গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার সঙ্গে পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ হারাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা। বারবার তাগাদা দিয়েও কাজ শুরু না করায় অনেকের কার্যাদেশ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
গাজীপুর এলজিইডির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা জানান, ইট, রড, সিমেন্ট, বিটুমিনসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহন খরচ ও নির্মাণশ্রমিকের মজুরিও। কিন্তু কাজের দরপত্রে বাজারদরের চেয়ে অনেক কম মূল্য নির্ধারিত থাকায় ঠিকাদারেরা প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পরও কাজ শুরু করতে সাহস পাচ্ছেন না। কেউ কেউ কাজ শুরু করার পর ক্ষতির আশঙ্কায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, কাজ বাস্তবায়িত করলে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। কাজ ছেড়ে দিলে হয়তো ১০ লাখ টাকার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তবু তাঁরা ১০ লাখ টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন।
গাজীপুর এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমানে অনেক ঠিকাদার কার্যাদেশ পেয়েও কাজ শুরু করছেন না। পাশাপাশি নতুন দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারের সংখ্যাও কমে গেছে। অনেক দরপত্রে একজন ঠিকাদারও পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যাদেশ বাতিল বা দরপত্র দাখিল না করায় পুনঃ দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে। একটি দরপত্র গ্রহণ করে কার্যাদেশ দিতে তিন-চার মাস লাগে। আবার কোনো কার্যাদেশ বাতিল হলে নতুন করে দরপত্র দিতে সময় লাগে আরও তিন-চার মাস। ফলে একই কাজের জন্য একাধিকবার প্রাক্কলন তৈরি করতে হয়। কাজ বাস্তবায়নে দেরি হয়।
গাজীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শাকিল হোসাইন জানান, এখন পর্যন্ত ছয়-সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারদের একাধিকবার তাগাদা দিলেও কাজ শুরু করেননি। এ কারণে তাঁদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। আবার প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পরও এখনো কাজ শুরু না করায় আরও সাত-আটটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার মৌখিক এবং চিঠির কাজ শুরুর অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও কাজ শুরু করছেন না। ফলে ওই সব ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শাকিল হোসাইন আরও জানান, যোগ্য ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কাজ করতে চাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে বিধি অনুযায়ী কার্যাদেশ বাতিল এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
শাকিল হোসাইন আরও বলেন, আগে দরপত্র আহ্বান করলে ঠিকাদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। এখন ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। অনেক কাজে একজনও দরপত্র দাখিল করেন না। এসব কারণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাজীপুরের প্রথম শ্রেণির একাধিক ঠিকাদার জানান, বর্তমান বাজারে নির্মাণসামগ্রীর মূল্য দরপত্রে উল্লেখিত দরের থেকে দেড় থেকে দুই গুণ বেশি। এ ছাড়া পরিবহন খরচ এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। এসব কারণে আগের দরপত্রে কাজ বাস্তবায়ন করলে ক্ষতির শঙ্কাই বেশি। এই অবস্থায় তাঁদের দাবি, বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
গাজীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমাদের এস্টিমেটিং কস্ট বাজারদরের চেয়ে কম, এ কথা সত্যি। কিন্তু তারপরও ঠিকাদারেরা বুঝেশুনে কাজ করলে তাঁরা যেমনটা ভাবছেন, তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমরা চেষ্টা করছি বর্তমান মূল্য অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়ার। উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গাজীপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার সঙ্গে পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ হারাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা। বারবার তাগাদা দিয়েও কাজ শুরু না করায় অনেকের কার্যাদেশ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
গাজীপুর এলজিইডির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা জানান, ইট, রড, সিমেন্ট, বিটুমিনসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহন খরচ ও নির্মাণশ্রমিকের মজুরিও। কিন্তু কাজের দরপত্রে বাজারদরের চেয়ে অনেক কম মূল্য নির্ধারিত থাকায় ঠিকাদারেরা প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পরও কাজ শুরু করতে সাহস পাচ্ছেন না। কেউ কেউ কাজ শুরু করার পর ক্ষতির আশঙ্কায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, কাজ বাস্তবায়িত করলে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। কাজ ছেড়ে দিলে হয়তো ১০ লাখ টাকার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তবু তাঁরা ১০ লাখ টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন।
গাজীপুর এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমানে অনেক ঠিকাদার কার্যাদেশ পেয়েও কাজ শুরু করছেন না। পাশাপাশি নতুন দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারের সংখ্যাও কমে গেছে। অনেক দরপত্রে একজন ঠিকাদারও পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যাদেশ বাতিল বা দরপত্র দাখিল না করায় পুনঃ দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে। একটি দরপত্র গ্রহণ করে কার্যাদেশ দিতে তিন-চার মাস লাগে। আবার কোনো কার্যাদেশ বাতিল হলে নতুন করে দরপত্র দিতে সময় লাগে আরও তিন-চার মাস। ফলে একই কাজের জন্য একাধিকবার প্রাক্কলন তৈরি করতে হয়। কাজ বাস্তবায়নে দেরি হয়।
গাজীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শাকিল হোসাইন জানান, এখন পর্যন্ত ছয়-সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারদের একাধিকবার তাগাদা দিলেও কাজ শুরু করেননি। এ কারণে তাঁদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। আবার প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পরও এখনো কাজ শুরু না করায় আরও সাত-আটটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার মৌখিক এবং চিঠির কাজ শুরুর অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও কাজ শুরু করছেন না। ফলে ওই সব ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শাকিল হোসাইন আরও জানান, যোগ্য ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কাজ করতে চাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে বিধি অনুযায়ী কার্যাদেশ বাতিল এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
শাকিল হোসাইন আরও বলেন, আগে দরপত্র আহ্বান করলে ঠিকাদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। এখন ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। অনেক কাজে একজনও দরপত্র দাখিল করেন না। এসব কারণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাজীপুরের প্রথম শ্রেণির একাধিক ঠিকাদার জানান, বর্তমান বাজারে নির্মাণসামগ্রীর মূল্য দরপত্রে উল্লেখিত দরের থেকে দেড় থেকে দুই গুণ বেশি। এ ছাড়া পরিবহন খরচ এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। এসব কারণে আগের দরপত্রে কাজ বাস্তবায়ন করলে ক্ষতির শঙ্কাই বেশি। এই অবস্থায় তাঁদের দাবি, বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
গাজীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমাদের এস্টিমেটিং কস্ট বাজারদরের চেয়ে কম, এ কথা সত্যি। কিন্তু তারপরও ঠিকাদারেরা বুঝেশুনে কাজ করলে তাঁরা যেমনটা ভাবছেন, তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমরা চেষ্টা করছি বর্তমান মূল্য অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়ার। উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪