Ajker Patrika

মনিরামপুরে বিকল্প পথ না রেখে সেতু সংস্কার, ভোগান্তি

মনিরামপুরে বিকল্প পথ না রেখে সেতু সংস্কার, ভোগান্তি

যশোরের মনিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের হরিহর নদীর ওপর সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে; কিন্তু জনগণের চলাচলের জন্য পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা করা হয়নি। তাতে এই পথে চলাচলে জনগণকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬ মিটার লম্বা সেতুটির সংস্কারের কাজ পায় আইসিএলএমএমটি জেভি নামের যশোরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক মাস আগে সেতুর কাজ শুরু করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুপাশে পাকা সড়ক ভেঙে ১০-১৫ ফুট গভীর করে খোঁড়া হয়েছে। পথচারী পারাপারে কোনো বিকল্প পথ রাখা হয়নি। সেতুর দুই পারের লোকজন ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ওই জায়গা হেঁটে পারাপার হচ্ছেন।

রাজগঞ্জ সেতুর ১ কিলোমিটার দক্ষিণে নেহালপুর-মুক্তারপুর সড়ক। এই সড়কে মনিরামপুর মহিলা কলেজের সামনে দিয়ে এসে পৌরশহরে উঠতে পারেন পথচারীরা; কিন্তু রাস্তাটি দূরের অধিকাংশ মানুষের কাছে অচেনা। মোটরসাইকেলের কিছু যাত্রী মনিরামপুর বাজারে আসতে নেহালপুর-মুক্তারপুর সড়ক ব্যবহার করলেও ইজিবাইক, ভ্যানের যাত্রীদের চালকেরা ওই পথে না গিয়ে নির্মাণাধীন সেতুর পশ্চিম পারে নামিয়ে দেন।

পথচারীরা বলছেন, সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তা গভীর করে খোঁড়া। সেখানে পথচারীদের উত্তর পাশের দোকানের ভেতরের গলি দিয়ে সরু পথে নদীতে নেমে পার হতে হচ্ছে, যার মধ্যে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও রয়েছে।

মনিরামপুর সরকারি প্রভাতি বিদ্যাপীঠের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নওশীন বলে, ‘আমাদের বাড়ি সেতুর পশ্চিম পাশে তাহেরপুর গ্রামে। প্রতিদিন এই স্থান পারাপারে আমাদের কষ্ট করতে হয়।’

মধুমিতা সিনেমা হলের পাশের ভ্রাম্যমাণসামগ্রীর দোকানি আব্দুর রহমান বলেন, ‘আগে ভাসমান কিছু খরিদ্দার আসত। এক মাস ধরে কোনো ক্রেতা নেই। বাজার থেকে কোনো ওষুধ আনতে হলে আমাদের এখন ১ মিনিটের পথ ১ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সেতু সংস্কার কাজ দেখভাল করেন ইউনুস আলী নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সেতু সংস্কারের জন্য জরিপ হয়েছে। সেখানে ১০০ মিটার দূরে দক্ষিণে পারাপারের জন্য দুটি সেতু দেখানো হয়েছে। এজন্য রাজগঞ্জ সেতুর নকশায় হাঁটাপথের উল্লেখ নেই। ঠিকাদার তো আর নিজের টাকায় বিকল্প পথের ব্যবস্থা করবেন না।

উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার রায় বলেন, সেতুর পশ্চিম অংশে দুই পাশে দুটি ভবন থাকায় বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। পশ্চিম পাশে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। কিছু দূর কাজ হলে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দে বিকল্প পথ করা যাবে। সেজন্য এক-দেড় মাস সময় লাগবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত