অবস্থায় সরকারকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত