Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত

ইসলামপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৪৫
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত

ইসলামপুরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। চাল, ডাল, তেল, আটা, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, বেগুন ও শাকসবজিসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম চড়া হওয়ায় রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে মানুষ। একের পর এক বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে দিশেহারা সবাই। বাজার মনিটরিংয়ে প্রশাসনের তৎপরতাও দেখা যায় না। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছে প্রশাসন। অনিয়মের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থার নেওয়া হয়।

উপজেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দেখা গেছে, গত বছর মোটা চালের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। বর্তমানে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা লিটার। গত বছর এই তেলের দাম ছিল ৯০ থেকে ১০৫ টাকা। খোলা পাম অয়েলের দাম ছিল গত বছর লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। চিকন মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়, খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা।

রসুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরিতরকারির কেজি সর্বনিম্ন ৬০ টাকা, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। বেগুনের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজার আসা ক্রেতা মোরাদ মিয়া বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দামে আগুন। অবস্থা এমন যে, দাম বেশি হওয়ায় পণ্যই কেনা মুসকিল।’

গুঠাইল বাজারে ক্রেতা নাজমা বেগম, সাহাজল, পারুল বেগম বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম চড়া হওয়ায় আমরা সংসার চালাতে কাহিল হয়ে পড়ছি।’

কাঁচামাল বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে আমাদের পণ্য কিনে আনতে হচ্ছে। সেই জন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।’

মুদি দোকানি জিপু আকন্দ বলেন, ‘কোম্পানির লোকজন সয়াবিন তেলসহ সঙ্গে না চলা অতিরিক্ত পণ্য চাপিয়ে দেয়। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এবং তা না করে উপায় নেই। আমাদেরও তো খরচ বেশি পড়ে।’

পাইকারি দোকানের এক মালিক বলেন, ‘পাইকারিতে আমাদের বেশি টাকায় মাল কিনতে হয় বলেই বিক্রিও করতে হয় বেশি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কেউ পণ্য মজুদ করে দাম বাড়ালে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীন হাসান রুমান বলেন, ‘দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। দাম বৃদ্ধিতে কোনো ধরনের সিন্ডিকেটের সুযোগ নেই।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত