Ajker Patrika

‘দুই-তিন বছরের মধ্যেই মূল সাফ জিতব’

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
Thumbnail image

বয়সভিত্তিক সাফে নারীদের জেতা হয়ে গেছে প্রায় সব শিরোপাই। অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৮ হয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ঘরে এসেছে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও। জয়ের আড়ালে আছে একটা আক্ষেপও, এখনো যে জাতীয় দলের ট্রফি কেসে শূন্য হয়ে পড়ে আছে মূল সাফের শিরোপার জায়গাটা। তবে গোলাম রব্বানী ছোটন দিচ্ছেন ভরসা। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ বলছেন, খুব দ্রুতই সেই শূন্যস্থানটাও পূরণ করবেন তাঁর শিষ্যরা।

প্রায় শূন্য থেকেই বাংলাদেশের মেয়েদের দলটা ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। তাঁর ক্ষুরধার ফুটবল মস্তিষ্কে মেয়েরা জিতেছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক টুর্নামেন্টসহ সাফের তিন শিরোপা। বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে মূল দলেরও দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। শিষ্যদের প্রতি ছোটনের অগাধ আস্থা।

গত পরশু সাফ জিতে মেয়েরা সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন বলে মন্তব্য ছোটনের, ‘মেয়েরা একসঙ্গে অনেক দিন থেকেই আছে। এই বিশ্বাস ছিল আমরা ভালো খেলব, শিরোপা জিতব। টুর্নামেন্টে নামার আগে, খেলা না দেখেই আমরা একথা বলেছি। খেলা শেষ হওয়ার পর যদি পাঁচটা ম্যাচ পর্যালোচনা করি তাহলে বলব, তাদের প্রতি যে বিশ্বাস ছিল সেটা মেয়েরা পুরোপুরি অর্জন করেছে এবং গ্রুপ সেরা হয়েই ফাইনালে খেলেছে। কোনো ম্যাচ হারেনি।’

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ দলটা শক্তিশালী হলেও জাতীয় দলটা এখন পর্যন্ত নড়বড়ে। এই দুর্বলতা কবে কাটবে সেই প্রশ্নে ছোটনের উত্তর, ‘আমাদের মেয়েদের বয়স এখন ১৯। তাঁদের আর কয়েকটা বছর সময় দিতে হবে। দুই-তিন বছরের মধ্যে আমরা বুঝতে পারব, আমরা কোন অবস্থায় আছি।’

বয়সভিত্তিক ফুটবলের সিঁড়ি পার হয়ে যাওয়ায় আগামী বছর অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে আর খেলতে পারবেন না মারিয়া মান্ডা, আঁখি খাতুন, মনিকা চাকমাদের মতো ‘অভিজ্ঞ’ ফুটবলারেরা। তাঁদের শূন্যস্থান পূরণে বর্তমান পাইপলাইন কতটা সমৃদ্ধ? ছোটন বললেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমাদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে খেলেছে ছয় ফুটবলার। একেবারে নতুন ছিল ইতি রানী আর হালিমা। দলে মারিয়া-মনিকাদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার ছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছে কে? শাহেদা আক্তার রিপা। তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হলো আফিদা, যে একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। এখানেই তো প্রমাণ হয়েছে যে দলে অবশ্যই প্রতিভাবান ফুটবলার আছে এবং আরও প্রতিভাবান ফুটবলার আসবে। তবে আসল ব্যাপার হলো আমরা যে পরিশ্রম করে যাচ্ছি সেটাই চালিয়ে যেতে হবে।’ ২০১৬ সাফে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সাফ জয়ের সামর্থ্য তৈরি হয়ে যাবে বলে মত ছোটনের, ‘মূল সাফে এরই মধ্যে রানার্সআপ হয়েছি। দুই-তিন বছরের মধ্যেই আমরা সাফ জিততে পারব বলে আশা করি।’

জাতীয় দলে এখনো মূল ভরসার নাম অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বর্তমানে কিশোরী ফুটবলারদের কাছে বড় আদর্শের নাম। সাবিনা যখন থাকবেন না, তখন তাঁর শূন্যস্থান পূরণের সামর্থ্য বর্তমান ফুটবলারদের আছে বলে মন্তব্য নারী ফুটবলারদের প্রধান কোচের, ‘সাবিনা তার জায়গাতেই থাকবে। আগে সইনু, তৃষ্ণার জায়গায় কেউ ছিল না। এখন আঁখি চলে এসেছে, মাশুরা পারভীন চলে এসেছে। আমি চাইব, সাবিনা ৩০-৩২ বছর পর্যন্ত খেলে যাক। আমাদের তহুরা, কৃষ্ণাদের মতো ফুটবলার আছে। আশা করি, সমস্যা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত